বশেমুরবিপ্রবি শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের প্রতিবাদে ঢাবিতে মশাল মিছিল, বিক্ষোভ

ঢাবি শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল। ছবি: সুচিস্মিতা তিথি

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) এক শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণে জড়িতদের বিচারের দাবি ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মশাল মিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা।

আজ শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে ভিসি চত্বর পর্যন্ত মশাল মিছিল শেষে রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণে জড়িতদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে। একইসঙ্গে বিচারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদেরও বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

ঢাবি শিক্ষার্থী অরুণিমা তাহসিন বলেন, 'সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনার ২ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত গ্রেপ্তার হয়েছে মাত্র ৩ জন। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে জড়িতদের বিচারের দাবি জানাই।'

শামসুন নাহার হল ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি বলেন, 'জনগণের করের টাকায় প্রশাসন চলে। ন্যায়বিচারের জন্য যে আমাদের রাস্তায় নামতে হয়- এটি দুঃখজনক, এটি লজ্জাজনক। রাস্তায় নামলেও আমাদের ওপর হামলা হয়, আমাদের রক্তাক্ত হতে হয়। ছাত্রলীগ, আওয়ামী লীগ- ক্ষমতার সঙ্গে সম্পৃক্তরা আমাদের ওপর হামলা করে। দেশে ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব যাদের তারাই অপরাধীর পৃষ্ঠপোষকতা করছেন। বশেমুরবিপ্রবিতে যারা হামলা করেছে তাদের প্রত্যেকের নাম-পরিচয় প্রকাশ করতে হবে। তাদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।'

আরেক শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম বলেন, 'ধর্ষণের বিচারের দাবিতে আন্দোলনরতদের ওপর হামলা হচ্ছে। তারা যদি ক্ষমতাবান না হয় তাহলে এই হামলা করার স্পর্ধা কারো হয় কী করে? তারা জানে তাদের কেউ কিছু করতে পারবে না। এই বিচারহীনতার সংস্কৃতির অবসান ঘটাতে হবে।'

বশেমুরবিপ্রবির শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদ ও জড়িতদের বিচারের দাবিতে আগামী রোববার দুপুর ১২টায় রাজু ভাস্কর্যে মানববন্ধন করবে ঢাবির শিক্ষার্থীরা।

Comments

The Daily Star  | English

Crowd control: Police seek to stop use of lethal weapon

The police may stop using lethal weapons and lead pellets for crowd control as their widespread use during the July mass uprising led to massive casualties and global criticism.

1h ago