সিইসি চান; বাস্তবায়ন করবে কে?

নানা জল্পনা-কল্পনার পরে আগামী পাঁচ বছরের জন্য গঠন করা হলো নির্বাচন কমিশন। সার্চ কমিটি গঠনের আগে থেকেই যেসব নাম সিইসি এবং নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আলোচনায় ছিল বা যাদের নাম গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশি এসেছে—তাদের একজনও চূড়ান্ত তালিকায় নেই। অর্থাৎ যাদের নিয়ে নতুন কমিশন গঠন করা হলো, তারা সবাই রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করে অবসরে গেলেও সেভাবে আলোচিত বা খুব পরিচিত মুখ নন। অন্তত সার্চ কমিটি গঠনের অব্যবহিত পূর্ব থেকে তারা সেভাবে আলোচনায় ছিলেন না।

সরকারের নানা কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করে আলোচিত এবং 'বিএনপিপন্থি বুদ্ধিজীবী' হিসেবে পরিচিত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সার্চ কমিটির সঙ্গে আলোচনার সময় যে আট জনের নাম প্রস্তাব করেছিলেন, সিইসি হিসেবে সদ্য নিয়োগ পাওয়া কাজী হাবিবুল আউয়ালের নামটিও সেখানে ছিল। যদিও এর মধ্য দিয়ে এই উপসংহারে পৌঁছানোর সুযোগ নেই যে, জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রস্তাব করেছিলেন বলেই জনাব হাবিবুল আউয়ালকে সিইসি বানানো হয়েছে। বরং জাফরুল্লাহ চৌধুরী যে আট জনের নাম প্রস্তাব করেছিলেন, তাদের মধ্য থেকে একজনের নাম কমন পড়ে গেছে—বিষয়টা হয়তো এরকমই। 

এ বছর ইসি পুনর্গঠন নিয়ে গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যেভাবে সরব ছিল, অতীতে এরকমটি কখনোই দেখা যায়নি। এর প্রধান কারণ, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নির্বাচনি ব্যবস্থা যেভাবে বিতর্কিত হয়েছে, বিশেষ করে সদ্য বিদায়ী হুদা কমিশন যেভাবে নানা ঘটনায় প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে, তাতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেমন হবে, কাদের অধীনে হবে—তা নিয়ে বেশ আগে থেকেই রাজনীতি এবং রাজনীতির বাইরের নানা ফোরামে আলোচনা শুরু হয়েছে। বস্তুত সেই আলোচনা এবং জনগণের আগ্রহের কারণেই এ বছর সার্চ কমিটি গঠনের আগে থেকেই ইসি পুনর্গঠনের বিষয়টি জনপরিসরে উত্তাপ ছড়ায়। এই উত্তাপ আরও বাড়িয়ে ইসি গঠনে আইন প্রণয়নের ঘটনাটি। এতদিন দেশে আইন না থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শক্রমে সিইসি এবং অন্যান্য কমিশনারদের নিয়োগ দিতেন রাষ্ট্রপতি। আগে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে রাষ্ট্রপতি সরাসরি নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ দিলেও প্রথমবারের মতো ২০১২ সালে সার্চ বা অনুসন্ধান কমিটির মাধ্যমে ইসি নিয়োগ দেওয়া হয়। সদ্য বিদায়ী কমিশনও গঠন করা হয়েছিলো সার্চ কমিটির মাধ্যমে।

এবার নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ইস্যুতে গত বছরের ২০ ডিসেম্বর থেকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। শেষদিন ১৭ জানুয়ারি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপ হয়। এদিনই ইসি নিয়োগে নতুন আইনের খসড়া তৈরির কথা জানানো হয়। এরপর দ্রুততম সময়ে বিলটি সংসদে পাশ হয়।

