কৃষি ঋণে সুদের হার ২৫ শতাংশ!
বাংলাদেশ ব্যাংক কৃষি ঋণে সুদের হার আট শতাংশ নির্ধারণ করলেও কৃষকদের তিন গুণেরও বেশি হারে সুদ দিতে হচ্ছে, এমনকি করোনাভাইরাস মহামারির এই কঠিন সময়েও।
বাংলাদেশ ব্যাংকের দুর্বল নীতিমালা ও দায়সারা নিরীক্ষণ প্রক্রিয়ার কারণে বেসরকারি ব্যাংক ও ক্ষুদ্রঋণ সংস্থাগুলো কৃষকদের দুর্বলতার সুযোগ নিচ্ছে এবং ফলশ্রুতিতে তাদেরকে কমপক্ষে ২৫ শতাংশ হারে সুদ দিতে হচ্ছে।
কুমিল্লার দেবীদ্বারের কৃষক লুতফুর রহমান সম্প্রতি একটি ক্ষুদ্রঋণ সংস্থা থেকে এক লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন। তাকে এক বছরের মধ্যে সুদাসলে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানটি ৪০ শতাংশ হারে সুদ নিচ্ছে, যেটি অবিশ্বাস্য।
তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য বারবার চেষ্টা করেছি। কিন্তু কোনো ব্যাংকে না পেয়ে একটি ক্ষুদ্র ঋণের প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিতে বাধ্য হই।'
লুতফুরের মতো ক্ষুদ্র কৃষকরা দেশের কৃষি খাতকে গতিশীল রেখেছেন এবং তারাই দেশে খাদ্যের জোগান দিচ্ছেন। কিন্তু যেখানে ক্রেডিট কার্ড ছাড়া সব ধরনের ঋণে সুদের হার এক অঙ্কে নেমে এসেছে, সেখানে তাদেরকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সুদের বোঝা বইতে হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন, কীভাবে কৃষকরা এত উঁচু সুদ ও উৎপাদন খরচ বহন করে বেঁচে থাকবেন, যদি না তারা ফসলের সঠিক মূল্য পান? তারা জানান, দুর্বল ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা ব্যাংক থেকে সরাসরি ঋণ পেতে এখনো সমস্যায় পড়েন।
কৃষি খাতকে প্রাধান্য দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সাধারণত অন্যান্য ঋণের তুলনায় কৃষি ঋণে সুদের হার ১ শতাংশ কম রাখে।
ফলশ্রুতিতে, কৃষি ঋণে সুদের হার ৮ শতাংশ নির্ধারণ করা হয় কেননা এখন ক্রেডিট কার্ড ছাড়া অন্য যেকোনো ঋণে সুদের হার সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ।
তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি নীতি আছে, যার মাধ্যমে বেসরকারি ব্যাংকগুলো চাইলে তাদের মোট কৃষি ঋণের ৭০ শতাংশ অন্যান্য চ্যানেলের মাধ্যমে বিতরণ করতে পারে।
যখন বেসরকারি ব্যাংকগুলো কৃষি খাতের জন্য তাদের নিজস্ব চ্যানেলের পরিবর্তে ক্ষুদ্রঋণ সংস্থার মাধ্যমে ঋণ বিতরণ করে, তখন সুদের হার ২৫ শতাংশেরও বেশি বেড়ে যায়, কারণ এই প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নিজেদের নির্ধারিত হারে সুদ আদায় করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৪০টি বেসরকারি ব্যাংক ১১ হাজার ৬৫৪ কোটি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে, যার ৬৩ শতাংশ ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে।
২০২০ অর্থবছরে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা কৃষি ঋণের পরিমাণ ছিল ২২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা। ২০২১ এর সংখ্যাটি এখনও পাওয়া যায়নি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সরকারি ব্যাংকগুলো কৃষি ঋণের বেশিরভাগ অংশ নিজস্ব চ্যানেলের মাধ্যমে বিতরণ করে, কিন্তু বেসরকারি ব্যাংকের ক্ষেত্রে বিষয়টি সম্পূর্ণ বিপরীত।
বেশ কিছু বেসরকারি ব্যাংক এমনকি ন্যুনতম ৩০ শতাংশ কৃষি ঋণ নিজস্ব চ্যানেলের মাধ্যমে বিতরণ করার নির্দেশনাটিও অনুসরণ করেনি এবং এই নিয়ম ভঙ্গকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা গত কয়েক বছর ধরে বাড়ছে।
প্রতিবেদনে প্রকাশ, ২৮টি বেসরকারি ব্যাংক ২০২০ অর্থবছরে তাদের নিজস্ব চ্যানেলে ন্যুনতম পরিমাণ কৃষি ঋণ বিতরণ করেনি। এ ধরনের ব্যাংকের সংখ্যা এর আগের বছরে ২৭ এবং ২০১৭ অর্থবছরে ১৮ ছিল।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়েছে, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর নিজস্ব চ্যানেলের মাধ্যমে বিতরণ করা কৃষি ঋণের পরিমাণ ২০১৭ অর্থবছরে ৫৫ শতাংশ থাকলেও তা ২০২০ অর্থবছরে কমে ৩৭ শতাংশ হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, বেসরকারি ব্যাংকগুলো কৃষি ঋণ বিতরণের জন্য ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানের সহায়তা নেয় তাদের নিরীক্ষণ ও পুনরুদ্ধার সংক্রান্ত খরচ কমানোর জন্য।
তিনি জানান, দুর্বল নিরীক্ষণের কারণে ব্যাংকগুলোর অন্যদের চ্যানেলের ওপর ভরসা রাখার প্রবণতা বাড়ছে। তিনি বলেন, 'এতে কৃষকদের উৎপাদন খরচের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।'
