ঠান্ডায় অভিবাসন প্রত্যাশী মৃত ৭ বাংলাদেশির পরিচয় জানা গেল

লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগরীয় দ্বীপ ল্যাম্পেদুসায় যাওয়ার পথে হাইপারথার্মিয়া বা অতিরিক্ত ঠান্ডায় জমে ৭ বাংলাদেশির মৃত্যু হয় গত ২৫ জানুয়ারি। তাদের পরিচয় প্রকাশ করে মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে জরুরি নোটিশ দিয়েছে ইতালিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।

তাদের মরদেহ সরকারি খরচে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে মৃতদের পরিচয় নিশ্চিত হতে হবে। এই নোটিশের মাধ্যমে মৃতদের পরিবারকে দ্রুত নিকটস্থ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় অথবা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় অথবা ইমেইলের মাধ্যমে রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। দূতাবাসের ইমেইল [email protected]

গতকাল শনিবারের তারিখে প্রকাশিত নোটিশে বলা হয়েছে, গত ২৫ জানুয়ারি ২০২২ লিবিয়া হতে ইতালি আসার পথে অতিরিক্ত ঠান্ডায় মৃত্যুবরণকারী অভিবাসী প্রত্যাশী ৭ জন বাংলাদেশির পরিচয় নিরূপণের জন্য মো. এরফানুল হক (কাউন্সিলর, শ্রমকল্যাণ) এর নেতৃত্বে বাংলাদেশ দূতাবাসের ২ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধি দল মৃত্যুবরণকারীদের সঙ্গে আগমনকারী উদ্ধারকৃতদের সঙ্গে কথা বলেন। ইতালির ল্যাম্পেডুসা দ্বীপে অবস্থিত হট স্পট ক্যাম্পে অবস্থানকারীদের সঙ্গে ইতালি পুলিশের উপস্থিতিতে জিজ্ঞাসাবাদ পরিচালিত হয়। জিজ্ঞাসাবাদে উদ্ধাকৃতদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মৃত্যুবরণকারীদের পরিচয় নিম্নে প্রদান করা হলো:

১. ইমরান হোসেন, গ্রাম: পশ্চিম পিয়ারপুর, উপজেলা: মাদারীপুর সদর, জেলা: মাদারীপুর।

২. রতন/জয় তালুকদার, গ্রাম: পিয়ারপুর, উপজেলা: মাদারীপুর সদর, জেলা: মাদারীপুর।

৩. সাফায়েত, গ্রাম: ঘটকচর, উপজেলা: মাদারীপুর সদর, জেলা: মাদারীপুর।

৪. জহিরুল, গ্রাম: মোস্তফাপুর, উপজেলা: মাদারীপুর সদর, জেলা: মাদারীপুর।

৫. বাপ্পী, উপজেলা: মাদারীপুর সদর, জেলা: মাদারীপুর।

৬. সাজ্জাদ, গ্রাম: মামুদপুর, উপজেলা: জামালগঞ্জ, জেলা: সুনামগঞ্জ।

৭. সাইফুল, উপজেলা: ভৈরব, জেলা: কিশোরগঞ্জ।

নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, ইতালি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মৃতদের কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া মৃতদের সঙ্গে কোনো ধরণের সনাক্তকারী নথি না থাকায় সনাক্তকরণে জটিলতা দেখা দিয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Rain likely over four divisions

Weather may remain mainly dry with temporary partly cloudy sky elsewhere over the country, according to a Met Office bulletin in Dhaka.

42m ago