দুর্ভাগ্যের শিকার টেইলর, বিপদে জিম্বাবুয়ে
এক প্রান্তে দায়িত্ব নিয়ে খেলছিলেন অধিনায়ক ব্রেন্ডন টেইলর। বাংলাদেশের বিপক্ষে লড়াইয়ের পুঁজি পেতে জিম্বাবুয়েকে আশা দিচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে হিট উইকেট হয়ে ফিরলেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। তার বিদায়ের পর থিতু হওয়া ডিওন মেয়ার্সও সাজঘরের পথ ধরায় বিপদে পড়ল স্বাগতিকরা।
রবিবার হারারেতে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছে জিম্বাবুয়ে। তবে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাচ্ছে তারা। এই প্রতিবেদন লেখার সময় স্বাগতিকদের সংগ্রহ ৩৫ ওভারে ৫ উইকেটে ১৫৫ রান। ক্রিজে আছেন ওয়েসলি মাধেভেরে ৩২ বলে ২৩ ও একাদশে ফেরা সিকান্দার রাজা ৭ বলে ১ রানে।
একবার পা থেকে জুতা খুলে গেলেও অল্পের জন্য হিট উইকেট হওয়া থেকে বেঁচে গিয়েছিলেন চারে নামা টেইলর। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভাগ্য তার সহায় হয়নি। ২৫তম ওভারে পেসার শরিফুল ইসলামের ডেলিভারিতে টেইলরের বিপক্ষে কট বিহাইন্ডের আবেদন করে বাংলাদেশ। সেসময়ই শ্যাডো করতে গিয়ে বেলস ফেলে দেন তিনি। রিপ্লে দেখে তাকে মাঠ ছাড়ার নির্দেশ দেন তৃতীয় আম্পায়ার।
টেইলরের বিদায়ে ভাঙে মেয়ার্সের সঙ্গে তার ৫২ বলে ৩১ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি। তিনি ৫৭ বলে ৪৬ করেন ৫ চার ও ১ ছয়ে। তবে তার আউট নিয়ে বিতর্কের অবকাশ থেকে যাচ্ছে। নিয়ম অনুসারে, বল উইকেটরক্ষক লিটন দাসের হাতে জমা পড়ায় আগেই ডেড হয়ে গিয়েছিল। তারপর ব্যাটে লেগে স্টাম্প নড়ে যায়। অসন্তুষ্ট টেইলর আপত্তিতে মাথা ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে ক্রিজ ছাড়েন।
পরের জুটিও আশা জাগিয়ে বড় হয়নি। লং-অনে ক্যাচ নিয়ে মেয়ার্সকে সাজঘরে পাঠান মাহমুদউল্লাহ। তিনি হন সাকিব আল হাসানের দ্বিতীয় শিকার। ৫৯ বলে ৩৪ রান আসে তার ব্যাট থেকে।
এর আগে প্রথম ম্যাচের মতো এদিনও শুরুতে পেসাররা সহায়তা পান। বিশেষ করে, তাসকিন আহমেদ দেখান ছন্দ। তবে উইকেটে স্পিনারদের সফলতা পাওয়ার উপকরণ থাকায় ষষ্ঠ ওভারেই বোলিং পরিবর্তন করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তাতে সাফল্যও আসে।
ইনিংসের প্রথম ওভারেই সফরকারীদের উল্লাসে মাতান ডানহাতি ফাস্ট বোলার তাসকিন। তার অফ স্টাম্পের বেশ বাইরের ডেলিভারি কাট করতে গিয়ে পয়েন্টে আফিফ হোসেনের হাতে ধরা পড়েন টিনাশে কামুনহুকামুয়ে। একাদশে ফেরার সুযোগ লাগাতে পারেননি তিনি। দলীয় ৩ রানে তিনি বিদায় নেন ৫ বলে ১ করে।
আক্রমণে এসে উইকেটের দেখা পান মেহেদী হাসান মিরাজও। টাডিওয়ানাশে মারুমানিকে বোল্ড করে দেন তিনি। আগের ওভারেই তাসকিনের পরপর দুই বলে জীবন পেয়েছিলেন এই ওপেনার। প্রথমে মিড অনে ঝাঁপিয়েও বলে হাত ছোঁয়াতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ, পরে থার্ড ম্যানে বল হাতে জমালেও ধরে রাখতে পারেননি মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। ১৮ বলে ১৩ রান আসে মারুমানির ব্যাট থেকে।
৩৩ রানে ২ উইকেট খোয়ানোর পর ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় নামে জিম্বাবুয়ে। তবে বাংলাদেশের মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠার আগেই ৫৯ বলে ৪৭ রানের তৃতীয় উইকেট জুটির ইতি টানেন সাকিব। এই বাঁহাতি তারকা অলরাউন্ডারের ফুল লেংথের ডেলিভারি চাকাবার ব্যাট-প্যাডের ফাঁক গলে আঘাত করে স্টাম্পে। তিনি ৩২ বলে ২৬ করেন ২টি চারের সাহায্যে।
Comments