সুজনের 'ধমক' খেয়ে হৃদয়ের ছক্কা
বয়সভিত্তিক দল থেকেই বেশ হাত খুলে ব্যাট করতে দেখা গেছে তৌহিদ হৃদয়কে। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগের (বিপিএল) বড় মঞ্চে এখনও সে রূপে দেখা যায়নি এ তরুণকে। এমনকি অনুশীলনেও যেন নিজেকে খোলসে বন্দী রেখেছেন। আর তাই দেখে কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন রেগে অগ্নিমূর্তি। তাতেই যেন কাজটা হলো টনিকের মতো।
দেশের বেশির ভাগ তরুণ ক্রিকেটারদের জন্য সুজন কেবল একজন কোচই নন, একজন অভিভাবকও। দুঃসময়ে ক্রিকেটাররা খুঁজে নেন তাকে। কখনো নিজেই খুঁজে নেন। উৎসাহ দেন, প্রয়োজন হলে করেন শাসনও। এমন চিত্রই দেখা গেল জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে।
ঢাকার প্রথম পর্ব শেষে সাগরিকায় আগের দিনই পৌঁছেছে ফরচুন বরিশাল। এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অনুশীলনে আসে দলটি। মাঠে পূর্ব পাশে লম্বা সময় অনুশীলন করতে দেখা যায় ব্যাটারদের। সেখানে অনুশীলন করছিলেন হৃদয়ও। তবে ঠিক নিজের সহজাত ব্যাটিং থেকে যেন কিছুটা ভিন্ন।
এদিন নেট স্পিনারদেরও সমীহ করে খেলছিলেন হৃদয়। এমনকি বাজে বলেও চড়াও হচ্ছিলেন না তিনি। মারার চেষ্টা ছিল না বললেই চলে। একটি সহজ বল রক্ষণাত্মক ঢঙ্গে খেলতে দেখেই ধমকের সুরেই সুজন বলেন, 'এই বলটা ছক্কা মারার বল, তুই ব্লক করলি কেন?'
সুজনের এ কথাতেই যেন নড়েচড়ে ওঠেন হৃদয়। পরের বলেই মারেন বিশাল এক ছক্কা। পূর্ব গ্যালারির পাশ ঘেঁষা নেট থেকে বল আছড়ে ফেলেন স্টেডিয়ামের বাইরে। ওই সময় পাশে নেটে ব্যাট করছিলেন নুরুল হাসান সোহান। তিনিও স্টেডিয়ামের বাইরে ফেলেন একটি বল। হাসি ফোঁটে সুজনের মুখে।
বাংলাদেশ ক্রিকেটের পাইপলাইনের কথা যদি বলা হয়, সেক্ষেত্রে শুরু দিকেই থাকবে হৃদয়ের নাম। বয়সভিত্তিক দল থেকে নজরে আসা এ ক্রিকেটারকে দেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎই মানা হয়। তবে প্রথমবারের মতো বিপিএলের মঞ্চে এসে অভিজ্ঞতার কারণেই হয়তো কিছুটা খোলসে এ তরুণ।
Comments