অনেক অদল-বদল করেও সাকিবদের মাঝারি পুঁজি
তিন ম্যাচে দুই হার। বড় বাজেটের দল বানিয়েও দলের এমন অবস্থায় চিন্তা বাড়ছিল ফরচুন বরিশালের। মরিয়া হয়ে নেমে খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে এদিন একাদশে তারা আনল চার বদল। ব্যাটিং অর্ডারে হলো অনেক অদল বদল। ওপেন থেকে পাঁচে সরলেন নাজমুল হোসেন শান্ত, তিন থেকে সাতে নেমে গেলেন সাকিব আল হাসান। তবু দল পেল না বড় পুঁজি।
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শনিবার খুলনার বিপক্ষে বরিশাল করতে পেরেছে ৯ উইকেটে ১৪১ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রান এসেছে ক্রিস গেইলের ব্যাটে।
আগের ম্যাচগুলোতে মিডল অর্ডারে খেলানো হয়েছিল গেইলকে। এবার তাকে পাঠানো হয় ওপেনিংয়ে। সঙ্গী হিসেবে চমক চায়নাম্যান স্পিনার হিসেবে দলে থাকা জ্যাক লিন্টট।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটি জমেনি। তৃতীয় ওভারে দলের ২৬ রানে বিদায় নেন লিন্টট। তবে বল নষ্ট করেননি তিনি। ৬ বলে ১১ রান করে ক্রিজ থেকে বেরিয়ে মারতে গিয়ে হন বোল্ড। বরিশালের ফাটকা থাকে চলাম। জিয়াউর রহমানকে নামানো হয় তিন নম্বর। নিশ্চিতভাবে বড় শটের চিন্তায়।
কিন্তু জিয়া করেন হতাশ। অনেকগুলো ডট বল খেলে উল্টো চাপ বাড়িয়ে দেন এই ডানহাতি। আরেক পাশে গেইল কিছু বাউন্ডারি বের করতে পারছিলেন। এক ছক্কায় জিয়া ফেরেন ১৩ বলে ১০ রানে।
চারে নামানো হয় নুরুল হাসান সোহানকে। তিনিও করেন হতাশ। তবে তার আগেই থিতু হওয়া ইনিংসটার সমাপ্তি টানেন গেইল। ক্যারিবিয়ান তারকা লেগ স্পিনার সেকুগে প্রসন্নকে উড়াতে গিয়ে ৩৪ বলে ৪৫ রান করে নেন বিদায়। গেইলের ৪৫ রানের ৩৬ রানই এসেছে বাউন্ডারি থেকে। শেখ মেহেদীর বলে ছক্কার চেষ্টায় বাউন্ডারি লাইনে সৌম্য সরকারের দারুণ ক্যাচে ধরা দেন সোহান।
ওপেনিং থেকে পাঁচে সরে যাওয়া শান্ত আর ছয়ে নামা তৌহিদ হৃদয় মিলে যোগ করেন ৩৫ রান, কিন্তু সেটা করতে লাগিয়ে ফেলেন ৩১ বল। হৃদয় বিদায় নেন ২১ বলে ২৩ করে। স্লগ ওভারে দ্রুত রান আনার চাহিদা মিটছিল না। সাত নম্বরে নেমে প্রথম দুই বলে দুই চার মারার পর সাকিবও উড়তে পারেননি বেশি। ৬ বলে ৯ রান করে থিসারা পেরেরার বলে ক্যাচ দেন মিড উইকেটে। ১৫ বলে ১৯ করা শান্তও শিকার থিসারার।
খুলনার বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং, চোখ ধাঁধানো ফিল্ডিংয়ে শেষ দুই ওভারেও আসেনি পর্যাপ্ত রান।
Comments