বন্ধ করে দেওয়া ইটভাটা চলছে পুরোদমে, হতাশ কৃষক
বন্ধ করে দেওয়া 'সান ব্রিকস' ও 'স্যার ব্রিকস' নামে ২টি অবৈধ ইটভাটা এখনো পুরোদমে চালু থাকায় হতাশ স্থানীয় কৃষকরা। লালমনিরহাট পৌরসভার পূর্ব সাপ্টানা গ্রামে অবৈধ ইটভাটা ২টি গত ৯ ফেব্রুয়ারি পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত বন্ধ করে দেয়।
স্থানীয় কৃষকরা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, গত বছর অবৈধ ইটভাটা ২টি বন্ধ করে দেওয়া হলেও তা কখনোই বন্ধ হয়নি। পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত চলে যাওয়ার পরই ভাটা ২টি আবার শুরু হয়। সেগুলো এখন পুরোদমে চালু রাখা হয়েছে।
প্রায় ১৮ বছর ধরে ইটভাটা ২টি অবৈধভাবে চালু আছে। স্থানীয়দের প্রতিনিয়ত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পরিবেশ অধিদপ্তর ব্যবস্থা নিলেও তা কাজে আসেনি। অবৈধ ইটভাটা ২টির কারণে কৃষকরা জমিতে আশানুরূপ ফসল পাচ্ছেন না। এলাকায় ফলমূল উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে।
কৃষক আবদুল কাদের (৬৫) ডেইলি স্টারকে বলেন, 'অবৈধ ইটভাটা ২টির মালিক এতোই প্রভাবশালী যে তাদের বিরুদ্ধে কথা বলা যায় না। স্থানীয় লোকজন প্রকাশ্যে প্রতিবাদ করলে তাদেরকে হয়রানির শিকার হতে হয়। পরিবেশ অধিদপ্তর ভাটা ২টি বন্ধ করে দিলেও ভাটার কাজ বন্ধ হয়নি। এ ঘটনা আমাদেরকে বিস্মিত করেছে। আমরা আরও বেশি অসহায় বোধ করছি।'
'অবৈধ ইটভাটা ২টি পুরোপুরিভাবে বন্ধ করা না হলে আমাদের কৃষি উৎপাদন বন্ধ হয়ে যাবে,' যোগ করেন তিনি।
'স্যার ব্রিকস'র মালিক এন্তাজুর রহমান ও 'সান ব্রিকস'র মালিক আশিকুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা কথা বলবেন না বলে জানান।
লালমনিরহাট সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা মাসুম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'উপজেলায় নতুন যোগ দিয়েছি। ইটভাটা ২টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানি না। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো।'
রংপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মেজ-বাবুল আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অবৈধ ইটভাটা ২টি বন্ধ করা হয়েছিল। ভাটা মালিকদের ৭ লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়েছিল। ভাটার কাজে ব্যবহৃত সব সরঞ্জাম সরিয়ে নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।'
তিনি আরও বলেন, 'যেহেতু আইন অমান্য করে অবৈধ ইটভাটা ২টি পুরোদমে চালু রাখা হয়েছে তাই স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে পরিবেশ অধিদপ্তর আবার অভিযান চালাবে।'
Comments