ব্যাটিং ব্যর্থতায় বাংলাদেশের সাদামাটা পুঁজি

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

শততম ম্যাচ খেলতে নেমে উইকেটে দারুণ সেট হয়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। সেট হয়েছিলেন দেশের হয়ে একশর বেশি ম্যাচ খেলা আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহও। কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে পারলেন না কেউই। পারেননি তরুণরাও। ব্যাটিং ব্যর্থতায় আফগানিস্তানের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সাদামাটা পুঁজি নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হলো বাংলাদেশকে।

শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানকে ১১৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১১৫ রান তোলে টাইগাররা।

টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটাই ভালো করতে পারেনি বাংলাদেশ। মুনিম শাহরিয়ার হতাশ করেছেন এদিনও। দারুণ একটি বাউন্ডারি মারার এক বল পরই হাঁকাতে গিয়ে লংঅফে ধরা পড়েন তিনি। বড় ধাক্কাটা টাইগাররা খায় পঞ্চম ওভারে। সিরিজ জুড়ে দুর্দান্ত ছন্দে থাকা লিটন দাস আউট হয়ে যান আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের বলে স্কয়ার লেগে শরাফউদ্দিনের হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দিয়ে। ফলে পাওয়ার প্লেতে দুই উইকেট হারিয়ে ৩৩ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ।

পাওয়ার প্লে শেষেও থামেনি টাইগারদের সংগ্রাম। পরের ওভারেই ফিরতে পারতেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ। রশিদ খানের বলে পড়েছিলেন এলবিডাব্লিউর ফাঁদে। আম্পায়ার আঙুল তুললেও রিভিউ নিয়ে বাঁচেন তিনি। এ যাত্রা বেঁচে গেলেও এক ওভার পর সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ভুল বোঝাবোঝির খেসারৎ দিয়ে কাটা পড়েন রানআউটে। হতাশ করেন সাকিবও। এগিয়ে এসে হাঁকাতে গিয়ে আকাশে বল তুলে উইকেটরক্ষকের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ফলে প্রথম ১০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৪৭ রান তুলতে পারে টাইগাররা।

এরপর শততম ম্যাচ খেলতে নামা মুশফিকের সঙ্গে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। ৪৩ রানের জুটিতে চাপ সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেন এ দুই অভিজ্ঞ ব্যাটার। কিন্তু রানের গতি যখনই বাড়াতে গ্যেছেন, তখনই আউট হয়েছেন তারা। টাইগার অধিনায়ককে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন রশিদ খান। তাকে এলবিডাব্লিউর ফাঁদে ফেলেন। এরপর ফজল হক ফারুকির স্লোয়ারে টাইমিংয়ে হেরফের করে মুশফিক ক্যাচ তুলে দেন কভারে।

মুশফিককে আউট করে যেন আরও উজ্জীবিত ফারুকি। তাতে লেজের ব্যাটাররাও কিছু করতে পারেননি। শেখ মেহেদী হাসান ও শরিফুল ইসলামকে দারুণ দুটি ডেলিভারিতে বোল্ড করে দেন এ পেসার। আর আজমতের ফুলটাস বলে স্কুপ করতে গিয়ে শর্ট লেগে ধরা পড়েন আফিফ হোসেন। ফলে সাদামাটা পুঁজি নিয়েই মাঠ ছাড়ে টাইগাররা।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩০ রান আসে মুশফিকের ব্যাট থেকে। ২৫ বলে ৪টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। এছাড়া মাহমুদউল্লাহ করেন ২১ রান। আফগানদের পক্ষে দারুণ বল করেন দুই পেসার ফারুকি ও আজমত। ১৮ রানের খরচায় ৩টি উইকেট উইকেট নেন ফারুকি। আজমত ৩টি উইকেট নেন ২২ রানের বিনিময়ে। ১টি উইকেট পেলেও ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান খরচ করেন নবি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১১৫/৯ (মুনিম ৪, নাঈম ১৩, লিটন ১৩, সাকিব ৯, মুশফিক ৩০, মাহমুদউল্লাহ ২১, আফিফ ৭, মেহেদী ০, নাসুম ৫*, শরিফুল ০, মোস্তাফিজ ৬*; ফারুকি ৩/১৮, নবি ১/১৪, আজমত ৩/২২, রশিদ ১/৩০, আশরাফ ০/১০, করিম ০/১৭)।

Comments

The Daily Star  | English
explanations sought from banks for unusual USD rates

Explanations sought from 13 banks for higher dollar rate

BB issued letters on Dec 19 and the deadline for explanation ends today

2h ago