স্বেচ্ছাশ্রমে কপোতাক্ষের বেড়িবাঁধ মেরামত

স্বেচ্ছাশ্রমে কপোতাক্ষের বেড়িবাঁধ মেরামত করছেন স্থানীয় কয়েক হাজার মানুষ। ছবি: সংগৃহীত

খুলনার কয়রা উপজেলায় কপোতাক্ষ নদের ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ মেরামতে নেমেছেন স্থানীয় কয়েক হাজার মানুষ।

রোববার ভোররাতে উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের চরমুখা খালের উত্তর দিকে এই ভাঙন শুরু হয়। আজ সোমবার সকাল পর্যন্ত প্রায় ৩০০ মিটার বড় হয়েছে ভাঙন।

দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ওসমান গনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রোববার সকালে আমরা বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করি। তবে সেদিন সারাদিন চেষ্টা করেও বাঁধটি মেরামত করতে পারিনি।'

'বাঁধটি মেরামত করতে আজ সকাল থেকে স্থানীয় দেড় থেকে ২ হাজার নারী-পুরুষ অংশ নিয়েছেন', যোগ করেন তিনি।

ওসমান গনি বলেন, 'বাঁধ ভেঙে ইতোমধ্যে আমাদের ৫টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এরমধ্যে চরমুখা, দক্ষিণ বেদকাশি, মধ্যপাড়া, ঘড়িলালা ও রাতাখালি গ্রামের অধিকাংশ এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। সেখানে প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার মানুষ বসবাস করেন।'

ছবি: সংগৃহীত

তিনি আরও বলেন, 'বাঁধটি দ্রুত মেরামত করতে না পারলে জোয়ারে পুরো দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের ১৪টি গ্রাম প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ইউনিয়নে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ বসবাস করেন। প্রত্যেক গ্রাম থেকে স্বেচ্ছাশ্রমে নারী-পুরুষ এসেছেন বাঁধ মেরামত করতে। আমরা চেষ্টা করছি নদে জোয়ার আসার আগেই বাঁধ মেরামত করে ফেলতে।'

বাঁধটি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে আছে সাতক্ষীরার পানি উন্নয়ন বোর্ড-২ কার্যালয়।

কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী (পুর) মশিউল আবেদীন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জাইকার অর্থায়নে ১৪ (১) নম্বর পোল্ডারের বাঁধটির নির্মাণকাজ চলছিল। সেখানে ভাঙনের কোনো সম্ভাবনা ছিল না। বাঁধের সামনে বেশ বড় সমতল চর ছিল।'

'রোববার ভোররাতে হঠাৎ করে নদী ভাঙন শুরু হয়। একপর্যায়ে ওই ভাঙন বাঁধের দিকে এগিয়ে আসে। ভাঙনটি ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে', বলেন তিনি।

ছবি: সংগৃহীত

মশিউল আবেদীন আরও বলেন, 'ভাঙনের পর স্থানীয়রা নিজেদের উদ্যোগে সেখানে সংস্কার কাজ শুরু করেছেন। আমরা তাদের সরঞ্জাম দিয়ে সহায়তা করছি।'

পানি প্রবেশ ঠেকাতে সেখানে রিং বাঁধ দেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনিমেষ বিশ্বাস ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্লাবিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সার্বিক সহযোগিতা করতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্রুত বাঁধ মেরামতের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।'

Comments

The Daily Star  | English

Cops get whole set of new uniforms

The rules were published through a gazette yesterday, repealing the previous dress code of 2004

28m ago