আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে সাকিবের অসন্তোষ
তখন পঞ্চম ওভারের খেলা। নাজমুল হোসেন শান্তকে করা সুমন খানের বলটা লেগ স্টাম্পের অনেক বাইরে হওয়ায় অনায়াসেই হতো ওয়াইড। কিন্তু বল পড়ার আগেই আম্পায়ার ডেকেছিলেন 'ডেড' বল। ফরচুন বরিশাল অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের তা মনঃপুত হয়নি। ওয়াইড দাবি করে তিনি মাঠের বাইরে রিজার্ভ আম্পায়ারের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন।
বরিশালের ড্রেসিংরুমের সামনে সাকিব, দলের ম্যানেজার সাব্বির খান গিয়ে জানান হতাশা। এসময় রিজার্ভ আম্পায়ার আলি আরমানের সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা বলতে দেখা যায় তাদের। তবে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলানোর উপায় ছিল না।
ওই ওয়াইড না হলেও অবশ্য সমস্যা হয়নি। ওই ওভার থেকে দুই চার আর এক ছক্কা মারেন মুনিম শাহরিয়ার, আসে ১৬ রান। পরের ওভারে শান্তকে ফিরিয়ে দেন তানবীর ইসলাম। ক্রিজে ব্যাট করতে নেমেও আম্পায়ার মুজাহিদুজ্জামানের সঙ্গে এই নিয়ে কথা বলেছেন তিনি। জানিয়েছেন নিজের অসন্তোষ। তবে সাকিবের দাবিটি কতটা ন্যায্য তা আছে প্রশ্ন। খালি চোখে দেখা গেছে বল ডেলিভারির আগেই কোন কারণে 'ডেড' কল করেছিলেন আম্পায়ার। পেসার সুমন সেটা আমলে না নিয়েই করেন ডেলিভারি। তাতেই বাধে বিপত্তি।
পরে জানা যায়, ওই সময় এডিআরএস প্রযুক্তি অচল হয়ে যাওয়ার কথা টিভি আম্পায়ার অবহিত করেছিলেন মাঠের আম্পায়ারকে। সেই তথ্য পেয়েই বলটি ডেড করেন আম্পায়ার।
আম্পায়ারিং মনঃ-পুত না হওয়ায় এর আগে অনেকবারই মাঠে সাকিবকে ক্ষুব্ধ হতে দেখা গেছে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে ক্ষোভ জানিয়ে লাথি দিয়ে স্টাম্প ভাঙ্গা, স্টাম্প আছাড় মারার ঘটনা ঘটান তিনি।
ম্যাচে অবশ্য সাকিবের দলই দেখায় দাপট। ব্যাট হাতে ৩৭ বলে সর্বোচ্চ ৫০ রান আসে সাকিবের ব্যাটে। আগে ব্যাট করে ১৫৫ রান করার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ইনিংস চেপে ধরেন তারা। বল হাতেও সাকিবই ছিলেন দলের সেরা। ৪ ওভার বল করে ২০ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরাও তিনি।
Comments