লিটন-মুশফিকের দিকে তাকিয়ে সাকিব
১৪১ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমে ২৩ রানেই পড়ে যায় ৪ উইকেট। শেষ দিনে ইনিংস হার এড়াতেই বাকি ৬ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের চাই আরও ১০৭ রান। পরিস্থিতিটা যে কত কঠিন টের পাচ্ছেন সাকিব আল হাসান। তবে তার আশা পঞ্চম দিনে আরেকটি জুটি গড়বেন মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাস। সাকিব নিজে উইকেটে সময় পার করেন তিন ঘণ্টা। তাহলে বাংলাদেশ বাঁচিয়ে ফেলবে ম্যাচ।
ঢাকা টেস্টের চতুর্থ দিন শেষে দাপট নিয়ে চালকের আসনে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশের ৩৬৫ রানের জবাবে অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস-দিনেশ চান্দিমালের সেঞ্চুরিতে তারা করে ৫০৬ রান। ১৪১ রানে পিছিয়ে চতুর্থ দিনের শেষ বিকেলে ব্যাটিংয়ে গিয়ে তাসের ঘর স্বাগতিকদের ইনিংস।
প্রথম ইনিংসে ২৪ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর ২৭২ রানের জুটি গড়েন লিটন-মুশফিক। এবার ২৩ রানে ৪ উইকেট পতনের পর এই দুজনের কাছ থেকে তেমন এবারও প্রতিরোধের আশায় সাকিব, 'মুশফিক ভাই ও লিটনের মতো যদি কেউ দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে পারে দুইজন তাহলে ম্যাচ বাঁচানোর আশা আছে।
'দলকে বাঁচাতে হলে আমরা যারা আছি এখনো ছয়টা উইকেট আছে। সবাইকে অবদান রাখতে হবে। পঞ্চম দিনে এরকম পরিস্থিতি ওরা যখন আসবে কাল প্রথম ঘণ্টা তো ফুল অ্যাটাক করবে আমাদের। খুবই স্বাভাবিক। আমরা ওদের জায়গায় থাকলে তাই করতাম। আমাদের সামলাতে হবে। লাঞ্চ পর্যন্ত না হারাই উইকেট তাহলে একটা জায়গায় আসার চেষ্টা করব।'
সাকিব মনে করেন, পঞ্চম দিনে লাঞ্চের আগে কোন উইকেট পড়লেই ম্যাচে আর আশা থাকবে না বাংলাদেশের। লাঞ্চ পর্যন্ত তাই শক্ত প্রতিরোধের প্রত্যাশা তার। এরপর নিজে নেমে রান নয়, চেষ্টা চালাবেন ক্রিজ আঁকড়ে পড়ে থাকার, 'এখন দলের যা পরিস্থিতি সেঞ্চুরি থেকে আমি যদি তিন ঘণ্টা ব্যাট করি, আশা করি যে দুজন আছে ওরা যদি লাঞ্চ পর্যন্ত খেলতে পারে। আমি তারপরে তিন ঘণ্টা ব্যাট করতে পারলে দলের জন্য ওটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ আসলে। লাঞ্চের আগে একটার বেশি উইকেট পড়লে আমরা খুব বাজে অবস্থায় থাকব। লাঞ্চ টাইম গুরুত্বপূর্ণ।'
তবে চারদিন পেরুলেও মিরপুরের উইকেট এখনো ভয়াবহ হয়নি। দুই পেসার বাদ দিলে শ্রীলঙ্কার বাকি বোলাররা প্রথম ইনিংসেও পরীক্ষায় ফেলতে পারেননি বাংলাদেশকে। কাসুন রাজিতা আর আসিতা ফার্নান্দোর স্পেল সামলাতে পারলে লম্বা সময় ব্যাট করা সম্ভব বলে মনে করছেন সাকিব, 'যখন দুটা ব্যাটসম্যান এই উইকেটে থিতু হয়ে যাবে তখন তাদের আউট করা কঠিন। আপনি যদি দেখেন তাদের দুটা ফ্রন্ট লাইন বোলার হচ্ছে পেসার। পেস বোলাররা ম্যাক্সিমাম পাঁচ থেকে ছয় ওভারের স্পেল করতে পারে। লাঞ্চের ভেতর হয়ত দুজন সর্বোচ্চ দশ-দশ বিশ ওভার বল করতে পারবে। ওই থ্রেট সামলাতে পারলে আমাদের জন্য অনেক সহজ হয়ে যাবে। বল পুরান হয়ে যাবে, বোলাররা ক্লান্ত হবে, ব্যাটসম্যান থিতু হবে।'
Comments