বাড়ছে যমুনার পানি, শাহজাদপুরে ভাঙন

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে যমুনা তীরবর্তী জালালপুর গ্রামে ভাঙন। ছবি: সংগৃহীত

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। পানি বৃদ্ধির সঙ্গে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন। জেলার শাহজাদপুর উপজেলার নদী-তীরবর্তী জালালপুর গ্রামে প্রায় অর্ধশতাধিক বাড়ি ইতোমধ্যে নদীতে তলিয়ে গেছে।

ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে শাহজাদপুর, চৌহালির নদী-তীরবর্তী বাড়িঘর ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান।

আজ সোমবার সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৬টায় যমুনার পানি ৭ সেন্টিমিটার বেড়েছে।

সূত্র আরও জানায়, যমুনার পানি বর্তমানে বিপৎসীমার (১৩ দশমিক ৩৫ মিটার) ১ দশমিক ৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ছবি: সংগৃহীত

নদীতে দ্রুত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। ঝুঁকিতে পড়েছে নদী-তীরবর্তী এলাকার মানুষ।

জালালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুলতান মাহামুদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জালালপুরে নদীতে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পার ভাঙতে শুরু করেছে।

গত এক সপ্তাহে প্রায় অর্ধ শতাধিক বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে নদীপারের বাড়িঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা।

শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামসুজ্জহা ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ইতোমধ্যে ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে ত্রাণ বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'

তিনি জানান, শাহজাদপুরে নদী-তীরবর্তী নিচু এলাকায় পানি ঢুকে পরায় অনেকে দুর্ভোগে পড়েছেন।

সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গত এক সপ্তাহ ধরে নদীতে দ্রুত গতিতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদী-তীরবর্তী জালালপুর এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে।'

'নদীতে পানির স্রোত অনেক বেশি থাকায় এখনই নদীর তীর সংরক্ষণের কাজ করা যাচ্ছে না' উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বালির বস্তা ফেলে ভাঙন রোধের চেষ্টা করা হচ্ছে।'

ছবি: সংগৃহীত

তিনি জানান, ভাঙন রোধে ব্রাহ্মণগ্রাম থেকে পাচিল পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে। পানি বৃদ্ধির ফলে তা আপাতত বন্ধ রয়েছে।

নদীর তীর সংরক্ষণের কাজ শেষ হলে এ এলাকায় ভাঙন রোধ করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন তিনি।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ডেইলি স্টারকে জানিয়েছে, গত এক সপ্তাহ ধরে পদ্মার পানি দ্রুত বৃদ্ধি পাওয়ায় সিরাজগঞ্জে আগাম বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। জেলার হার্ড পয়েন্টে যমুনার পানি ১২ দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বাড়লেও তা এখনো বিপৎসীমা অতিক্রম করেনি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী নাসির ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, পাহাড়ি ঢলে নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। যমুনায় পানি বেড়ে যাওয়ায় হুরাসাগরসহ অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানি বেড়েছে। আগাম বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Comments

The Daily Star  | English

India, Pakistan agree to ceasefire

Announces Trump after rivals launch multiple attacks on key military installations; Islamabad, New Delhi confirm truce

3h ago