দ্য ডেইলি স্টার দেশের বিভিন্ন অংশে অন্তত ১০ জন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানতে চেয়েছে তারা কিভাবে ব্যাংক ও ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে থাকেন। ১০ জনের মধ্য নয় জনই জানান ঝামেলা পোহানোর পর তারা ব্যাংক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।
বগুড়ার ধুনটের কৃষক মিলটন আজিজ জানান, সম্প্রতি তিনি একটি ক্ষুদ্রঋণ সংস্থার কাছ থেকে গবাদিপশুর খামারের জন্য ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। এর আগে তিনি বারবার চেষ্টা করেও ব্যাংক থেকে কোন ঋণ পাননি।
তিনি বলেন, 'ব্যাংকগুলো তহবিলের বিপরীতে জামানত চায়, কিন্তু বন্ধক রাখার মতো যথেষ্ঠ পরিমাণ জমি আমার নেই।'
আজিজের ঋণ পরিশোধের সময়সীমা প্রায় ১১ মাস এবং তাকে সুদসহ ৮১ হাজার টাকা ফেরত দিতে হবে।
রংপুরের পীরগাছার কৃষক মোহাম্মদ রেফায়েত উল্লাহ জানান, তাকে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক থেকে ঋণের অনুমোদন পাওয়ার জন্য একজন দালালকে বড় অংকের কমিশন দিতে হয়েছে।
রেফায়েত বলেন, 'এ ঘটনার পর আমি ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার আগ্রহ হারিয়েছি।' তিনি আরও জানান, ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেওয়া সহজতর।
'তবে তারা মাত্রাতিরিক্ত সুদ নেয়, যেটি উৎপাদন খরচ বিবেচনায় আমার জন্য উপযোগী নয়', বলেন রেফায়েত।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী হোসেন প্রধানিয়া জানান, তিন লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার জন্য কৃষকদের জমি বন্ধক রাখার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
'কিন্তু ব্যাংকগুলো কৃষকদের কাছ থেকে জমি সংক্রান্ত কাগজপত্র চেয়ে নেয় এবং চাষযোগ্য জমির পরিমাণ হিসেব করে সে অনুযায়ী ঋণ দেয়', বলেন প্রধানিয়া।
তিনি দাবি করেন, কৃষি ঋণ বিতরণের প্রক্রিয়াটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দালালদের নিয়ন্ত্রণ মুক্ত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, কৃষি ঋণ বিতরণের সমগ্র প্রক্রিয়াটি একেবারেই কৃষক-বান্ধব নয়। তারা একই সঙ্গে জানান, ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর নেওয়া সুদের হারও অযৌক্তিক।
তারা জানান, কর্তৃপক্ষের উচিত একটি কৃষক-বান্ধব ঋণ ব্যবস্থা চালু করা এবং ক্ষুদ্রঋণ সংস্থাগুলোর সুদের হার কমানোর জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের বিদায়ী সভাপতি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান জানান, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর নেটওয়ার্ক এখনও কৃষি ঋণ বিতরণের জন যথেষ্ঠ মজবুত নয়, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে।
মাহবুবুর উল্লেখ করেন, কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলো স্বল্প সুদের হারের কারণে তাদের নিজেদের চ্যানেলে ঋণ বিতরণে অনীহা দেখায়। খরচ কমাতে তারা ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর চ্যানেল ব্যবহারে আগ্রহী হন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে কৃষি ঋণের পরিমাণ এক থেকে পাঁচ লাখ টাকার মধ্যে থাকে।
দেশের সকল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সমন্বয়ে গঠিত প্রতিষ্ঠান, এসোসিয়েশন অব ব্যাংকারস বাংলাদেশের সভাপতি আলি রেজা ইফতেখারের সঙ্গে বেশ কয়েকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংক কৃষি ঋণ বিতরণের ওপর আগের মত যথেষ্ঠ পরিমাণ গুরুত্ব দিচ্ছে না।
আতিউর জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংক গ্রাম ও শহরে ব্যাংকের শাখা খোলার ক্ষেত্রে ১:১ অনুপাত নির্ধারণ করে দিয়েছিল।
২০০৯ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত গভর্নর থাকাকালীন কৃষি ঋণকে জনপ্রিয় করার জন্য তিনি বেশ কিছু উদ্যোগ হাতে নিয়েছিলেন।
তিনি জানান, 'আমরা এমনকি সেরা ঋণ বিতরণকারীদের (যারা নিজস্ব চ্যানেল ব্যবহার করেন) স্বীকৃতিও দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন আর এ ধরনের উদ্যোগগুলো দেখা যায় না।' তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের উচিত কৃষকদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগ নেওয়া।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (বিআইডিএস) সাবেক গবেষণা পরিচালক ড. এম আসাদুজ্জামান জানান, সকল ক্ষেত্রে সুদের হার সমান হওয়া উচিত।
তিনি প্রশ্ন করেন, 'যদি কৃষককে ২৫ শতাংশ সুদ পরিশোধ করতে হয়, তাহলে তার কাছে আর থাকে কী?'
