নেত্রকোণায় বন্যায় পানিবন্দি ৫০ হাজার মানুষ
অতিবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকার কারণে নেত্রকোণার কলমাকান্দায় উব্দাখালী নদীর পানি বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় উপজেলা সদরসহ নদীতীরবর্তী ও নিম্নাঞ্চল এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ।
আজ শুক্রবার জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) এ তথ্য জানিয়েছে।
পাউবোর তথ্য অনুযায়ী, আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় কলমাকান্দায় ১১৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পানি বেড়ে যাওয়ায় কলমাকান্দা উপজেলা পরিষদ, নয়াপাড়া, মুক্তিচর, বিশরপাশা, বাউশাম, হরিপুর চকবাজার, আনন্দপুর, বরুয়াকোনা, রংছাতি ও বড়খাঁপনে সড়কের ওপর দিয়ে পানি বয়ে যাচ্ছে।
কলমাকান্দায় অতিবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে পানি বেড়ে যাওয়ায় সদরসহ লেংঙরা, খারনৈ, রংছাতী, পোগলা, নাজিরপুর, বড়খাপন ও কৈলাটি ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে শতাধিক গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। তলিয়ে গেছে পুকুর ও বীজতলাও।
অতিবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে সীমান্তবর্তী উব্ধাখালি নদীসহ গনেশ্বরী, মঙ্গলেশ্বরী, মহাদেও ও পাঁচগাও ছড়ায় পানিবৃদ্ধি পাওয়ায় কলমাকান্দা সদরের সঙ্গে ৮ ইউনিয়নের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
স্থানীয় সূত্র বলছে, অতিবর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকার কারণে জেলার বিভিন্ন উপজেলার নিচু এলাকা প্লাবিত হতে শুরু করেছে। জেলার দুর্গাপুর উপজেলায় সোমেশ্বরীর পানিবৃদ্ধি অব্যাহত থাকার কারণে নদীভাঙনের কবলে পড়েছে নদী তীরবর্তী কয়েকটি গ্রামের মানুষ। জেলার হাওর উপজেলা খালিয়াজুরীর ধনু নদের পানিবৃদ্ধির ফলে নদীতীরের কৃষ্ণপুর এলাকার সড়কটি ভাঙনের কবলে পড়েছে।
জেলা পাউবোর পরিমাপক মোবারক হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আজ সকাল ১০টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় কলমাকান্দা উপজেলার উব্দাখালী নদীর পানি ডাক বাংলা পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবুল হাসেম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'কলমাকান্দার সব এলাকায়ই এখন বন্যার পানি। ইউএনও কার্যালয়, উপজেলা পরিষদসহ শহরে হাঁটু থেকে কোমর পরিমাণ পানি। বন্যাদুর্গতদের আশ্রয়ের জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনীয় ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।'
Comments