পর্যটকদের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সীমান্ত খুলছে ২১ ফেব্রুয়ারি
প্রায় ২ বছর পর আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে আবার অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন আন্তর্জাতিক পর্যটকরা।
আন্তর্জাতিক ভ্রমণ কখন আবার শুরু হতে পারে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গত সোমবার ফেডারেল ক্যাবিনেটের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটি বৈঠক করে।
পর্যটক, ব্যবসায়িক ভ্রমণকারী ও অন্যান্য দর্শনার্থীদের ২০২০ সালের ২০ মার্চের পর থেকে প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ায় প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কারেন অ্যান্ড্রুজ এ বিষয়ে বলেন, 'উদ্যোগটি আমাদের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য কাজ করবে। একইসঙ্গে অস্ট্রেলীয়দের স্বাস্থ্যরক্ষা হচ্ছে কি না, সেটিও বিবেচনায় রাখা হবে।'
২০২০ সালের ২০ মার্চ অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অনাবাসীদের জন্য সীমান্ত বন্ধ করার ঘোষণা দেন।
তখন তিনি বলেছিলেন, 'আমাদের এক নম্বর অগ্রাধিকার হলো জীবন বাঁচানো এবং করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়াকে ধীর করা।'
গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর সীমান্ত সীমিত আকারে পুনরায় খোলার পর শুধু সম্পূর্ণভাবে টিকা নেওয়া অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক, স্থায়ী বাসিন্দা ও তাদের পরিবার, দক্ষ শ্রমিক ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।
পরের সিদ্ধান্তের পর প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন বলেছেন, 'আন্তর্জাতিক সীমানা এখন সবার জন্য খুলে দেওয়া হবে। তবে একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত হচ্ছে, সবাইকে অন্তত ২টি টিকা নেওয়া থাকতে হবে। যাদের টিকা নেওয়া হয়নি, তাদের প্রমাণ দিতে হবে যে টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের কোনো স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি আছে।'
প্রতি বছর প্রায় ১ লাখ পর্যটক ভ্রমণ করে অস্ট্রেলিয়ায়। দেশটি প্রতি বছর পর্যটন থেকে উপার্জন করে প্রায় ৬০ দশমিক ৮ বিলিয়ন অস্ট্রেলিয়ান ডলার।
২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারির তুলনায় ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশটিতে আন্তর্জাতিক পর্যটক আগমন ২৬ শতাংশ কমেছে। ২০১৯ সালের মার্চ থেকে ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত আগমন আরও ৬০ শতাংশ কমেছে।
করোনা মহামারির কারণে অস্ট্রেলিয়ার সরকারের আরোপ করা ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেশটির পর্যটন শিল্পে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।
প্রধানত ৬টি দেশ থেকে পর্যটকরা অস্ট্রেলিয়া সফর করে। দেশগুলো হলো চীন, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান ও সিঙ্গাপুর। তবে চীন থেকে সব থেকে বেশি পর্যটক আসে অস্ট্রেলিয়ায়। শুধু ২০১৯ সালেই অস্ট্রেলিয়ায় চীনা পর্যটকরা ১২ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে।
আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক
Comments