আফিফ-মিরাজের অবিস্মরণীয় জুটিতে যত রেকর্ড
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ২১৬ রান তাড়ায় ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারানোর পরিস্থিতি থেকে দলকে অবিস্মরণীয় জয় পাইয়ে দিয়েছেন আফিফ হোসেন ও মেহেদী হাসান মিরাজ। তাদের ১৭৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে উলট পালট হয়েছে রেকর্ড বই।
- প্রথম ছয় ব্যাটসম্যান কেবল ৩০ রান করার পর এর আগে ওয়ানডেতে জেতেনি কোন দল। বুধবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানের সম্মিলিত রান ছিল মাত্র ৩০। এর আগের রেকর্ডটি ছিল পাকিস্তানের। দুবার এমন নজির তাদের। ১৯৯৭ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শারজাহতে পাকিস্তানের প্রথম ছয় ব্যাটসম্যান করেন ৪১। পরে মঈন খানের ব্যাটে তারা ১৫১ রান করে জিম্বাবুয়েকে হারায় ৩২ রানে। ২০০০ সালে ব্রিসবেনে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও তাদের প্রথম ছয় জনের রান ছিল ৪১। পরে ১৮৪ রান করে ম্যাচটি তারা জিতে নেয় ৪৫ রানে।
- প্রথম ছয় উইকেট পড়ার পর লক্ষ্যে পৌঁছাতে সবচেয়ে বেশি রান তাড়ারও রেকর্ড হয়েছে বাংলাদেশের। ৪৫ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর বাংলাদেশের দরকার ছিল আরও ১৭১ রান। রেকর্ড ভেঙ্গে তা করে দেখান আফিফ-মিরাজ। আগের রেকর্ড ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০০২ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ছয় উইকেট পড়ার আরও ১৬৪ রান করে জিতেছিল তারা।
- সপ্তম উইকেটে একটুর জন্য বিশ্ব রেকর্ড গড়া হয়নি আফিফ-মিরাজের। ওয়ানডে ইতিহাসে তাদের অবিচ্ছিন্ন ১৭৪ রানের জুটিটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। প্রথম স্থানে আছে জস বাটলার ও আদিল রশিদের ১৭৭ রানের জুটি। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২০১৫ সালে এমনটি করেছিলেন তারা।
- ৪৫ রান বা তার নিচে ৬ উইকেট হারানোর পর ম্যাচ জেতার ঘটনা ওয়ানডেতে আছে আর কেবল চারটি। সর্বনিম্নটি অস্ট্রেলিয়ার।। ১৯৯৬ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৩৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল তারা। পরে ঘুরে দাঁড়িয়ে ১৭৩ রান তাড়া করে ম্যাচ জিতে। ১০০ রানের নিচে ৬ উইকেট হারানোর পর আর একবারই ওয়ানডেতে জিতেছিল বাংলাদেশ। ১৯৯৯ বিশ্বকাপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৫ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর মিনহাজুল আবেদিন নান্নুর ফিফটিতে ১৮৫ রান করে বাংলাদেশ ম্যাচ জিতেছিল ২২ রানে। ওই জয়টি বিশ্বকাপেও বাংলাদেশের প্রথম জয়।
- ৬ নম্বরের পরে নামা কোন ব্যাটসম্যানদের সর্বোচ্চ অবদানে ম্যাচ জেতারও রেকর্ড হয়েছে। বুধবার রান তাড়ায় বাংলাদেশের মোট রানের ৭৯.৪৫ শতাংশ এসেছে আফিফ ও মিরাজের ব্যাটে। যা ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ। এর আগের রেকর্ড ইংল্যান্ডের। ২০১৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৮ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল তারা। পরে সাতে নামা মঈন আলি, আটে নামা ক্রিস ওকস ও দশে নামা টম ক্যারানের ব্যাটে ১৯৬ রান করেছিল তারা। দলের মোট রানের ৭৯.০৮ শতাংশ এসেছিল ছয় নম্বরের পরের ব্যাটারদের কাছ থেকে। যদিও ম্যাচটি জিততে পারেনি ইংল্যান্ড।
- ওয়ানডেতে সাত নম্বর বা তার নিচে ব্যাট করে আফিফের ৯৩ রানই বাংলাদেশি কোন ব্যাটারের সর্বোচ্চ। মিরাজের ৮১* দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এর আগের রেকর্ড ছিল মাহমুদউল্লাহর। ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৮ নম্বরে নেমে অপরাজিত ৭৫ রান করেছিলেন তিনি।
- মিরাজের অপরাজিত ৮১ রান ওয়ানডেতে রান তাড়ায় কোন ৮ নম্বর ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ ইনিংস। এর আগের রেকর্ড ছিল হিথ স্ট্রিকের। ২০০১ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অপরাজিত ৭৯ রান করে জিম্বাবুয়েকে জিতিয়েছিলেন তিনি।
Comments