এবার একাই লড়লেন লিটন, দুইশো করতে পারল না বাংলাদেশ
গত ম্যাচের ছন্দ এই ম্যাচেও টেনে এনেছিলেন লিটন দাস। বাকিদের ব্যর্থতায় ইনিংস টেনে আরও একটি সেঞ্চুরির পথে ছিলেন তিনি। তবে সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে লিটনের বিদায়ে পথ হারায় বাংলাদেশও। পরের দিকে একের পর এক উইকেট হারিয়ে দুইশো রানের আগেই শেষ হয়ে গেছে স্বাগতিকদের ইনিংস।
সোমবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ১৯ বল আগেই ১৯২ রান করেছে স্বাগতিকরা। দলের হয়ে এদিনও সর্বোচ্চ লিটনের। ১১৩ বলে ৭ চারে ৮৬ করেছেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সাকিব আল হাসানের ৩০। শেষ পর্যন্ত ক্রিজে থাকা মাহমুদউল্লাহ করেছেন ২৯ রান।
আফগানদের হয়ে সেরা বোলিং তাদের শীর্ষ তারকা রশিদ খানের। এই লেগ স্পিনার ৩৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
টস জিতে এদিনও কোন দ্বিধা না রেখে ব্যাটিং বেছে নেন তামিম ইকবাল। সতর্ক শুরুর পর দলকে প্রথম অস্বস্তি উপহার দেন তামিমই। প্রথম দুই ম্যাচের মতো এদিনও বাঁহাতি পেসার ফজল হক ফারুকির আড়াআড়ি বল খেলতে অসুবিধা হচ্ছিল তার। আউটও হন তেমন এক বলে। প্রথম দুই ম্যাচ থেকে তফাৎ হলো এবার এলবিডব্লিউর বদলে বোল্ড হন তামিম। ২৫ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ১১ রান।
লিটনের সঙ্গে মিলে দ্বিতীয় উইকেটে অবশ্য ভালো জুটি পান সাকিব আল হাসান। ৬৯ বলে তাদের জুটিতে আসে ৬১ রান। থিতু হওয়া সাকিব ফেরেন আয়েশি এক শটে। আজমতুল্লাহ ওমরজাইর বল স্টাম্পে টেনে বোল্ড হন তিনি। ৩৬ বলে সাকিব করেন ৩০ রান।
আগের ম্যাচে লিটনের সঙ্গে রেকর্ড জুটি গড়লেও এবার ব্যর্থ মুশফিকুর রহিম। রশিদ খানের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন। ইয়াসির আলি রাব্বি অভিষেকে শূন্য রানে আউট হয়েছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং পাননি। এবার দলের চাপে সুযোগ পেয়ে করেছেন কেবল ১ রান। তাকেও ছেঁটেছেন রশিদ।
লিটন ছিলেন আশার প্রতীক। টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরির দিকেই এগুচ্ছিলেন তিনি। খেলছিলেন অনায়াসে। দলের ভরসা এই ওপেনার এবার তিন অঙ্কে যেতে পারলেন না। সতর্ক পথেই খেলছিলেন। কিন্তু রানের তাড়াও বাড়ছিল মোহাম্মদ নবির বলে স্লগ সুইপের চেষ্টায় টাইমিংয়ের গড়বড়ে ক্যাচ দেন লং অনে।
প্রথম ম্যাচের হিরো আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ ছিলেন আসা যাওয়ার মাঝে। আফিফকে ফেরান নবি, মিরাজ হন রান আউট। তাসকিন আহমেদকে তুলে নেন রশিদ। শেষ দুই ব্যাটার হন রান আউট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ৪৬.৫ ১৯২ (তামিম ১১, লিটন ৮৬, সাকিব ৩০, মুশফিক ৭, ইয়াসির ১, মাহমুদউল্লাহ ২৯*, আফিফ ৫, মিরাজ ৬, তাসকিন ০, শরিফুল ৭, মোস্তাফিজ ১ ; ফারুকি ১/৩৩, মুজিব ০/৩৭, ওমরজাই ১/২৯, গুলাবদিন ০/২৫, রশিদ ৩/৩৭, নবি ২/২৯)
Comments