উইলিয়ামসনের ব্যাটে অজিদের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দিল নিউজিল্যান্ড

অসাধারণ বোলিং করলেন জশ হ্যাজলউড। কিন্তু বড় ভুলটা হয়তো তিনিই করে ফেলেন। ব্যক্তিগত ২১ রানেই ফিরতে পারতেন কেন উইলিয়ামসন। তার তুলে দেওয়া সহজ ক্যাচ ধরতে পারেননি হ্যাজলউড। সেই উইলিয়ামসনকে তুলে নিয়েছেন হ্যাজলউডই। তবে এর আগেই অসাধারণ ব্যাটিংয়ে কিউই অধিনায়ক নিউজিল্যান্ডকে এনে দিয়েছেন লড়াইয়ের পুঁজি।

রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়াকে ১৭৩ রানের লক্ষ্য দিয়েছে নিউজিল্যান্ড। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৭২ রান তোলে দলটি।

টস হেরে ব্যাট করতে নামা নিউজিল্যান্ডের শুরুটা ছিল ভালো। ইনিংসের প্রথম চার ওভারে আসে ২৮ রান। প্রথম ওভারে করে ৯, দ্বিতীয় ওভারে আসে একটি বাউন্ডারি, আর তৃতীয় ওভারে ১০ রান নেয় দলটি। চতুর্থ ওভারে দারুণ এক চারে শুরু করেন মার্টিন গাপটিল। কিন্তু সে ওভারেই বিদায় নেন ড্যারিল মিচেল। তাতে কিছুটা খোলসে ঢুকে যায় নিউজিল্যান্ড। পাওয়ার প্লের শেষ দুই ওভারে আসে মাত্র ৪ রান। ফলে প্রথম ছয় ওভারের সুবিধা সে অর্থে আদায় করতে পারেনি কিউইরা। ৩২ রান নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।

পাওয়ার প্লেতে শেষ হতে সিঙ্গেলসে ভর করে এগিয়ে যেতে থাকে নিউজিল্যান্ড। টানা চার ওভারে মিলেনি কোনো বাউন্ডারি। তাতে কিছুটা চাপে ছিল কিউইরা। নবম ওভারে মিচেল মার্শের চতুর্থ ও পঞ্চম বলে টানা দুটি চার মেরে সে চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। এরপর ধীরে ধীরে খোলস ভাঙতে থাকে দলটি।

তবে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের করা ইনিংসের তৃতীয় ওভারের তৃতীয় বলে বটম এজ হয়েছিলেন গাপটিল। তবে দুরূহ ক্যাচটি লুফে নিতে পারেননি উইকেটরক্ষক ম্যাথু ওয়েড। গাপটিল তখন ১০ রানে। তবে পরের ওভারে ড্যারিল মিচেলের ক্যাচটি ঠিকই ধরেন এ উইকেটরক্ষক। জশ হ্যাজলউডের বলে ব্যাটের কানায় লাগে মিচেলের। সামনের দিকে ঝুঁকে নিচু ক্যাচটি লুফে নেন ওয়েড।

একাদশ ওভারে ফিরতে পারতেন উইলিয়ামসনও। মিচেল স্টার্কের ফুলটাস বল লংলেগে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু হ্যাজলউড ধরতে পারেননি। যার খেসারতে পরের দুই বলে স্টার্ককে দুটি বাউন্ডারি মারেন কিউই অধিনায়ক। এ অজি পেয়ারের সে ওভারে আসে ১৯ রান।

অধিনায়কের আগ্রাসী মেজাজে পরের ওভারে আগ্রাসী হতে চেয়েছিলেন গাপটিলও। কিন্তু প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সীমানায় ধরা পড়েন তিনি। পরের ওভারে টানা দুই ছক্কায় ১৬ রান দেন উইলিয়ামসন। অপর প্রান্তে তার সঙ্গে পার্টিতে যোগ দেন গ্লেন ফিলিপ্সও। স্টার্কের করা ১৫তম ওভারে ৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ২২ রান তুলে নেন এ দুই ব্যাটার। গড়েন ৬৮ দারুণ এক জুটি।

১৮তম ওভারে এ দুই ব্যাটারকে ফিরিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে দারুণভাবে ম্যাচে ফেরান হ্যাজলউড। দুইজনই ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে ধরা পড়েন সীমানায়। তবে ততোক্ষণে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়ে যায় কিউইরা।  

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৫ রানের ইনিংস খেলেন উইলিয়ামসন। ৪৮ বলে ১০টি চার ও ৩টি ছক্কায় নিজের ইনিংস সাজান অধিনায়ক। গাপটিল করেন ২৮ রান। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে মাত্র ১৬ রানের খরচায় ৩টি উইকেট পান হ্যাজলউড। এদিন ৪ ওভার বল করে ৬০ রান হজম করেন স্টার্ক।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

নিউজিল্যান্ড: ২০ ওভারে ১৭২/৪ (গাপটিল ২৮, মিচেল ১১, উইলিয়ামসন ৮৫, ফিলিপ্স ১৮, নিশাম ১৩*, সেইফার্ট ৮*; স্টার্ক ০/৬০, হ্যাজলউড ৩/১৬, ম্যাক্সওয়েল ০/২৮, কামিন্স ০/২৭, জাম্পা ১/২৬, মার্শ ০/১১)

Comments

The Daily Star  | English

Unpacking the proposed reforms to our revenue system

The primary logic behind the separation of revenue tasks at issue is to inject an element of operational independence into the proposed bodies.

8h ago