সিলেট বিভাগের ৭২ শতাংশের বেশি পানির নিচে
সিলেট বিভাগের ৭২ শতাংশের বেশি এলাকা বন্যার পানিতে ডুবে গেছে।
সিলেট বিভাগের চারটি জেলার মধ্যে সুনামগঞ্জের ৮৯ শতাংশ, সিলেটের ৭২ শতাংশ, হবিগঞ্জের ৭০ শতাংশ ও মৌলভীবাজারের ৫০ শতাংশ এলাকা বন্যায় তলিয়ে গেছে।
গত ১৬ জুন বিকেলে সেন্টিনেল-১ রাডার (এসএআর) স্যাটেলাইট দিয়ে তোলা হাই-রেজ্যুলেশন ছবি বিশ্লেষণ করে অস্ট্রেলিয়ার নিউক্যাসল ইউনিভার্সিটির স্কুল অব এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সেসের ক্যাজুয়াল ফ্যাকাল্টি পলাশ বসাক বন্যার মানচিত্র তৈরি করেন।
যদিও ১৬ জুনের পর ভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে।
'এসব ছবি তোলার পর হয়তো সিলেট বিভাগের আরও অনেক এলাকা তলিয়ে গেছে। আগামীকাল (১৯ জুন, বাংলাদেশ সময়) ভোরে সিলেটের ছবি আবারও ধারণ করা হবে। যেখান থেকে আমরা আপডেটেড তথ্য পাব, বলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পলাশ বসাক।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (এফএফডব্লিউসি) জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় সিলেট বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা থাকায় বিভাগে পানির উচ্চতা আরও বাড়বে।
উত্তর-পূর্ব জেলাগুলোতে প্রবল বৃষ্টিপাত এবং ভারতের মেঘালয় ও আসামের উজানে রেকর্ড বৃষ্টি হওয়ায় গত বুধবার আকস্মিক ঢল নেমে।
সিলেট বিভাগের বিভিন্ন উপজেলা ও শহরে ৪০ লাখের বেশি মানুষ পানিবন্দী হয়ে আছে এবং অন্যান্য এলাকাও প্লাবিত হচ্ছে।
প্রত্যন্ত এলাকায় বন্যা দুর্গতদের উদ্ধারে সেনাবাহিনী ও স্থানীয় পরিষদের প্রতিনিধিদের সহায়তায় উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে স্থানীয় প্রশাসন।
যতই দিন যাচ্ছে, উদ্ধার ও ত্রাণের জন্য বাড়ছে হাহাকার।
বন্যার পানির তোড় এবং নৌযান সংকটের কারণে অনেক এলাকাতেই পৌঁছানো যাচ্ছে না।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এর ওয়াটার অ্যান্ড ফ্লাড ম্যানেজমেন্টের অধ্যাপক এ কে এম সাইফুল ইসলাম বলেন, এটা খুবই অস্বাভাবিক ঘটনা।
'এমন ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আকস্মিক বন্যার ঘটনা একশ বছরে একবার বা দুবার ঘটে,' বলেন তিনি।
Comments