৫ উইকেট তুলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ
দুই ওপেনারকে থিতু হতে দিলেন না মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও তাসকিন আহমেদ। পরে তাদের দেখানো পথে হাঁটলেন শরিফুল ইসলাম ও সাকিব আল হাসান। জিম্বাবুয়ের ইনিংস মাঝপথে না যেতেই ৫ উইকেট তুলে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে চালকের আসনে বসে গেল বাংলাদেশ।
শুক্রবার হারারেতে ২৭৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমেছে স্বাগতিকরা। এই প্রতিবেদন লেখার সময়, তাদের সংগ্রহ ২১ ওভারে ৫ উইকেটে ১০৫ রান। ক্রিজে জিম্বাবুয়ের আশার আলো থাকা রেজিস চাকাবার সংগ্রহ ৩৩ বল ৪২ রানে। তার সঙ্গী মাত্রই নামা লুক জঙ্গুই। জয়ের জন্য ২৯ ওভারে তাদের চাই আরও ১৭২ রান। পরিস্থিতি বিবেচনায় সেই সমীকরণ মেলানো হবে বেশ কঠিন।
অতিরিক্ত তাড়াহুড়ার প্রবণতা লক্ষ করা যাচ্ছে জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের মধ্যে। ২০ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ১০০ রান। একই সময়ে বাংলাদেশের রান ছিল ৪ উইকেটে ৭৬। কিন্তু রানে এগিয়ে থাকার এই সুবিধা কাজে লাগাতে পারছে না জিম্বাবুইয়ানরা। বাজে শটে খোয়াচ্ছে উইকেট।
শুরুতে উইকেট থেকে সুবিধা আদায় করে নিয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের পেসাররা। বাংলাদেশও ভুল করেনি। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই অভিষিক্ত ওপেনার টাডিনওয়াশে মারুমানির স্টাম্প উপড়ে নেন সাইফউদ্দিন। শরীরের খুব কাছে থাকা বল কাট করতে গিয়ে উইকেটে টেনে নেন মারুমানি। ৪ বল খেলে রানের খাতা খুলতে পারেননি তিনি।
আরেক ওপেনার ওয়েসলি মাধেভেরেও টেকেননি। পঞ্চম ওভারে তিনিও হন বোল্ড। তাসকিনের চমৎকার ডেলিভারি সিমে পড়ে কিছুটা ভেতরে ঢুকেছিল। ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে বল আঘাত করে স্টাম্পে। ১৭ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ৯ রান।
তৃতীয় উইকেট জুটি জমে উঠতে উঠতে মিলিয়ে যায়। আরেক অভিষিক্ত ডিওন মায়ার্স অনেক বাইরের বল পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন মোসাদ্দেকের হাতে। বাঁহাতি পেসার শরিফুলের শিকার হয়ে ২৪ বলে ১৮ করে আউট হন তিনি। জুটিতে রান আসে ৩৬।
নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো অব্যাহত রাখে জিম্বাবুয়ে। অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলর স্লগ সুইপ করতে গিয়ে শিকার হন সাকিবের। এতে ওয়ানডেতে বাংলাদেশর জার্সিতে রেকর্ড ২৭০ উইকেট দখল করে সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে ছাড়িয়ে যান তিনি। টেইলর ৩১ বলে করেন ২৪ রান।
চাকাবা আগ্রাসী ঢঙে খেললেও সঙ্গী পাচ্ছেন না। রায়ান বার্লও তাকে সহায়তা করতে পারেননি। তিনিও সাকিবকে স্লগ করতে গিয়ে বিদায় নেন। ১৭ বলে ৬ রান করা এই অলরাউন্ডারের ক্যাচ নেন আফিফ হোসেন।
এর আগে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ২৭৬ রান করে তামিম ইকবালের দল। প্রাথমিক বিপর্যয়ের পর ওপেনার লিটন দাসের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ১০২ রান। এছাড়া, শেষদিকে আফিফ খেলেন ৪৫ রানের আগ্রাসী ইনিংস। প্রয়োজনের মুহূর্তে মাহমুদউল্লাহ করেন ৩৩ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ২৭৬/৯ ( তামিম ০, লিটন ১০২, সাকিব ১৯, মিঠুন ১৯, মোসাদ্দেক ৫, মাহমুদউল্লাহ ৩৩, আফিফ ৪৫, মিরাজ ২৬, সাইফুদ্দিন ৮*, তাসকিন ১, শরিফুল ০*; মুজারাবানি ২/৪৭ , চাতারা ১/৪৯, এনগারাভা ২/৬১, জঙ্গুই ৩/৫১, বার্ল ০/৩১, মাধেভেরে ০/৩৭)।
Comments