তবে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোও ব্যাংকের ওপর নির্ভরশীল, দাবি করেন ৭৬০ সদস্য বিশিষ্ট জাতীয় ক্ষুদ্রঋণ নেটওয়ার্কের প্রধান আসাদুজ্জামান।
ক্রেডিট ডেভেলপমেন্ট ফোরামের নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল আউয়াল জানান, সাধারণত বড় ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো খুব সহজেই ব্যাংকের কাছ থেকে কৃষি ঋণের তহবিল নিতে পারে, কিন্তু ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো তহবিল পেতে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়।
আউয়াল অভিযোগ করেন, কিছু ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ কর্মসূচির আওতায় তহবিল পেতে নির্ধারিত ৮ শতাংশের পরিবর্তে ব্যাংককে ১২ থেকে ১৩ শতাংশ হারে সুদ দিতে হয়।
তিনি আরও জানান, কোন কোন ক্ষেত্রে 'জামানতের টাকা' হিসেবে ছোট ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের বিতরণ করা তহবিলের ২০ শতাংশ সেই একই ব্যাংকে স্থায়ী আমানত (এফডিআর) হিসেবে রাখতে হয়।
এই ধরনের শর্ত ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানকে পরবর্তীতে কৃষকদের থেকে উচ্চ হারে সুদ আদায় করতে উৎসাহিত করে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগে কর্মরত একজন কর্মকর্তা জানান, ৮ শতাংশের বেশি সুদে কোনো ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানের কাছে কৃষি ঋণ বিতরণের জন্য কোনো ব্যাংককে অনুমতি দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, 'আমরা এ পর্যন্ত এ ধরনের কোন অভিযোগ পাইনি।'
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও অন্যতম নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম স্বীকার করেন, যেহেতু ব্যাংকিং খাতের গ্রাহকরা সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ সুদের হারে ঋণ নিতে পারেন, নিশ্চিতভাবেই ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর সুদের হার অনেক বেশি।
তিনি জানান, 'কেন্দ্রীয় ব্যাংক ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর কৃষি ঋণ বিতরণের জন্য নেওয়া সুদের হার কমিয়ে আনার জন্য উদ্যোগ নেবে।' তিনি আরও জানান, তারা মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির (এমআরএ) কাছে একটি চিঠি পাঠাবেন, যাতে কৃষকরা উচ্চ সুদের হারের বোঝা থেকে মুক্তি পান।
এমআরএর এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান মো. ফাসিউল্লাহ জানান, কৃষকরা সর্বোচ্চ ২৪ শতাংশ সুদ দিয়ে ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে ঋণ নিয়েছে।
তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নথিতে বলা হয়েছে, ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠানগুলো কমপক্ষে ২৫ শতাংশ সুদ নিয়ে থাকে।
ফাসিউল্লাহ বলেন, 'যদি কোন ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান কৃষি ঋণের ওপর নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি সুদ আদায় করে, তাহলে এমআরএ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।'
এছাড়াও তিনি স্বীকার করেন, বর্তমান উচ্চ সুদের হারের জন্য ব্যাংকগুলোই দায়ী।
তিনি জানান, 'আমরা এই হারটি কমানোর জন্য ব্যবস্থা নিয়েছি এবং ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও বিভিন্ন ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান সহ সকল অংশীজনদের মধ্যে দুটি বৈঠকের আয়োজন করেছি।'
প্রতিবেদনটি ইংরেজি থেকে অনুবাদ করেছেন মোহাম্মদ ইশতিয়াক খান।
Comments