চোখ ধাঁধানো বোলিংয়ে রেকর্ড বইয়ে নাহিদুল
প্রথম ওভারে কোন রান না দিয়েই উইকেট নিলেন নাহিদুল ইসলাম । পরের ওভারে ১ রান দিয়ে পেলেন আরেকটি। নিজের তৃতীয় ওভারেও দিলেন না এক রানের বেশি। শেষ ওভারে তুলনামূলক খরুচে, তাও দিলেন মাত্র ৩ রান। পেলেন ক্রিস গেইলের উইকেট। তাতে করে বিপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে কম রান দেওয়ার রেকর্ড হয়ে গেল এই স্পিনারের।
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের নাহিদুলের বোলিং ফিগার রীতিমতো চোখ ধাঁধানো। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অনেকটা অবিশ্বাস্যও বলা যায়। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে তার বোলিং ফিগার ৪-১-৫-৩! অনেকটা যেন ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখার মতো।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এর ইতিহাসে এটিই যৌথভাবে সেরা ইকোনমিক বোলিংয়ের রেকর্ড। সর্বোচ্চ চার ওভার বল করে এর আগে মাত্র ৫ রান দিয়ে রেকর্ডটি ছিল পাকিস্তানের শহিদ আফ্রিদির।
২০১৫ সালের আসলে সিলেট সুপার স্টার্সের হয়ে বরিশাল বুলসের বিপক্ষে ৪ ওভার বল করে মাত্র ৫ রান দিয়েছিলেন আফ্রিদি। তার বোলিং ফিগার ছিল ৪-১-৫-২। রান সমান হলেও নাহিদুল উইকেট নিলেন একটি বেশি।
বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে নাহিদুলই এখন বিপিএলে এককভাবেই সেরা ইকোনমিক বোলিং ফিগারের মালিক। এর আাগে ২০১৭ সালের আসরে রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে ঢাকা ডায়নামাইটসের সাকিব আল হাসান ৪ ওভারে ৮ রান দিয়ে নিয়েছিলেন ৪ উইকেট।
নাহিদুলের দুর্দান্ত দিনে উড়ছে তার দলও। আগে ব্যাট করে কুমিল্লা করে ১৫৮ রান। ওই পুঁজি সামলাতে ইনিংসের প্রথম ওভারেই বল হাতে পান নাহিদুল। প্রথম ৫ বল ব্যাটসম্যান সৈকত আলিকে বেধে রেখে বাধ্য করেন ভুল করতে। স্লগ করতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সৈকত।
নিজের দ্বিতীয় ওভারে নাহিদুল নেন সাকিব আল হাসানের উইকেট। তৃতীয় ওভারে উইকেট না পেলেও দেন কেবল ১ রান। ৩ ওভার শেষে তার বোলিং ফিগার দাঁড়ায় ৩-১-২-২। শেষ ওভারে পান বড় উইকেট। প্রথম চার বল ২ রান দিয়ে বেধে রেখেছিলেন ব্যাটারদের। মারার চাহিদায় গেইল ক্রিজ থেকে বেরিয়ে হয়ে যান স্টাম্পিং। ম্যাচেও আশা নিভে যায় ফরচুন বরিশালের
Comments