অস্ট্রেলিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের দিন যেমন কাটছে
স্কট মরিসনের হাত থেকে অ্যান্থনি আলবেনিজের হাতে অস্ট্রেলিয়ার নেতৃত্ব পরিবর্তন হওয়ার ৭ সপ্তাহ হয়ে গেছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় পদ হারানোর পর থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার দৈনন্দিন জীবনে 'পাবলিক প্রোফাইলকে' অনেক কম রেখেছেন।
নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকে ৭ সপ্তাহের মধ্যে মরিসন ও তার স্ত্রী জেনি শুধুমাত্র একটি এনগেজমেন্ট পার্টিতে অংশ নিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় মরিসন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খুব সক্রিয় ছিলেন। এখন তার পোস্ট দেখলে বোঝা যায়, তিনি খুব একটা ব্যস্ততায় নেই।
প্রধানমন্ত্রীর সিডনির 'কিরিবিলি হাউস' ছেড়ে মরিসন সাদারল্যান্ড শায়ারে নিজের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার পর তার 'শখের কারি' রান্না করে সময় কাটাচ্ছেন। নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে তা পোস্টও করছেন।
ফেডারেল নির্বাচনের কয়েক সপ্তাহ আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অস্ট্রেলিয়া সফরে এলে তার সৌজন্যে গুজরাটের বিখ্যাত খিচুরি রান্না করেছিলেন মরিসন। সেই ছবি নিজের ফেসবুকে পোস্ট করে তিনি ব্যাপক আলোচনায় আসেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী মরিসন সংবাদমাধ্যম চ্যানেল নাইনকে জানিয়েছেন, তিনি এখন ইউকুলেল বাজানোর অনুশীলন করছেন। নির্বাচনের প্রচারাভিযানের সময়ে যন্ত্রটিতে মরিসনের বাজানো একটি ড্রাগন গানের ক্লিপ ভাইরাল হয়েছিল। তখন অস্ট্রেলিয়ার ব্যান্ড সংগীতের সদস্যরা তার তীব্র সমালোচনা করেছিলেন।
কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মরিসন আবার সংসদের ব্যাকবেঞ্চে ফিরে আসছেন।
চলতি জুলাইয়ে রেমিউনারেশন ট্রাইব্যুনালে প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে, একজন ব্যাকবেঞ্চার হিসেবে মরিসনের মূল বেতন হবে ২ লাখ ১৭ হাজার ৬০ ডলার। গত বছর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার বেতন ছিল ৫ লাখ ৪৯ হাজার ২৫০ ডলার।
তবে, মরিসন সাবেক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কিছু দীর্ঘমেয়াদী সুবিধা পাবেন।
অস্ট্রেলিয়ার সব সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মতো মরিসনও 'লাইফ গোল্ড পাস' ভ্রমণ সুবিধা পাবেন। এর মাধ্যমে সাবেক প্রধানমন্ত্রীদের প্রতি বছর ৪০ অভ্যন্তরীণ উড়োজাহাজের টিকেট ও তার পরিবারের সদস্যদের ২৫ টিকেট দেওয়া হয়। এটি আমৃত্যু বিদ্যমান থাকবে।
স্কট মরিসন ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার ৩০তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আকিদুল ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী লেখক, সাংবাদিক
Comments