কারুকাজের ব্যস্ততাকে চির বিদায়, নানাবাড়ির মাটিতে শায়িত হবেন হিমেল

মাহমুদ হাবিব হিমেল। ছবি: সংগৃহীত

সব কারুকাজের ব্যস্ততাকে ছুটি দিয়ে চিরনিদ্রায় শায়িত হতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) শিক্ষার্থী হিমেলের মরদেহ নানাবাড়ি নাটোরে পৌঁছেছে।

এর আগে, আজ সকাল পৌনে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মাহমুদ হাবিব হিমেলের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে হাজার হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থী অংশ নেন।

হিমেল রাবির গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শহীদ শামসুজ্জোহা হলের ২১২ নাম্বার রুমে থাকতেন বলে জানা গেছে। হলে দীর্ঘদিন একইসঙ্গে থাকা সহপাঠীসহ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানান, হিমেল পাঠ্যক্রমের বাইরের কাজেও বেশ আগ্রহী ছিলেন।

হিমেলের নিজের দুটি কারুকাজের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন সহপাঠীরা। তারা জানিয়েছেন, হিমেল কারুকাজে বেশ পটু ছিলেন।

হিমেলের সহপাঠী মিঠুন সরদার লিখেছেন, তার শিল্পকর্মগুলো অসাধারণ। অথচ এই মেধার এভাবে বিলীন হতে হলো? এ মেধার মূল্য কী দিতে পারবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

জানা যায়, হিমেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম নাট্যদল ড্রামা এসোসিয়েশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

নিহত এই শিক্ষার্থীর বাবা আহসান হাবিব হেলাল বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার উলিপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন। তার মরদেহ নানাবাড়ি নাটোর সদরে নেওয়া হবে। সেখানে কাপড়িয়া পট্টি এলাকায় দাফনকাজ করা হবে বলে জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পান্ডে নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে আজ সকালে হিমেলের মাসহ কয়েকজন স্বজন বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলেন। তাদের সঙ্গে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার, দুই উপ উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান উল ইসলাম এবং অধ্যাপক চৌধুরী জাকারিয়া নাটোরের উদ্দেশ্য রওনা হন।

উল্লেখ্য, গতকাল রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) নির্মাণ সামগ্রী বহনকারী একটি ট্রাকের চাপায় নিহত হন মাহমুদ হাবিব হিমেল।  রাত পৌনে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ হবিবুর রহমান হল সংলগ্ন রাস্তায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

Comments

The Daily Star  | English

Jatrabari turns into battlefield due to student clash

Students of three colleges clashed at Dhaka's Jatrabari today, turning the area into a battlefield

Now