৮৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে মৌলভীবাজারের লাঠিটিলায় হবে তৃতীয় সাফারি পার্ক

সাফারি পার্ক তৈরির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে মৌলভীবাজারের লাঠিটিলা বনে জরিপের কাজ। ছবি: মিন্টু দেশোয়ারা

গাজীপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে একের পর এক প্রাণীর মৃত্যুর ঘটনায় পরিবেশবাদীদের সমালোচনার মুখেই দেশের তৃতীয় সাফারি পার্ক প্রকল্প নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সরকার।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলায় দেশের তৃতীয় সাফারি পার্কটি স্থাপন করা হবে। ৮৭০ কোটি ৯০ লাখ  টাকা ব্যয়ে ২০২২-২৬ সালের মধ্যে সাফারি পার্কটি নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে।

আজ রোববার রাজধানীর বন অধিদপ্তরে মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলায় প্রস্তাবিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক স্থাপনের লক্ষ্যে প্রণীত  মহাপরিকল্পনা ও ডিপিপি অনুমোদনের লক্ষ্যে আয়োজিত এক জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন।

তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে যাচাই বাছাই ও গবেষণা করে লাঠিটিলায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। এই সাফারি পার্কটি নির্মিত হলে লাঠিটিলা বন অবৈধ দখলদারদের হাত থেকে রক্ষা পাবে।'

মন্ত্রী বলেন, 'পূর্বে নির্মিত দুটি সাফারি পার্কের অভিজ্ঞতা তৃতীয় প্রকল্পে কাজে লাগানো হবে যাতে কোনো প্রাণীর মৃত্যু না ঘটে।'

এর মাধ্যমে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা বিভিন্ন ধরনের দেশি-বিদেশি প্রাণী সম্পর্কে জানতে পারবেন বলে জানান তিনি।

এছাড়া যথাসময়ে বনে অবৈধভাবে বসবাসকারী পরিবারগুলোর পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হবে বলেও জানান তিনি।

প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব মো. মোস্তফা কামাল, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন এবং অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) সঞ্জয় কুমার ভৌমিক প্রমুখ।

সাফারি পার্কের মহাপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক স্থপতি ইশতিয়াক জহির এবং প্রকল্প পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী।

Comments