কুবি ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে ২ সংবাদকর্মীকে হুমকির অভিযোগ
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) ছাত্রলীগ সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজের বিরুদ্ধে কুবির ২ সাংবাদিককে হল থেকে বের করে দেওয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাবের সভাপতি আবুল বাশার সাজ্জাদ ও সাধারণ সম্পাদক সাফায়িত সিফাত এ অভিযোগ করেছেন।
আবুল বাশার সাজ্জাদ দৈনিক আজকের পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি এবং সাফায়িত সিফাত দৈনিক আমাদের সময় ও আরটিভি অনলাইনের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।
এ ঘটনায় আজ সোমবার তারা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জানা গেছে, গতকাল রোববার রাত ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় তিনি তার বিরুদ্ধে সংবাদ করা সাংবাদিকদের হল থেকে নামিয়ে দেবেন বলে হুমকি দেন।
আবুল বাশার সাজ্জাদ ও সাফায়িত সিফাত অভিযোগ করেন, 'আমরা রাতের খাবার শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে কথা বলছিলাম। এ সময় আমাদের ডেকে নিয়ে যান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও তার দলবল। পরে সংবাদ প্রকাশ নিয়ে আমাদের হল থেকে নামিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।'
তাদের অভিযোগ, 'বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ আমাদের বলেন- ভেবেছিস তোদের হ্যাডম (ক্ষমতা) আছে তাই যা ইচ্ছে লিখে ফেলছস। এবার দেখবি আমাদের কী হ্যাডম (ক্ষমতা)।'
আবুল বাসার সাজ্জাদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ইলিয়াস ভাই আমাকে দেখিয়ে তার সঙ্গে থাকা এক নেতাকে আমি ও অন্যান্য সাংবাদিকদের হল থেকে নামিয়ে দেওয়ার আদেশ দেন।'
তিনি আরও বলেন, 'যা সত্য আমরা তা নিয়েই সংবাদ লিখি। এই হুমকি প্রমাণ করে সাংবাদিকতায় আমরা ঠিক পথেই এগোচ্ছি। তবে, এই হুমকি গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ণ করে। আমি নিরাপত্তহীনতায় ভুগছি। আমি প্রশাসনের কাছে বিচার চাই।'
সাফায়িত সিফাত বলেন, 'আমি সাংবাদিকতা চর্চা করি। বিভিন্ন বিষয়ে সংবাদ করতে হয়। কিছু বিষয় কারো পক্ষে যাবে, কারো বিপক্ষে যাবে। আমি ঘটনার সময় ইলিয়াস ভাইকে বলেছিলাম, যদি কোনো কিছু ভুল মনে হয় তাহলে পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ দিতে। কিন্তু, তিনি যা করলেন তা ন্যক্কারজনক। আমি এর বিচার চাই।'
আবুল বাসার সাজ্জাদ ও সাফায়িত সিফাত থানায় জিডি করবেন বলেও জানান।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি বা আমার সঙ্গে থাকা কেউ তাদের হল থেকে নামিয়ে দেওয়ার হুমকি দিইনি। আমাদের সঙ্গে তাদের সামান্য কথা কাটাকাটি হয়েছে। এর বেশি কিছু নয়।'
কুবি ছাত্রলীগ কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'সব কমিটির মেয়াদ থাকে, আবার মেয়াদ শেষ হয়। আমাদের কমিটির মেয়াদ ছিল এবং মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু, নতুন কমিটি এখনো গঠন হয়নি। সুতরাং, আমি এখনো কুবি ছাত্রলীগের রানিং সভাপতি।'
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, 'আমি অভিযোগপত্র পেয়েছি। প্রক্টরিয়াল বডি বসে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেব।'
Comments