খোলস ছেড়ে বেরিয়ে যেভাবে আগ্রাসী ফ্লেচার-সৌম্য

andre fletcher & Soumya Sarkar

আগের ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ১৪৬ তাড়ায় নেমে খুলনা টাইগার্সের দুই ওপেনার আন্দ্রে ফ্লেচার আর  সৌম্য সরকার দলকে ডুবিয়েছিলেন। তাদের সংগ্রামমুখর মন্থর ব্যাটিং রান তাড়ায় সমীকরণ করে দিয়েছিল কঠিন। সেদিন এই দুজনের খেলার ধরণে হতাশা জানাতেও পরোয়া করেননি অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। পরের ম্যাচেই একদম ভিন্ন মেজাজে পাওয়া গেল দুজনকে। এবার ওভার তারা রান আনলেন ওভারপ্রতি ১০ করে, জেতালেন দলকে।  

বৃহস্পতিবার দুপুরে মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চেনা ছন্দে পাওয়া যায় ফ্লেচার-সৌম্যকে। ১৪৩ রান তাড়া করতে গিয়ে দুজনে মিলে পাওয়ার প্লেতেই এনে ফেলেন ৬৫ রান। পাওয়ার প্লের পরও রান বেড়েছে তরতরিয়ে। ওপেনিং জুটিতেই চলে আসে ৯৯ রান।

দলকে জেতানোর পথে ৩১ বলে ৪৩ করেন সৌম্য, ফ্লেচারের ব্যাট থেকে আসে ৪৭ বলে অপরাজিত ৭১ রানের ইনিংস। অথচ জড়সড় অবস্থায় আগের ম্যাচে সৌম্য ১৩ রান করেছিলেন ২২ বলে। ফ্লেচার ২৩ বলে করেন ১২। ইয়াসির আলির আগ্রাসী ফিফটির পরও খুলনা সেদিন ম্যাচ হেরেছিল ৬ রানে।

এমনিতে ইতিবাচক অ্যাপ্রোচে ব্যাট করার জন্য সুনাম ফ্লেচার-সৌম্য দুজনেরই। কিন্তু বরিশালের বিপক্ষে মুজিব উর রহমান, সাকিব আল হাসানদের বিপক্ষে তাদের পাওয়া যায় খোলসবন্দি। দলও ভোগ করে এর নেতিবাচক ফল।

গা ঝাড়া দিয়ে পরের ম্যাচে নিজেদের ফিরে পাওয়ার পর বেশ স্বস্তিতে খুলনা। ম্যাচ জয়ের পর ফ্লেচার জানালেন ওই দিনের পর ড্রেসিংরুমে হয় কড়া আলোচনা। নিজেদের খেলার ধরণ নিয়ে তাতে পরিষ্কার বার্তা পেয়ে যান দুজন,   'ড্রেসিং রুমে আমাদের আলোচনা হয়েছে। আমরা বুঝতে পারছিলাম আমাদের কি করতে হবে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলব। বোলাররা ভাল বল করেছে। সৌম্য (রানে) ফিরেছে। রান করতে পেরে আমি খুশি।'

'আমরা পাওয়ার প্লেতে সংগ্রাম করছিলাম। এটা ইতিবাচক যে আজ পাওয়ার প্লে কাজে লেগেছে। যখন ওপেনাররা ভালো প্লাটফর্ম দেয় এটা দলের জন্য ভাল

মিরপুরে সাধারণত দিনের ম্যাচে রান করা হয় কঠিন। সিলেট ১৪২ রান করার পর চ্যালেঞ্জ ছিল খুলনার। তবে রান তাড়ায় ফ্লেচার-সৌম্য ছিলেন একদম সাবলীল। এই ক্যারিবিয়ান ওপেনার জানালেন উইকেটের ধরন বুঝতে পারায় দ্রুত রান আনতে পেরেছেন তারা, 'আমার মনে হয় উইকেট সহজ ছিল না। আমরা বুঝতে পারছিলাম পেসাররা এক্সটা বাউন্স পাবে। সৌম্য আর আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম পেসারদের উইকেট দেব না। বাউন্সটা আবার স্পিনারদের বিপক্ষে খেলতে সাহায্য করছিল। আমাদের মধ্যে কথা হচ্ছিল। যেটা বেশ কাজে দিয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English

For the poor, inflation means a daily struggle

As inflation greets Bangladeshis at breakfast time, even the humble paratha becomes a symbol of struggle. Once hearty and filling, it now arrives thinner and lighter -- a daily reminder of the unending calculations between hunger and affordability.

9h ago