ঘাটতি কোথায় বুঝতে পারছেন না কোচও

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ইনিংসের শুরুতেই হজরতউল্লাহ জাজাইকে ফেরানো যেত খালি হাতে। সেই জাজাই হলেন আফগানিস্তানের জয়ের নায়ক। পার্শ্বনায়ক উসমান গনিকেও ফেরানোর সুযোগ ছিল একাধিকবার। নষ্ট হয় সে সুযোগ। তাতে লড়াইটাও করতে পারেনি বাংলাদেশ। আট উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতে সিরিজে সমতায় ফেরায় সফরকারীরা।

তবে শুধু এদিনই নয় এর আগেও ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচেও তিনটি সহজ সুযোগ নষ্ট করে হারে বাংলাদেশ। সবমিলিয়ে আফগানদের বিপক্ষে এ সিরিজে পাঁচ ম্যাচে নয়টি সহজ ক্যাচ মিস। স্বাভাবিকভাবেই বড় দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিষয়টি।

কিন্তু কেন এমন হচ্ছে তা ঠিক বুঝতেও পারছেন না বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো, 'সবশেষ পাঁচ ম্যাচে নয়টা ক্যাচ ছুটেছে হাত থেকে। এটা মনোযোগের ঘাটতি, আত্মবিশ্বাসের অভাব নাকি চাপের জন্য হচ্ছে, এ নিয়ে আমি শতভাগ নিশ্চিত নই।'

'আমাদের নিশ্চিত করতে হবে, এখানে আমরা উন্নতি করছি। ফিল্ডিংয়ে অনেক ভুল করছি আর এর মাশুল দিতে হচ্ছে। বিশ্বকাপে আমরা এর মাশুল দিয়েছি, এখানে দিচ্ছি, টেস্ট ক্রিকেটে দিয়েছি। অনুশীলনে অসংখ্য ক্যাচ ধরা যায়, সেখানে ড্রিলগুলো করা যায় কিন্তু দিনশেষে ম্যাচে ছেলেদের ক্যাচগুলো ধরতে হবে।' -যোগ করেন এ প্রোটিয়া কোচ।

এদিন ব্যাটাররাও ছিলেন ব্যর্থ। উইকেট বুঝতেই পারেননি তারা। তেড়েফুঁড়ে মারতে গিয়ে শুরু থেকেই চাপ সৃষ্টি করেছেন। সে চাপ কাটিয়ে উঠতে পারলেও একই ভুলে ফের চাপে পড়েছেন। শেষ পর্যন্ত লড়াই করার জন্য পর্যাপ্ত পুঁজি সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয় টাইগাররা।

তবে এদিন মিরপুরের উইকেটও ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ কঠিন ছিল বলে মনে করেন ডমিঙ্গো, 'এটা ব্যাটিংয়ের জন্য খুব সহজ উইকেট ছিল না। বিশেষ করে আজকে। গত ম্যাচের উইকেটটা বেশ ভালো ছিল। এটা ১১৫ রানের উইকেট নয়, আবার ১৬০ রানেরও নয়। আমার ধারণা, ১৩৫ রান হলে আমরা ম্যাচে থাকতাম।'

'এক সময়ে আমাদের রান ছিল ৪ উইকেটে ৯৯। সেখান থেকে ১৩৫ রান পর্যন্ত যাওয়া সম্ভব ছিল। ব্যাটিংয়ের কিছু জায়গা নিয়ে দুর্ভাবনা আছে, এ নিয়ে কোনো সংশয় নেই। তবে, এই উইকেটটা ব্যাটিংয়ের জন্য সহজ ছিল না। কারণ, এখানে বল স্পিন করছিল, গ্রিপ করছিল। কোনোটা লাফাচ্ছিল, কোনোটা নিচু হচ্ছিল। সহজ ছিল না, ব্যাটিং কঠিন ছিল।'

'ব্যাটসম্যানদের উইকেট বুঝতে পারা খুব গুরুত্বপূর্ণ। মুশফিক বলেছিল, এখানে ১৩৫ থেকে ১৪০ রান হবে ভালো সংগ্রহ। এক সময়ে ৪ উইকেটে ৯৯ রান ছিল, তখন আমরা ম্যাচ ছিলাম। এরপর কিছু সফট ডিসমিসালে আমরা ১১৫ রানে থমকে যাই। এটা যথেষ্ট ছিল না।'

জুটি হওয়ার পরও তা বড় করতে না পারার আক্ষেপটাও ঝরে ডমিঙ্গোর কণ্ঠে, 'প্রথম ম্যাচেও যখন একটা জুটি গড়ে উঠছিল তখনই উইকেট হারিয়েছি। অনেক ২০-৩০ রানের জুটি হয়েছে। সেটা ম্যাচ জেতাবে না, এর জন্য দরকার ৭০ রানের জুটি। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমরা ভুল সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আজ রিয়াদ আর মুশফিকের জুটি চমৎকারভাবে এগোচ্ছিল। এরপর রিয়াদ আউট হয়ে গেল। বড় দলগুলোর বিপক্ষে এই ভুল করা যাবে না।'

সবমিলিয়ে ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত এ সংস্করণে আরও ব্যাপক উন্নতি করতে হবে বলেই মনে করেন এ প্রোটিয়া কোচ, 'এই সংস্করণে আমাদের আরও অনেক উন্নতি করতে হবে। আমরা ঠিক পথেই আছি কিন্তু কিছুটা পিছিয়ে আছি।'

Comments

The Daily Star  | English

Beximco workers' protest turns violent in Gazipur

Demonstrators set fire to Grameen Fabrics factory, vehicles, vandalise property

2h ago