আন্দোলন ও পদত্যাগ বিষয়ে যা বললেন উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি আক্রমণের ঘটনা ঘটে ১৬ জানুয়ারি। আহত হন ৪০ জন শিক্ষার্থী। তখন থেকেই প্রাধ্যক্ষ বিরোধী আন্দোলন পরিণত হয় উপাচার্য বিরোধী আন্দোলনে। ঘটনার ২৭ দিন পরে এসে উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদ দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে আজ দুপুরে টেলিফোনে কথা হয় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে।

দ্য ডেইলি স্টার: গত ২৭ দিন ধরে আপনার সঙ্গে ফোনে কথা বলতে পারিনি। ফোন ধরতে পারেননি। এখন কি একটু কথা বলা যাবে?

অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ: হ্যাঁ, বলেন। কী বিষয়?

ডেইলি স্টার: আপনার একটি বিবৃতি পেয়েছি। যেখানে আপনি শাবিপ্রবির ঘটনার জন্যে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বিবৃতিটি কি আপনারই?

ফরিদ উদ্দিন আহমেদ: হ্যাঁ, আমারই।

ডেইলি স্টার: দুঃখ প্রকাশ করে বিবৃতি দেওয়ার জন্যে ২৭ দিন সময় লাগল কেন?

ফরিদ উদ্দিন আহমেদ: গত মাসের ১৮ তারিখে কিন্তু আমি এরকম একটি বিবৃতি দিয়েছিলাম। আরটিভি এবং বাংলাভিশনে প্রচার হয়েছে। লাইভ একটি বিবৃতি দিয়েছি কিন্তু।

ডেইলি স্টার: টেলিভিশনে কথা বলে বিবৃতি দিয়েছিলেন, না লিখিত দিয়েছিলেন?

ফরিদ উদ্দিন আহমেদ: না, তখন আমি টেলিভিশনে কথা বলে দিয়েছিলাম। এখন লিখিত দিয়েছি।

ডেইলি স্টার: প্রশ্ন আসছে, এমন একটি বিবৃতি দিতে ২৭ দিন লেগে গেল কেন? মাঝে তো অনেক ঘটনা ঘটে গেল!

ফরিদ উদ্দিন আহমেদ: না, আগে তো আমি বলে দিয়েছি। মিডিয়াতে এটা এসেছে। সব মিডিয়া এটা কাভার করেনি কেন, তা তো আমি জানি না।

ডেইলি স্টার: ২৭ দিন ধরে এত ঘটনা ঘটে গেল। আমি বলছি, বিবৃতি দিতে একটু দেরি হয়ে গেল কি না?

ফরিদ উদ্দিন আহমেদ: না না, দেরি হয়ে গেল না। জানুয়ারির ১৮ তারিখ, ঘটনার পরেই তো আমি বিবৃতি দিয়েছি। তখন আমার সামনে আরটিভি এবং বাংলাভিশন ছিল। লম্বা একটি বিবৃতি দিয়েছি তাদের সামনে। যা আপনাদের মিডিয়া কাভার করেনি।

ডেইলি স্টার: শিক্ষার্থীরা এখনো আপনার পদত্যাগ বা অপসারণের দাবিতে আন্দোলন করছেন। এ বিষয়ে কিছু বলবেন?

ফরিদ উদ্দিন আহমেদ: না, আমি কিচ্ছু বলব না।

ডেইলি স্টার: পদত্যাগ করবেন কি না বা শিক্ষার্থীরা এখনো আন্দোলনে আছে কেন?

ফরিদ উদ্দিন আহমেদ: আমি জানি না।

ডেইলি স্টার: শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী পদত্যাগ করবেন কি না?

ফরিদ উদ্দিন আহমেদ: এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করব না।

ডেইলি স্টার: আপনার কি মনে হয় শিক্ষার্থীদের দাবির যৌক্তিকতা আছে?

ফরিদ উদ্দিন আহমেদ: আমি কিচ্ছু বলব না এখানে। মন্তব্য নাই।

ডেইলি স্টার: আপনাকে নিয়ে এত ঘটনা, আপনি যদি কিছু না বলেন তাহলে লিখব কীভাবে?

ফরিদ উদ্দিন আহমেদ: না না, আমি তো বললাম আমার কোনো মন্তব্য নাই।

ডেইলি স্টার: শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছেন আপনার পদত্যাগের দাবিতে। আপনি শিক্ষক-উপাচার্য, শিক্ষার্থীরা আপনার সন্তানের মতো। সেই শিক্ষার্থীরা যেভাবে আন্দোলন করছেন, প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন, আপনার অপসারণ চাইছেন, পদত্যাগ চাইছেন।

ফরিদ উদ্দিন আহমেদ: এক্ষেত্রে আমার কোনো মন্তব্য নাই আমি তো বললাম। আপনার অধিকার আছে, আপনি একটি জিনিস নিয়ে কথা বলছেন। আমারও কথা বলার অধিকার আছে। তাদের কথা তারা বলবে। এই জায়গায় আমার কোনো মন্তব্য নাই।

ডেইলি স্টার: এই যে ২৭ দিন গেল, এর মধ্যে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কি আপনার কোনো কথা হয়েছে?

ফরিদ উদ্দিন আহমেদ: আমি এ নিয়ে কোনো কথা বলব না।

ডেইলি স্টার: ধন্যবাদ, ভালো থাকবেন।

Comments

The Daily Star  | English

Nowfel gained from illegal tobacco trade

Former education minister Mohibul Hassan Chowdhoury Nowfel received at least Tk 3 crore from a tobacco company, known for years for illegal cigarette production and marketing including some counterfeit foreign brands.

7h ago