জামালপুরে ৩০ গ্রাম প্লাবিত, অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি

জামালপুরের ৬ উপজেলার অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

গত ২ দিনে বন্যায় জামালপুরের ৬ উপজেলার অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, বকশিগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, মেলান্দহ ও সরিষাবাড়ী উপজেলার অর্ধ লক্ষাধিক মানুষ।

আজ সোমবার সকালে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক আব্দুল মান্নান জানান, পাহাড়ি ঢলে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রসহ সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৫০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৫০ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

স্থানীয়রা জানান, গত কয়েকদিনের পাহাড়ি ঢলে ইসলামপুর উপজেলার চিতালু, কুলকান্দি, বেলগাছা, নোয়ারপাড়া ও সাপধরী ইউনিয়ন এবং দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চুকাইবাড়ী, বাহাদুরাবাদ ও চিকাজানী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। এছাড়াও বকশিগঞ্জ, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলার কিছু কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষ।

পাউবো সূত্র জানিয়েছে, পানি বৃদ্ধির ফলে দেওয়ানগঞ্জ, ইসলামপুর, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ, সরিষাবাড়ী, বকশিগঞ্জসহ জামালপুর সদর উপজেলার নতুন নতুন এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। আর নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে ছুটছেন সাধারণ মানুষ।

জামালপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, বন্যার পানিতে এ পর্যন্ত ৫০৪ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। এর মধ্যে আউশ ধান ৬৪ হেক্টর, পাট ৩৭০ হেক্টর, শাকসবজি ৫৯ হেক্টর ও মরিচ ১১ হেক্টর।

বকশিগঞ্জ, মেলান্দহ, মাদারগঞ্জ ও সরিষাবাড়ী উপজেলার কিছু কিছু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় নদী ভাঙন দেখা দিয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

জামালপুর জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আলমগীর হোসাইন জানান, বন্যা মোকাবিলায় প্রতিটি উপজেলায় ৫০ মেট্রিক টন চাল ও এক লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শুকনা খাবারের বরাদ্দও পাওয়া গেছে।

জামালপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাঈদ বলেন, জেলার সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। এটি আরও কয়েকদিন বাড়তে পারে।

জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায় বলেন, 'দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা চুকাইবাড়ি ইউনিয়নের বন্যা কবলিত ৫০টি পরিবারকে রেলওয়ে স্কুলে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হয়েছে। এ ছাড়া বন্যাকবলিত এলাকায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English
ACC finds Nagad corruption evidence

ACC raids Nagad HQ over hiring controversy

"During the drive, the ACC team found initial evidence of irregularities in the recruitment process"

13m ago