নিজের আলাদা বিশেষত্ব বুঝিয়ে দিয়েছেন জয়?
ছোট্ট ক্যারিয়ারে এরমধ্যেই সামর্থ্যের ছাপ রেখেছেন মাহমুদুল হাসান জয়। পরিস্থিতির দাবি মেটানো ব্যাটিং নিয়ে একইসঙ্গে আলো কেড়েছেন দীর্ঘ ও সংক্ষিপ্ত দুই পরিসরের ক্রিকেটেই। বাংলাদেশের সাবেক কোচ স্টিভ রোডসেরও মন কেড়েছেন এই তরুণ।
মঙ্গলবার রাতে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের জয়ে বড় ভূমিকা ছিল জয়ের। তিন নম্বরে নেমে এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান খেলেছেন ৩৫ বলে ৪৮ রানের ইনিংস। শুরুতে পাওয়ার প্লের মধ্যে তার স্ট্রাইকরেট ছিল ২০০।
এই ম্যাচ দিয়েই বিপিএলে অভিষেক হয় জয়ের। প্রথম ম্যাচেই তার ঝলকে ১৫৮ রান করে কুমিল্লা। পরে নাহিদুল ইসলামের দারুণ বোলিংয়ে বরিশাল গুটিয়ে যায় মাত্র ৯৫ রানে।
এমনিতে দীর্ঘ পরিসরের ঘরানার ব্যাটসম্যান মনে করা হলেও টি-টোয়েন্টিতেও যে তিনি ছাপ রাখতে পারেন এদিন দেখিয়েছেন জয়। ম্যাচ শেষে কুমিল্লার পরামর্শক রোডস জয়ের ব্যাটিং ধরণ, ব্যক্তিত্বে মুগ্ধতার কথা জানালেন, 'তার মধ্যে একটা শান্ত-শীতল ভাব আছে। অস্থিরতায় ভুগে না। কেবলই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ও বিপিএল ক্যারিয়ার শুরু করল। আমার মনে হয় সে দারুণ সম্ভাবনাময় একজন। অসাধারণ স্ট্রোকমেকার, স্লগ না করেই ভাল গতিতে রান করতে সে পটু।'
নিউজিল্যান্ড সফরে মাউন্ট মাঙ্গানুই টেস্টে বাংলাদেশের ঐতিহাসিক জয়ের টেস্টে ওপেন করতে নেমে ২২৮ বলে ৭৮ রান করেছিলেন জয়। সেদিন দেখিয়েছিলেন চোয়ালবদ্ধ দৃঢ়তা, অসাধারণ নিবেদন। টি-টোয়েন্টিতে পরিস্থিতি যখন ভিন্ন তাকে দেখা গেল ভিন্ন মেজাজে। রোডসের মনে হচ্ছে অন্যদের চেয়ে এরমধ্যেই নিজেকে আলাদা করে ফেলেছেন তিনি, 'অন্যদের চেয়ে যে সে আলাদা এরমধ্যে সে এটা বোঝাতে পেরেছে। নিউজিল্যান্ডে শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে এক অসাধারণ ইনিংস খেলেছে। ভালো ক্রিকেটার হওয়ার সব রকমের উপকরণ আছে ওর মধ্যে।'
এমনিতে সময় নিয়ে থিতু হয়ে খেলার ধরণ ছিল জয়ের। এই কারণে টেস্ট ও ওয়ানডেতে তার আগামী দেখা হচ্ছিল সম্ভাবনাময়। কিন্তু এবার বিপিএলে নেমেই জয় জানান দিলেন, সংক্ষিপ্ততম সংস্করণের সুরটাও ধরতে পারছেন তিনি, 'অনেককেই সে চমকে দিয়েছে। অনেক সময় তরুণ ক্রিকেটাররা চমক উপহার দেয়। তার ইনিংসটি ছিল দারুণ।'
Comments