বাংলাদেশি প্রবাসীদের মাত্র ২০০ টিকেট দিয়েছে মালদ্বীপ!

বলা হয়ে থাকে দর্শকরা মাঠে দ্বাদশ খেলোয়াড়ের ভূমিকা পালন করে থাকেন। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে তো এটা অনেকটাই প্রমাণিত। র‍্যাঙ্কিংয়ে ৮২ ধাপ এগিয়ে থাকা দলটির বিপক্ষে বেঙ্গল টাইগারদের অসাধারণ পারফরম্যান্সের পেছনে এক ঝাঁক প্রবাসী বাংলাদেশিদের সমর্থন অনস্বীকার্য। কিন্তু মালদ্বীপের বিপক্ষে পরবর্তী ম্যাচে এ সমর্থন নাও পেতে পারে লাল-সবুজ জার্সিধারীরা।

আগামী বৃহস্পতিবার স্বাগতিক মালদ্বীপের বিপক্ষে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। কিন্তু এ ম্যাচের জন্য বাংলাদেশিদের কাছে পর্যাপ্ত টিকেট বিক্রি করছে না বলেই অভিযোগ করছে প্রবাসীরা। মাত্র ২০০টি টিকেট তাদের হয়েছে বলে জানান তারা। স্বাগতিকদের বিপক্ষে তাদের মাঠে বাংলাদেশের সমর্থন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে তারা এমনটা করছেন বলে অভিযোগ করেন প্রবাসীরা।

মঙ্গলবার সকাল থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও টিকেট মিলেনি এক সমর্থকের, 'বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ-মালদ্বীপ ম্যাচ দেখার জন্য আমি আজ (মঙ্গলবার) সকাল সাড়ে ৯টা থেকে টিকেটের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলাম। কিন্তু যখন আমি কাউন্টারে পৌঁছেছিলাম, তখন তারা বলেছিল যে বাংলাদেশের জন্য টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে।'

টিকেটের জন্য লাইনে দাঁড়ানো আরেক সমর্থকও একই অভিযোগ করেন, 'আমার সামনে লাইনে খুব কম বাংলাদেশীই ছিল। কিন্তু আমাদের বলা হয়েছিল যে বাংলাদেশি প্রবাসীদের জন্য বরাদ্দ ২০০টি টিকেট বিক্রি হয়ে গেছে। এই টিকেটগুলো পরে গোপনে বিক্রি হতে পারে।'

টিকেট সংকট নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের সেক্রেটারি আনোয়ারুল হক হেলাল জানিয়েছিলেন, মোট টিকেটের ৮ শতাংশ অ্যাওয়ে টিমের জন্য রাখা হয়েছে। তবে টিকেটের সংকট নিয়ে মালদ্বীপ এফএ'র সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি।

কোভিড-১৯ মহামারির কারণে ৯০০০ ধারণক্ষমতার জাতীয় ফুটবল স্টেডিয়ামে অর্ধেক সংখ্যক দর্শক মাঠে ঢোকার অনুমোদন দিয়েছে মালদ্বীপ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশি প্রবাসীদের ৪০০ থেকে ৫০০ টিকিট পাওয়ার কথা।

এ প্রসঙ্গে মালদ্বীপে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোহাম্মদ নাজমুল হাসান বলেন, 'আজ সকালে প্রবাসীরা আমাকে টিকেট সংকট সম্পর্কে অবহিত করেছেন এবং  এ ব্যাপারে কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আমি ইতোমধ্যে মালদ্বীপের যুব মন্ত্রণালয় এবং বাফুফে সভাপতি কাজী সালাহউদ্দিনের সঙ্গে কথা বলেছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Unpacking the proposed reforms to our revenue system

The primary logic behind the separation of revenue tasks at issue is to inject an element of operational independence into the proposed bodies.

8h ago