আফিফের ব্যাটিং দেখে আত্মবিশ্বাস পেয়ে যান মিরাজ
লক্ষ্য ছুঁতে তখনও চাই ১৭১ রান। অথচ টপাটপ নিজেদের উইকেট খুইয়ে সাজঘরে ফিরে গেছেন দলের সব তারকা ব্যাটাররা। সেই বিপর্যস্ত অবস্থান থেকে জয়ের স্বপ্ন দেখাই রীতিমতো দুষ্কর। তবে খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর অবিশ্বাস্য গল্প লিখে বাংলাদেশ পারল। স্বপ্ন রূপ নিল বাস্তবে। অনবদ্য ব্যাটিংয়ে স্মরণীয় জয় উপহার দেওয়া দুই নায়কের একজন মেহেদী হাসান মিরাজ কৃতিত্ব দিলেন আরেক নায়ক আফিফ হোসেনকে।
বুধবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে প্রথম ওয়ানডেতে ৪ উইকেটের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। টস জিতে আগে ব্যাট করে আফগানিস্তান ৫ বল আগে গুটিয়ে গিয়েছিল ২১৫ রানে। সাদামাটা এই লক্ষ্য তাড়ায় ৪৫ রানে ৬ উইকেট খুইয়ে ফেলেছিল স্বাগতিকরা। তাতে জোরালোভাবে জেগে উঠেছিল হারের শঙ্কা। তবে সপ্তম উইকেটে মিরাজ ও আফিফ হোসেনের রেকর্ড ১৭৪ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটির কল্যাণে ৭ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করে টাইগাররা।
৮ ওয়ানডের ক্যারিয়ারে প্রথমবার ফিফটি ছোঁয়ার স্বাদ নেন বাঁহাতি আফিফ। তিনি অপরাজিত থাকেন ১১৫ বলে ৯৩ রানে। ৫৩ ম্যাচ খেলা ডানহাতি মিরাজ এই সংস্করণে হাফসেঞ্চুরি করেন দ্বিতীয়বারের মতো। ক্যারিয়ারসেরা ইনিংসে তিনি ১২০ বলে খেলেন অপরাজিত ৮১ রানের ইনিংস।
বল হাতেও অবদান রাখায় ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে মিরাজের হাতে। ম্যাচের পর তিনি বলেন, ৬ উইকেট পড়ে গেলেও ম্যাচ জেতানোর আত্মবিশ্বাস ছিল তার ও আফিফের, 'সত্যি কথা বলতে, আমি অনেক আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আফিফের সঙ্গে কথা বলেছি এটা নিয়ে যে এই ম্যাচটা আমরা দুজন জেতাতে পারি। বিশ্বাসটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের যদি বিশ্বাস থাকে আমরা জিততে পারি, তাহলে আমরা জিতব। মানুষ পারে না এমন কোনো জিনিস নেই। খালি দরকার বিশ্বাসটা। বিশ্বাসটা ছিল।'
৪৯তম ওভারে চার মেরে বাংলাদেশকে জেতানো আফিফ খেলেন চোখ ধাঁধানো ইনিংস। উজ্জ্বল পারফরম্যান্স দেখানো মিরাজ সময় নিয়ে থিতু হলেও শুরু থেকেই আফিফ ছিলেন চনমনে। আফগানদের রশিদ খান, মুজিব উর রহমান, মোহাম্মদ নবি ও ফজল হক ফারুকির বিপক্ষে তাকে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে দেখে মিরাজের ভয় কেটে যায়, 'আফিফ অসাধারণ ইনিংস খেলেছে। সত্যি কথা বলতে, ওর ব্যাটিং দেখে আমারও আত্মবিশ্বাস তৈরি হয়েছে। কারণ, আমি প্রথম দিকে নার্ভাস ছিলাম। কিন্তু ও আমাকে বলেছে যে মিরাজ ভাই, আমরা বল বাই বল খেলি, একটা ওভার করে খেলি, যা হবে পরে দেখা যাবে। আমরা জিততে পারব কি পারব না সেটা পরে। তবে আমরা খেলাটা একটা জায়গায় নিয়ে যেতে পারব। ও আমাকে অনেক আত্মবিশ্বাস যুগিয়েছে।'
Comments