৩ উইকেট হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ
অধিনায়ক তামিম ইকবাল পরাস্ত হলেন দারুণ এক ডেলিভারিতে। তখনও দলের সংগ্রহে যোগ হয়নি কোনো রান। তিনে নামা সাকিব আল হাসান ইতিবাচক শুরু করেও সাম্প্রতিক রানখরা থেকে মুক্তি পেলেন না। এরপর মোহাম্মদ মিঠুন অলস শটে উইকেট ছুঁড়ে দেওয়ায় বিপাকে পড়ল বাংলাদেশ।
শুক্রবার হারারেতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস জিতে বোলিংয়ে নামা স্বাগতিক জিম্বাবুয়ের শুরুটা হয়েছে দারুণ। এই প্রতিবেদন লেখার সময়, সফরকারী বাংলাদেশের সংগ্রহ ১৫ ওভারে ৩ উইকেটে ৬২ রান। উইকেটে আছেন ওপেনার লিটন দাস ৩৬ বলে ১৬ ও মোসাদ্দেক হোসেন ৩ বলে ১ রানে।
জিম্বাবুয়ে পেসাররা প্রথম থেকেই সাহায্য পান উইকেটের। ব্লেসিং মুজারাবানি ও টেন্ডাই চাটারা পান বাড়তি বাউন্স ও মুভমেন্ট। তাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে প্রথম দুই ওভারে হয়নি কোনো রান।
তৃতীয় ওভারের প্রথম ডেলিভারিতেই বিপদ ঘটে বাংলাদেশের। মুজারাবানির অফ স্টাম্পের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া লাফিয়ে ওঠা বলে কাট করতে গিয়ে উইকেট হারান তামিম। ৭ বল খেলে শূন্যতে সাজঘরে ফেরা এই ওপেনারের ক্যাচ নেন উইকেটরক্ষক রেজিস চাকাবা।
উইকেটে গিয়েই বাংলাদেশের নামের পাশে রান আনেন সাকিব। চমৎকার ড্রাইভে লং-অফ দিয়ে চার মারেন তিনি। পরে আরও বাউন্ডারি আদায় করে নিলেও থিতু হতে পারছিলেন তিনি। বেশ কয়েকবার ব্যাটে-বলে সংযোগ ঘটাতে ব্যর্থ হন তিনি।
সাকিব ও লিটনের জুটি যখন জমে যাওয়ার ইঙ্গিত মিলছিল, তখনই ফের মঞ্চে আবির্ভূত হন মুজারাবানি। নির্বিষ ডেলিভারিতে নিজের দ্বিতীয় শিকার ধরেন তিনি। ছটফট করতে থাকা বাঁহাতি ব্যাটসম্যান সাকিব জায়গায় দাঁড়িয়ে কাট করতে গিয়ে কভারে ক্যাচ দেন রায়ান বার্লের হাতে।
মুশফিকুর রহিম পারিবারিক কারণে দেশে ফেরায় বাড়তি দায়িত্ব ছিল আরেক অভিজ্ঞ সাকিবের হাতে। কিন্তু ২৫ বলে ৩ চারে ১৯ রানে আউট হয়ে যান তিনি। ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সবশেষ ওয়ানডে সিরিজে ব্যর্থ ছিলেন তিনি। যথাক্রমে ১৫, ০ ও ৪ রান এসেছিল তার ব্যাট থেকে।
দলীয় ৩২ রানে পতন হয় বাংলাদেশের দ্বিতীয় উইকেটের। হতাশার পাওয়ার প্লে শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায়, ২ উইকেটে ৩৮ রান।
মাঠে নেমে চাপ আলগা করার প্রয়াস ছিল মিঠুনের মাঝে। কিন্তু যে কৌশল তিনি বেছে নিয়েছিলেন, তাতে শঙ্কাও থাকে। শেষ পর্যন্ত উল্টো চাপ বাড়িয়ে ফেরত যান তিনি। জায়গায় দাঁড়িয়ে বেশ কিছু আক্রমণাত্মক শট খেলার পর চাকাবার তালুবন্দি হন তিনি। সে-ই জায়গায় দাঁড়িয়েই!
এক প্রান্তে টানা বল করে যাওয়া চাটারা পান মিঠুনের উইকেট। ১৯ বলে ১৯ রান করেন তিনি। তার ব্যাট থেকে চার আসে ৪টি। ফলে ভাঙে বাংলাদেশের ২৫ রানের তৃতীয় উইকেট জুটি।
চাপ সামলে দলকে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব এখন লিটন ও মোসাদ্দেকের। অনেকটা সময় উইকেটে কাটিয়ে দিলেও লিটনকে ঠিক ছন্দে পাওয়া যাচ্ছে না। এখনও কোনো বাউন্ডারি মারতে পারেননি তিনি। ভাগ্য সহায় থাকায় দুবার হাফ-চান্স দিয়েও বেঁচে গেছেন তিনি।
Comments