শরীরচর্চার সঠিক সময়
শরীরচর্চার সঠিক সময় কোনটি, তা নির্বাচন করতে হবে প্রতিদিনের রুটিনের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে। ভোরে বা দুপুরে অথবা সন্ধ্যায় কখন শরীরচর্চা করবেন তার ওপর নির্ভর করবে আপনার জন্য কোন ধরনের শরীরচর্চা উপযুক্ত। শরীরচর্চার সময় এবং ধরনের মধ্যে ভারসাম্য রেখেই ঠিক করতে হবে ফিটনেস প্ল্যান।
ভোরবেলা
ভোরে শরীরচর্চা করার ক্ষেত্রে শরীরে পজিটিভ এনার্জি রাখতে হবে। একইসঙ্গে প্রয়োজন পারফেক্ট মনঃসংযোগ। তাই ভোরে ঘুম থেকে উঠেই শরীরচর্চা করা যাবে না।
ঘুম থেকে ওঠার পর শরীর অ্যাক্টিভ হতে কিছুটা সময় নিতে হবে। নিউট্রিশন এবং এনার্জি ফ্লো এক্সারসাইজের উপযুক্ত জায়গায় পৌঁছে তারপর ওয়ার্কআউট শুরু করতে হবে। সময়ের অভাবে ঘুম থেকে ওঠার আধা ঘণ্টার মধ্যে শরীরচর্চা করতে হলে হালকা জগিং বা মর্নিং ওয়ার্ক করুন।
ভোরে কোনো ভারি শরীরচর্চা করতে হলে তার আগে সঠিকভাবে ওয়ার্ম আপ করতে হবে। প্রয়োজনে ফিটনেস এক্সপার্টের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে হবে।
ভোরে শরীরচর্চা প্লান থাকলে সঠিক সময়ে ঘুমাতে হবে। সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানোর পর নির্দিষ্ট সময় অপেক্ষার পর শরীরচর্চা শুরু করতে হবে। তবে, কোনোদিন ঘুমাতে দেরি হলে প্রতিদিনের রুটিন অনুযায়ী শরীরচর্চা করা যাবে না। এতে শরীরের ওপর রাড়তি চাপ পড়তে পারে।
দুপুরবেলা
ঘুম থেকে ওঠার ছয় ঘণ্টা পর এবং ১২ ঘণ্টার মধ্যকার সময় শরীরচর্চার জন্য ভালো সময়। কেউ সকাল ছয়টায় ঘুম থেকে উঠলে দুপুর একটা থেকে সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে যে কোনো সময় তার জন্য ভালো সময়।
লাঞ্চের কত সময় পরে শরীরচর্চা শুরু করতে হবে সে ব্যাপারে ফিটনেস এক্সপার্টের সঙ্গে আলোচনা করে নিতে হবে।
প্রতিদিন দুই ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় ভারী এক্সারসাইজের পরিকল্পনা থাকলে অবশ্য দিনের যে কোনো সময় বেছে নিতে পারেন।
সন্ধ্যাবেলা
সন্ধ্যায় অফিস থেকে ফিরে শরীরচর্চা করা যেতে পারে। তবে, অবশ্যই শুরুর আগে যথেষ্ট বিশ্রাম নিতে হবে। তাহলে এক্সারসাইজের সময় শরীরে ক্লান্তিভাব থাকবে না।
সন্ধ্যাবেলার জন্য যোগব্যায়াম উপযুক্ত। হোমজিমে ট্রেডমিল, টুইস্টার এক্সারসাইজ বা সাইক্লিং করা যেতে পারে। সন্ধ্যায় শরীরচর্চা শেষে ১৫ মিনিট মেডিটেশন করুন।
টুকিটাকি
শরীরচর্চার সময়ের সঙ্গে খাবারের সময়ের ভারসাম্য না থাকলে ভালো ফল পাওয়া যায় না।
শরীরচর্চার পর শরীরের তাপমাত্রা এবং হরমোনাল ফ্লো বেড়ে যায়। তাই ঘুমানের আগে ভারি এক্সারসাইজ না করায় ভালো।
Comments