নাসুমের সেই ওভারকে দায় দিচ্ছেন মোসাদ্দেক
৬৭ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে তখন ধুঁকছে জিম্বাবুয়ে। ১৪ ওভার শেষে তাদের রান ৬ উইকেটে ৭৬। ১৫ ওভার শেষে সেই রান হয়ে গেল ১১০। নাসুম আহমেদের উপর রায়ান বার্লের তাণ্ডবে ভোজবাজির মতই বদলে গেল ছবি। জিম্বাবুয়ের জুতসই পুঁজি আর টপকাতে পারল বা বাংলাদেশ। হারের জন্য নাসুমের ওভারটিকেই দায় দিচ্ছেন এই ম্যাচের অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।
হারারেতে মঙ্গলবার জিম্বাবুয়ের ১৫৬ টপকাতে না পেরে ১০ রানে ম্যাচ হারে বাংলাদেশ।প্রথমবার জিম্বাবুয়ের কাছে হারে টি-টোয়েন্টি সিরিজও।
আগে ব্যাটিং বেছে অতি আগ্রাসী চিন্তায় খেলতে গিয়ে ৬৭ রানে প্রথম ৬ ব্যাটারকে হারিয়ে বিপদে পড়ে গিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। এরপর সপ্তম উইকেটে খেলা ঘুরিয়ে দেন রায়ান বার্ল আর লুক জঙ্গুই।
সপ্তম উইকেটে মাত্র ৩১ বলে তুলেন ৭৯ রান। এই ঝড়ের যাত্রা শুরু হয় নাসুমকে দিয়ে। তার ওভারে ৫ ছক্কা আর এক চারে ৩৪ নেন বার্ল। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে যা বাংলাদেশি কোন বোলারের সবচেয়ে খরুচে ওভার।
হারের কারণ ব্যাখ্যায় ম্যাচ শেষে মোসাদ্দেক দায় দিলেন এই ওভারকেই, 'প্রথম ১৪ ওভারে আমরা খেলায় আধিপত্য দেখিয়েছি। কিন্তু এক ওভার খেলা বদলে দিয়েছে।'
তবে শেষ ৬ ওভারে ৮০ রান তুলেও ১৫৬ রান করেছিল জিম্বাবুয়ে। ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে যা তাড়া করা ছিল খুবই সম্ভব। কিন্তু দিকহারা পরিকল্পনায় বাংলাদেশ ডুবেছে। চার ও পাঁচ নম্বর ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মিলে ৪৭ বল খেলে তুলেন ৪২ রান। ২০ বলে ১৬ করেন শান্ত। ২৭ বলে কেবল ২৭ করেন অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ।
তাদের মন্থর ব্যাটিংয়ে তৈরি হওয়া রানের চাপ আর মেটানো যায়নি। আফিফ হোসেন ২৭ বলে ৩৯ করে অপরাজিত থাকলেও লাভ হয়নি। মোসাদ্দেক অবশ্য শুরুর উইকেট হারানোকেই রান তাড়া করতে না পারার কারণ বলছেন, 'টি-টোয়েন্টিতে শুরুতে উইকেট হারালে তাড়া করা কঠিন।'
জিম্বাবুয়েতে গিয়ে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হারলেও প্রিয় সংস্করণ ওয়ানডেতে সব পুষিয়ে দেওয়ার আশা মোসাদ্দেকের। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ২০১৪ সাল থেকে জিম্বাবুয়ের কাছে অজেয় বাংলাদেশ এবারও ধরে রাখতে চায় সেই ধারা, 'সবাই জানে ওয়ানডেতে আমরা কত ভালো দল। আশা করি ঘুরে দাঁড়িয়ে সেখানে সেরাটা দেখাব।'
Comments