সেঞ্চুরির আশা জাগানো চাকাভাকে ফেরালেন তাসকিন
ওপেনিংয়ে উঠে এসে দারুণ খেলছিলেন রেজিস চাকাভা। ছন্দে থাকা জিম্বাবুয়ের এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান ফিফটি পূরণ করেছিলেন ৬২ বলে। এরপর ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসে এগোচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু তাকে মাইলফলক থেকে দূরে থামালেন তাসকিন আহমেদ। চাকাভাকে বোল্ড করে বাংলাদেশকে গুরুত্বপূর্ণ উইকেট উপহার দিলেন এই পেসার।
মঙ্গলবার হারারেতে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে টস হেরে ব্যাটিং করছে জিম্বাবুয়ে। এই প্রতিবেদন লেখার সময়, ৩৫ ওভারে তাদের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৭২ রান। ক্রিজে আছেন সিকান্দার রাজা ১৪ বলে ৩ ও মাত্রই নামা রায়ান বার্ল ৫ বলে ০ রানে।
ব্যাটিংবান্ধব উইকেটে জিম্বাবুয়ের বড় সংগ্রহের প্রত্যাশায় জোর ধাক্কা দিয়েছে বাংলাদেশ। শেষ ২৩ রানের মধ্যে ৩ উইকেট তুলে নিয়েছে তারা।
তিন অঙ্কের সুবাস জাগানো চাকাভার ইনিংস শেষ হয় বাজে শটে। আগেই তিনি মনস্থির করে ফেলেছিলেন লেগ সাইডে ফ্লিক করার। তবে তাসকিনের অফ স্টাম্পের একটু বাইরের ডেলিভারি সুইং করে ভেতরে ঢোকে। ব্যাটে-বলে সংযোগ না হওয়ায় উপড়ে যায় স্টাম্প। এক প্রান্ত আগলে থাকা চাকাভার ৯১ বলের ইনিংস শেষ হয় ৮৪ রানে। ৭ চারের সঙ্গে তিনি মারেন ১ ছক্কা।
এর আগে পাওয়ার প্লেতে পাঁচ বোলার ব্যবহার করেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তাসকিন ইনিংস শুরু করে টানা চার ওভার করলেও অন্য প্রান্তে একের পর এক বদল আসে। এই কৌশল কাজেও লাগে। নবম ওভারে আক্রমণে গিয়েই দলকে উইকেট উপহার দেন বাঁহাতি স্পিনার সাকিব আল হাসান।
বাংলাদেশের এই তারকা অলরাউন্ডারের মিডল স্টাম্পে থাকা লেংথ বল সুইপ করতে চেয়েছিলেন বাঁহাতি টাডিনওয়ানাশে মারুমানি। ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে বল আঘাত করে প্যাডে। আম্পায়ার এলবিডব্লিউয়ের সিদ্ধান্ত দিতে সময় নেননি। মারুমানি ১৯ বলে ৮ রান করেন ১ ছক্কায়। ফলে ৩৬ রানে পতন হয় জিম্বাবুয়ের প্রথম উইকেটের।
এরপর চাকাভাকে সঙ্গ দিতে যান অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলর। দুজনে মিলে ৫৪ বলে ৪২ রানের জুটি গড়ে দলকে দেন বড় সংগ্রহের ভিত। ১৮তম ওভারে আক্রমণে ফিরে তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করেন মাহমুদউল্লাহ। এতে অবশ্য ব্যাটসম্যানের দায়ই বেশি।
২০০তম ওয়ানডে খেলতে নামা মাহমুদউল্লাহর সাধারণ ডেলিভারিতে মিড-অফে তামিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন টেইলর। তিনি ৩৯ বলে ২৮ রান করতে মারেন ৩ চার।
তৃতীয় উইকেটে জুটি বাঁধেন চাকাভা ও ডিওন মায়ার্স। তারা দ্রুত গতিতে তুলতে থাকেন রান। মায়ার্সকে ফিরিয়ে ৭০ বলে ৭১ রানের এই জুটি ভেঙে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় শিকার ধরেন মাহমুদউল্লাহ।
অফ-স্টাম্পের অনেক কাছে থাকা বল কাট করতে গিয়ে ইনসাইড-এজে বোল্ড হন মায়ার্স। ৪ চারের সাহায্যে তিনি করেন ৩৮ বলে ৩৪ রান। এরপর ওয়েসলি মাধেভেরেকে টিকতে দেননি একাদশে ফেরা বাঁহাতি পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। স্লোয়ার বুঝতে না পেরে আগেই ব্যাট চালিয়েছিলেন তিনি। শর্ট মিড উইকেটে সহজ ক্যাচ নেন সাকিব আল হাসান।
Comments