৪০০ উইকেট পাওয়ার ম্যাচে সাকিবের আক্ষেপ
আর একটি উইকেট পেলেই স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে ৪০০ উইকেট পাওয়ার অনন্য কীর্তি গড়বেন ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ম্যাচ শুরুর আগে এমনই ছিল পরিসংখ্যান। মিনিস্টার ঢাকার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে তুলেই সেই কীর্তিটি গড়েন সাকিব। কিন্তু তারপরও মাথা নিচু করেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে সময়ের অন্যতম সেরা এ অলরাউন্ডারকে। কারণ হাতের মুঠোয় থাকা জয়টি কেড়ে নেওয়ার মূল কারিগরই যে ছিলেন ওই মাহমুদউল্লাহ।
সাকিব যখন ঢাকার অধিনায়কের উইকেটটি পেলেন ততোক্ষণে ম্যাচ প্রায় শেষ। দুই দলের রান তখন সমান। ১৬ বল ও ৪ উইকেট হাতে নিয়ে বাকি কাজ করা কঠিন নয় কোনো দলের জন্য। হয়ও-নি। তাই ৪০০তম উইকেট পেয়েও কোনো উদযাপন ছিল না সাকিবের। এক্সট্রা কভারে দারুণ ক্যাচ ধরেও হাসি ছিল না ডোয়াইন ব্রাভোর মুখে। উল্টো উইকেট হারালেও স্বস্তি নিয়েই মাঠ ছাড়েন মাহমুদউল্লাহ। জানেন প্রথম জয়ের ভিতটা গড়ে দিয়েছেন এরমধ্যেই।
ক্রিকেট ইতিহাসের পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ৪০০ উইকেট পেলেন সাকিব। এরজন্য সাকিবকে ম্যাচ খেলতে হয়েছে ৩৫৩টি। ৩৪৭ ইনিংসে বল করে এ মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। ফাইফার পেয়েছেন চারবার। তবে এ সংস্করণে সর্বোচ্চ ৫৫৪টি উইকেট পেয়েছেন তার বরিশাল সতীর্থ ডোয়াইন ব্রাভো। মজার ব্যাপার, এদিন সাকিবের ৪০০তম উইকেটের ক্যাচটা নিয়েছেন এ ক্যারিবিয়ান তারকাই।
সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সাকিবের ফরচুন বরিশালকে ৪ উইকেটে হারায় মাহমুদউল্লাহর মিনিস্টার ঢাকা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১২৯ রান করে বরিশাল। জবাবে ১৫ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছায় ঢাকা। অথচ লক্ষ্য তাড়ায় দলীয় ১০ রানে প্রথম সারীর ৪ উইকেট খুইয়ে বসেছিল দলটি। সেখান থেকে শুভাগত হোমকে নিয়ে দলকে টেনে আনেন মাহমুদউল্লাহ। দানবীয় ব্যাটিংয়ে বাকি কাজ শেষ করেন আন্দ্রে রাসেল।
উইকেট এদিনও কিছুটা মন্থর ছিল। তার উপর ১০ রানেই প্রতিপক্ষের প্রথম সারীর ৪টি উইকেট তুলে নেয় বরিশাল। এমন ম্যাচে নিজেদেরই জয় পাওয়া উচিৎ ছিল বলে মনে করেন সাকিব, 'আমি মনে করি আমরা ব্যাট হাতে ভালো করেছি। এটি (উইকেট) কিছুটা কঠিন ছিল তবে দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেট বেশ ভালো হয়ে যায়। কিন্তু ১০ রানে ৪ উইকেট নেওয়ার পর আমাদের ম্যাচটি জেতা উচিত ছিল... তবে মাহমুদউল্লাহ ও হোমকে কৃতিত্ব দিতে হবে।'
মিরপুরে দিনের প্রথম ম্যাচে লো স্কোরিংই হয়ে আসছিল। এদিনও ছিল তাই। সেখানে প্রতিপক্ষকে ১৩০ রানের লক্ষ্য দেওয়া মোটেও কম ছিল না। তাই নিজেদের ব্যাটারদের দিকে আঙুল তুলতে পারছেন না অধিনায়ক। তবে পরের ম্যাচে আরও ভালো ব্যাটিং করার প্রত্যয় ঝরে তার কণ্ঠে, ' দিনের তিনটি ম্যাচই ছিল লো স্কোরিং। আমরা আমাদের ব্যাটসম্যানদের দিকে আঙুল তুলতে পারি না। রাতের খেলাগুলো হাই স্কোরিং হয়েছে। আশা করছি পরের ম্যাচে ব্যাটসম্যানরা আরও ভালো করতে পারবে। তবে ১০ রানে ৪ উইকেট নেওয়ার পর আমাদের ম্যাচ জেতা উচিৎ ছিল'
Comments