ইসরায়েলের প্রতিপক্ষকে মোকাবিলায় অস্বীকৃতি, নিষিদ্ধ আলজেরিয়ার জুডোকা
প্রথম রাউন্ডে জিতলে দ্বিতীয় রাউন্ডে তার প্রতিপক্ষ হতেন ইসরায়েলের তোহার বাটবাল। কিন্তু ফিলিস্তিনের প্রতি রাজনৈতিক সমর্থনের কারণে ইসরায়েলের কারও মুখোমুখি হতে চাননি আলজেরিয়ার জুডোকা ফেথি নুরিন। সেকারণে তিনি নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন টোকিও অলিম্পিক থেকে।
এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেনি আন্তর্জাতিক জুডো ফেডারেশনের (আইজেএফ)। তারা শাস্তি দিয়েছে নুরিন ও তার স্বদেশি কোচ আমের বেনিকলেফকে। দুজনকেই সাময়িকভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
টোকিও অলিম্পিকে জুডোর অনূর্ধ্ব-৭৩ কেজি ওজনশ্রেণিতে আগামী সোমবার অংশ নেওয়ার কথা ছিল নুরিনের। প্রথম রাউন্ডে ৩০ বছর বয়সী এই জুডোকার প্রতিপক্ষ থাকতেন সুদানের মোহামেদ আবদেলরাসুল। জয়ী হলে নুরিনকে মোকাবিলা করতে হতো ইসরায়েলের বাটবালকে। তিনি বাই পেয়ে ইতোমধ্যে জায়গা করে নিয়েছেন দ্বিতীয় রাউন্ডে।
পৃথক পৃথক বিবৃতিতে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন নুরিন ও তার কোচ। আলজেরিয়ান সংবাদমাধ্যমের কাছে নুরিন বলেছেন, 'অলিম্পিকে পৌঁছাতে আমরা অনেক কষ্ট করেছি। কিন্তু ফিলিস্তিনের বিষয়টি সবকিছুর চেয়ে অনেক বড়।'
বেনিকলেফ বলেছেন, 'ড্রতে আমাদের ভাগ্য সুপ্রসন্ন হয়নি। আমরা ইসরায়েলের একজনকে প্রতিপক্ষ হিসেবে পাচ্ছি। সেকারণে আমাদের সরে দাঁড়াতে হছে। আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি।'
নুরিনের এভাবে সরে দাঁড়ানোর ঘটনা এটাই প্রথম নয়। ২০১৯ সালে টোকিওতে বিশ্ব জুডো চ্যাম্পিয়নশিপেও ইসরায়েলের প্রতিপক্ষের মুখোমুখি না হতে নাম প্রত্যাহার করেছিলেন তিনি।
আলজেরিয়ান অলিম্পিক কমিটি ইতোমধ্যে দুজনের টোকিও অলিম্পিকের অ্যাক্রিডিটেশন প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তাদেরকে দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। আরও বড় শাস্তি পাওয়ার শঙ্কায় রয়েছেন তারা।
দুই আলজেরিয়ানের আচরণ ও সিদ্ধান্তকে তাদের 'দর্শনের পুরোপুরি বিপরীত' উল্লেখ করে আইজেএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, 'আইজেএফের একটি কঠোর বৈষম্যহীন নীতি রয়েছে, যার গুরুত্বপূর্ণ একটি লক্ষ্য হলো, জুডোর মূল্যবোধের মাধ্যমে সংহতির বিস্তার ঘটানো।'
Comments