এক ইনিংসে মাহমুদউল্লাহর অনেক কীর্তি

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে এদিন অসাধারণ এক ইনিংস খেলেছেন মিনিস্টার ঢাকার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। যা তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। আর এ ইনিংসে দারুণ কিছু মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন তিনি। তৃতীয় বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে পেয়েছেন পাঁচ হাজার রান। এমনকি বিপিএলেও তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে দুই হাজার রানের কোটা স্পর্শ করেছেন ঢাকা অধিনায়ক।

মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৮১ রান তুলেছে মাহমুদউল্লাহর দল।

বিপিএলে এবার বড় ইনিংস যেন হয়েও হচ্ছিল না মাহমুদউল্লাহর। এর আগে তিন বার ফিফটির পথে এগিয়েছিলেন। কিন্তু তিনবারই হতাশ হতে হয় তাকে। এদিন কুমিল্লার বিপক্ষেই পেলেন কাঙ্ক্ষিত ফিফটি। তাতে অনেক মাইলফলকই পার করেন তিনি।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭০ রানের ইনিংস খেলে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকেছেন মাহমুদউল্লাহ। ৪১ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান অধিনায়ক। যা বিপিএল তো বটেই, তার ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ।

একই সঙ্গে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে পাঁচ হাজার রান পূরণ হয় তার। সবমিলিয়ে ২৭২ ম্যাচে ৫০৪৫ রান এখন মাহমুদউল্লাহর। এর আগে দেশের হয়ে পাঁচ হাজার রান পেরিয়েছেন সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল।

একই সঙ্গে বিপিএলে মাহমুদউল্লাহর সংগ্রহ হলো ২০১৪ রান। ৭৬ ম্যাচ খেলে এ রান করলেন তিনি। বিপিএলে অবশ্য সাকিবের চেয়ে বেশি রান মাহমুদউল্লাহর। তার সামনে রয়েছেন মুশফিকুর রহিম ও তামিম। মুশফিকের সংগ্রহ ২৪০৮ রান। আর সবার উপরে থাকা তামিমের সংগ্রহ ২৪৮৩ রান।

এদিন ম্যাচের অষ্টম ওভারে ক্রিজে আসেন মাহমুদউল্লাহ। প্রথম ৬ বলে ৩ রান করা ঢাকা অধিনায়ক সাত নম্বরে বলে ছক্কা মেরে আগ্রাসনের শুরু করেন। এরপর নিয়মিতই মেরেছেন বাউন্ডারি। চতুর্দশ ওভারে পেসার শহিদুল ইসলামকে ছক্কা মেরে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে পাঁচ হাজার রান স্পর্শ করেন মাহমুদউল্লাহ।

এদিন টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে মোহাম্মদ শাহজাদকে নিয়ে দলের গোড়াপত্তন করতে নামেন তামিম ইকবাল। তবে জুতসই হয়নি। দলীয় ৭ রানেই ফিরে যান শাহজাদ। মোস্তাফিজুর রহমানের বলে পড়েন এলবিডাব্লিউর ফাঁদে।

এরপর ইমরান উজ্জামানকে দলের হাল ধরেন তামিম। গড়েন ৪৮ রানের জুটি। করিম জানাতের বলে বোল্ড হয়ে যান ইমরান। তার বিদায়ে এ জুটি ভাঙলে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে দলের হাল ধরেন তামিম। স্কোরবোর্ডে ৩০ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটার।

আরও একটি বড় ইনিংসের ইঙ্গিত দিয়ে ফিফটির দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন তামিম। কিন্তু তানভির ইসলামের বলে শর্ট মিডউইকেটে ধরা পড়েন তিনি। ৩৫ বলে ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ৪৬ রান করেন তিনি। তামিম আউট হলেও বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় ঢাকা।

এরপর শুভাগত হোম, আন্দ্রে রাসেল, নাঈম ও মাশরাফি বিন মুর্তজাকে নিয়ে দলের ইনিংস বড় করার চেষ্টা চালিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ। ছোট ছোট জুটিতে এগিয়ে যেতে থাকেন তিনি। চতুর্থ উইকেটে ২৫, পঞ্চম উইকেটে ২০, ষষ্ঠ উইকেটে ৩০ ও সপ্তম উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ২১ রানের জুটিতে বড় পুঁজিই পায় দলটি।

Comments

The Daily Star  | English
Impact of dollar crisis

As dollar jumps, old inflation battle to get tougher in new year

After a four-month lull, US dollar prices made an abrupt jump in December, making imports more expensive and pushing up business costs.

12h ago