শরিফুলের মানসিকতা দারুণ: টেইট
বাংলাদেশের তরুণ বাঁহাতি পেসার শরিফুল ইসলামের প্রতি মুগ্ধ অস্ট্রেলিয়ান সাবেক পেসার শন টেইট। আগ্রাসী মানসিকতার কারণে শরিফুলের সঙ্গে যেকেউ কাজ করতে আগ্রহী হবে বলে মনে করেন তিনি।
টেইট নিজে ছিলেন গতিময় তারকা। একশো মাইল গতিতে বল করা ইতিহাসের তিন পেসারের একজন তিনি। খেলোয়াড়ি জীবনে গতি আর বাউন্সের আগ্রাসী মানসিকতায় ব্যাটসম্যানদের ভিত নাড়িয়ে দিতে চাইতেন। শরিফুলের গতি মাঝারি হলেও তার মধ্যে এই মানসিকতা দেখতে পেয়েছেন টেইট। এবার বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের পেস বোলিং কোচ হিসেবে আসা এই কোচ নিজের দলে পাচ্ছেন শরিফুলকেও।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাম্প্রতিক সময়ে আলো ছড়ানোয় চট্টগ্রামের পেস আক্রমণে বড় নাম শরিফুল। মাউন্ট মাঙ্গানুইতে বাংলাদেশের জয়ে ৬৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে শুরুর মোমেন্টাম এনে দেন এই বাঁহাতি। ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় টেস্টেও পেয়েছেন ২ উইকেট।
উইকেটের বাইরেও চোখে পড়ার মতো ছিল তার ইতিবাচক অ্যাপ্রোচ। সেই সিরিজ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে শরিফুলের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহ বেড়ে গেছে টেইটের, 'সফরটি বাংলাদেশের জন্য দারুণ ছিল, তার জন্য তো বটেই। সে আক্রমণ করতে পছন্দ করে, স্টাম্পে বল রাখে। তার উৎসাহ ও উদ্যম সহজেই চোখে পড়ে। দূর থেকে তাকে দেখেই তার সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ জাগে, কারণ ফাস্ট বোলিংয়ের প্রতি তার মানসিকতা দারুণ।'
বাংলাদেশে যেসব উইকেটে খেলা হবে তাতে পেস বোলারদের জন্য নেই বিশেষ সুবিধা। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে এসব উইকেটে ডেথ ওভার বোলিং নিয়েই তাই পেসারদের প্রস্তুত করছেন তিনি, 'ডেথ বোলিং নিয়ে কথা বলতে পছন্দ করি আমি। বিশেষ করে এখানে, এই মাঠে ডেথ বোলিং শেষ ৪-৫ ওভার আমাদের জন্য হতে যাচ্ছে দারুণ গুরুত্বপূর্ণ। আমার কৌশল হলো টুর্নামেন্ট জুড়ে সবকিছু সাধারণ ও গোছানো রাখা এবং আমাদের কৌশল ও ভাবনা থেকে সরে না যাওয়া। সাধারণ, স্বচ্ছ পরিকল্পনা।'
Comments