বিপদে পড়া বাংলাদেশকে আশা দেখাচ্ছেন সাকিব
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ঘরের মাটিতে আগের ওয়ানডে সিরিজে রান পাননি। ব্যর্থ হন চলমান জিম্বাবুয়ে সফরের একমাত্র টেস্টে ব্যাটিংয়ের সুযোগ মেলা একমাত্র ইনিংসেও। এরপর প্রথম ওয়ানডেতেও হাসেনি তার ব্যাট। অবশেষে রানের দেখা পেলেন বাংলাদেশের তারকা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। আরেক প্রান্তে উইকেট পতন অব্যাহত থাকলেও তিনি দায়িত্ব নিয়ে খেলে তুলে নিয়েছেন ফিফটি।
রবিবার হারারেতে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে স্বাগতিকদের ছুঁড়ে দেওয়া ২৪১ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করছে টাইগাররা। এই প্রতিবেদন লেখার সময় স্কোরবোর্ডে, ৩২ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৫ রান জমা করে ভীষণ চাপে আছে তারা। তবে আশার আলো হয়ে থাকা সাকিব ক্যারিয়ারের ৪৯তম হাফসেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে ব্যাট করছেন ৬৩ বলে ৫৫ রানে। ক্রিজে তার সঙ্গী মাত্রই নামা আফিফ হোসেন।
এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ ঘরে তুলতে হলে আরও ৯৬ রান করতে হবে বাংলাদেশকে। তাদের হাতে রয়েছে ১৮ ওভার ও ৪ উইকেট। ব্যাটিং লাইনআপ লম্বা হওয়ায় সাকিব ও আফিফের পর অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন আসবেন ক্রিজে।
তিনে নামা বাঁহাতি সাকিব ব্যক্তিগত মাইলফলকে পৌঁছান ৫৯ ডেলিভারিতে। তিনি একপ্রান্ত আগলে রাখলেও অন্যদিকে একে একে মাঠ ছাড়েন লিটন দাস, মোহাম্মদ মিঠুন, মোসাদ্দেক হোসেন, মাহমুদউল্লাহ ও মেহেদী হাসান মিরাজ।
৭৫ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর জমে উঠেছিল সাকিব ও মাহমুদউল্লাহর জুটি। প্রথম স্পেলে দুর্দান্ত বোলিং করা ব্লেসিং মুজারাবানিকে ফিরিয়ে এনেই তাদেরকে আলাদা করেন জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলর। ২৯তম ওভারের প্রথম ডেলিভারিতে একটু বাড়তি বাউন্সে পরাস্ত হন মাহমুদউল্লাহ। ৩৫ বলে ২৬ করে তিনি ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে রেজিস চাকাবার হাতে। তাতে ভাঙে ৬১ বলে ৫৫ রানের জুটি।
মিরাজও পারেননি সাকিবকে সঙ্গ দিতে। অফ স্পিনার ওয়েসলি মাধেভেরের বল অনেকটা টেনে সুইপ করে মিডউইকেটে ডিওন মেয়ার্সের তালুবন্দি হন তিনি। তার ব্যাট থেকে আসে ১৫ বলে ৬ রান।
এর আগে মাঝারি লক্ষ্য তাড়ায় দেখেশুনে শুরু করে সফরকারীরা। প্রথম দুই ওভারে আসে কেবল ১ রান। তৃতীয় ওভারে মুজারাবানিকে পরপর দারুণ ২টি চারে সীমানাছাড়া করে তামিম ইকবাল বুঝিয়ে দেন, সুযোগ পেলে ছাড়বেন না তারা। কিন্তু উদ্বোধনী জুটির ইতির পর ১১ রানের মধ্যে ৩ উইকেট খোয়ায় বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ের আরেক পেসার টেন্ডাই চাতারার করা ষষ্ঠ ওভারে অল্পের জন্য বেঁচে যান তামিম। বাংলাদেশ অধিনায়কের ব্যাট ছুঁয়ে বল পড়ে একমাত্র স্লিপে দাঁড়ানো ব্রেন্ডন টেইলরের নাগালের সামান্য বাইরে। তবে সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি তামিম। দশম ওভারে আক্রমণে এসেই তাকে ফেরান পেস অলরাউন্ডার লুক জঙ্গুয়ে। পয়েন্টে বাম দিকে ঝাঁপিয়ে অসাধারণ ক্যাচ নেন সিকান্দার রাজা।
৩৯ রানের উদ্বোধনী জুটিতে তামিম ফেরেন ৩৪ বলে ২০ করে। সময় নিয়ে উইকেটে মানিয়ে নেওয়া লিটন অষ্টম ওভারে চাতারাকে টানা ৩টি চার মেরে হাত খোলার আভাস দেন। তবে বড় শট খেলতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন তিনি। রিচার্ড এনগারাভার ভালো লেংথের ডেলিভারিতে টাইমিং ঠিক না হওয়ায় বল উঠে যায় অনেক ওপরে। লুফে নেওয়ার বাকি আনুষ্ঠানিকতা অনায়াসে সারেন টেইলর।
কিছুক্ষণ পর বাংলাদেশকে আরেকবার ধাক্কা দেন জঙ্গুয়ে। জায়গায় দাঁড়িয়ে অনেকটা বাইরের বল খেলে কভারে ওয়েসলি মাধেভেরের তালুবন্দি হন মিঠুন। আগের ম্যাচেও বাজে শটে আউট হওয়া এই ব্যাটসম্যান এদিন ৩ বলে করেন ২ রান। টিকতে পারেননি মোসাদ্দেকও। ওয়াইড বলে রান নিতে গিয়ে রানআউটের শিকার হন তিনি। উইকেটরক্ষক চাকাবার থ্রো স্টাম্প ভেঙে দিলে থামে তার ৯ বলে ৫ রানের ইনিংস।
Comments