বন্যায় সিলেট-সুনামগঞ্জে তলিয়ে গেছে ৬৫৭ কিলোমিটার সড়ক

সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার ১৫৩টি সড়কের ৬৫৭ কিলোমিটার ডুবে গেছে। ছবি: শেখ নাসির/স্টার

আগাম বন্যায় সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার ১৫৩টি সড়কের ৬৫৭ কিলোমিটার ডুবে গেছে। ২ জেলার বেশ কিছু উপজেলার অভ্যন্তরীণ ও জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এতে ব্যাপক দুর্ভোগে রয়েছেন ২ জেলার অন্তত ২০ লাখ মানুষ।

তবে এখন পর্যন্ত এসব সড়ক পানির নিচে ডুবে থাকায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণ করতে পারেনি সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি)।

সিলেট সওজ ও এলজিইডির আওতাধীন মোট ১২১টি সড়কের ৩৩২ কিলোমিটার সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। ছবি: শেখ নাসির/স্টার

বন্যায় সড়কের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সিলেট জেলায়। জেলায় সওজ ও এলজিইডির আওতাধীন মোট ১২১টি সড়কের ৩৩২ কিলোমিটার সড়ক পানিতে ডুবে গেছে। এ ছাড়াও ভেঙে গেছে ২টি কালভার্ট।

এলজিইডি সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইনামুল কবীর দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, 'বন্যায় ১১১টি রাস্তার ২৬৭ কিলোমিটার অংশে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সদর উপজেলা ও কোম্পানীগঞ্জে ২টি কালভার্ট ভেঙেছে। যেহেতু রাস্তার উপরে এখনো পানি, তাই ক্ষয়ক্ষতির আর্থিক পরিমাণ নির্ধারণ করা যাচ্ছে না।'

সড়ক বিভাগ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোস্তাফিজুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সিলেটের আন্তঃজেলা ১০টি প্রধান সড়কের ৬৫ কিলোমিটার অংশ প্লাবিত হয়েছে, এর মধ্যে ৫টি সড়কে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ আছে। জকিগঞ্জে বাঁধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় ২টি সড়কে পানি দ্রুত বাড়ছে।'

সড়ক বিভাগ সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'জেলার ৭টি সড়ক বন্যা কবলিত হয়েছে। এর মধ্যে ৭০ কিলোমিটার এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কিন্তু পানি বাড়তে থাকায় এখনো ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ সম্ভব হচ্ছে না।'

এলজিইডি সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহবুব আলম দ্য ডেইলি  স্টারকে বলেন, 'বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গ্রামীণ জনপদের রাস্তা। জেলায় ২৫টি রাস্তার ১৫৫ কিলোমিটারে ইতিমধ্যে ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়াও আরও ১০০ কিলোমিটার রাস্তা সম্প্রতি প্লাবিত হয়েছে।'

বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গ্রামীণ জনপদের রাস্তা। ছবি: শেখ নাসির/স্টার

তিনি বলেন, 'দোয়ারা বাজার, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর ও সদর উপজেলায় একটি করে মোট ৪টি কালভার্ট সম্পূর্ণ ভেঙে গেছে বন্যার তোড়ে। এগুলো নতুন করে নির্মাণ করার প্রয়োজন হতে পারে। বন্যার পানি কমলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক হতে বেশ সময় লাগবে।'

আজ শনিবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানির কিছুটা কমলেও তা এখনো সবকটি পয়েন্টের বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর মধ্যে নতুন করে বিপদসীমা অতিক্রম করেছে সুনামগঞ্জের পুরাতন সুরমা ও নেত্রকোনার সোমেশ্বরী।

Comments

The Daily Star  | English

Palak admits shutting down internet deliberately on Hasina's order

His testimony was recorded by the International Crime Tribunal's investigation agency following a questioning session held yesterday

1h ago