কেন নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগে একটি আইন প্রয়োজন? নাগরিক সমাজের তরফে যে যুক্তিটি বারবার দেওয়া হয়েছে তা হলো, একটি আইন থাকলে কোন প্রক্রিয়ায় কমিশন গঠিত হবে, সেটি সুস্পষ্ট থাকবে। আইন হলে সেখানে কে সিইসি এবং নির্বাচন কমিশনার হতে পারবেন; তাদের যোগ্যতা কী হবে; পেশাগত জীবনে তাদের ট্র্যাক রেকর্ড, রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা, সততা, প্রশাসনিক দক্ষতা, নিরপেক্ষতা ইত্যাদি বিষয় যদি আইনে উল্লেখ থাকে, তাহলে এইসব পদে দলনিরপেক্ষ এবং যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। সেইসঙ্গে নিয়োগ পাওয়ার আগে যদি এ ব্যাপারে যাবতীয় তথ্য গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়, তাহলে সেখানে নাগরিকদের তরফ থেকেও নানারকম মতামত আসার সুযোগ সৃষ্টি হবে। কিন্তু অনেকেই মনে করছেন, সম্প্রতি যে আইনটি পাশ হলো, সেটি এতদিনকার পদ্ধতিতে খুব একটা পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে না। কারণ প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য কমিশনারদের যোগ্যতা, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, নিরপেক্ষতা ও গ্রহণযোগ্যতা এবং বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষিতে তারা নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ অবস্থান সমুন্নত রাখার মতো সৎসাহস ও দৃঢ়তাসম্পন্ন হবেন—এই নিশ্চয়তা বিধানের পদ্ধতি আইনে অনুপস্থিত। উপরন্তু সিইসি ও কমিশনারদের যোগ্যতা হিসেবে ৫০ বছর বয়স এবং সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে অন্তত ২০ বছর কাজের অভিজ্ঞতার কথা বলা হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হতে গেলে যেখানে ন্যূনতম ৩৫ এবং প্রধানমন্ত্রী হতে গেলে ন্যূনতম ২৫ বছর হলেই হয়, সেখানে নির্বাচন কমিশনার হতে গেলে তার বয়স কেন ৫০ হতে হবে? মূলত এই বিধানটি যুক্ত করে অবসরপ্রাপ্ত আমলা, বিচারক এবং সামরিক কর্মকর্তাদের জন্য সিইসি ও নির্বাচন কমিশনারদের পদগুলো নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে—এমন মতও রয়েছে। তারপরও এই আইনটিকে মন্দের ভালো ধরে নিয়ে বলা যায় যে, নির্বাচন কমিশনের মতো একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে কাদের নিয়োগ দেওয়া হবে, সেজন্য অন্তত একটি আইনি কাঠামো তো গড়ে তোলা গেলো।

পাঠক এরইমধ্যে জেনে গেছেন যে, কাদের নিয়ে ইসি পুনর্গঠন করা হয়েছে। অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে এই ধারণাটি আগে থেকেই করা গিয়েছিল যে, পাঁচ জনের মধ্যে তিন জনই হবেন সাবেক আমলা। একজন সাবেক সামরিক কর্মকরতা এবং একজন হবেন সাবেক বিচারক। যথারীতি তাই হয়েছে।

যারা নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল সবশেষ প্রতিরক্ষা সচিব ছিলেন। আইন সচিব হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন। বাকি চার জনের মধ্যে বেগম রাশিদা সুলতানা অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ; আহসান হাবীব খান অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল; মো. আলমগীর সাবেক নির্বাচন কমিশন সচিব এবং আনিছুর রহমানও সাবেক সচিব।

স্মরণ করা যেতে পারে, ২০১৯ সালের ১০ জুন নির্বাচন কমিশন সচিব হিসেবে যোগ দেন মো. আলমগীর এবং ওই বছরে ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি সিনিয়র সচিব হিসেবে পদোন্নতি পান। ২০২১ সালের জানুয়ারিতে তিনি নির্বাচন কমিশন থেকেই অবসরে যান। কিন্তু ২০১৯ সালে যখন তাকে ইসি সচিব হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়, তখন সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছিলেন, 'নির্বাচন কমিশনের মতো একটি প্রতিষ্ঠানে এমন একজনকে সচিব করা হয়েছে, যিনি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অনুগত ও বিশ্বস্ত হিসেবে ইতোমধ্যে পরিচিত অর্জন করেছেন। সরকারের এই পদক্ষেপ ধ্বংসপ্রাপ্ত গণতন্ত্র ও লুপ্তপ্রায় সুষ্ঠু নির্বাচনের ওপর মরার ওপর খাঁড়ার ঘা, যা এক ভয়ঙ্কর অশনি সংকেত।'

নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারির পরে ডেইলি স্টারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মো. আলমগীর বলেন, 'অতীতের ভুল থেকে আমরা শিক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করব এবং অতীতের ইসির ভুলের পুনরাবৃত্তি হবে না।' সব রাজনৈতিক দলকে আস্থায় নিয়ে কমিশন পরিচালনার চেষ্টার কথাও জানান তিনি।

আর নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করছেন নতুন সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল। গণমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দলকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সদ্য নিয়োগ পাওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, 'রাজনৈতিক দল মানেই তো ওরা নির্বাচন করবে। সেটা বিএনপি হোক, যাই বলি না কেন। অ্যাট লিস্ট (অন্তত) তাদের তো দাওয়াত করতেই হবে, আমন্ত্রণ জানাতে হবে।'

নতুন নির্বাচন কমিশন কেমন হলো সেটি তাদের কাজেই প্রমাণিত হবে। এই কমিশনের সামনে সবচেয়ে বড় কাজ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং এই কমিশনের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ বিগত কয়েকটি জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে পুরো নির্বাচনি ব্যবস্থাটি যেভাবে বিতর্কিত হয়েছে, সেখান থেকে ইসির ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনা। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ইসির মর্যাদা এবং এর প্রতি জনআস্থার পুনরুদ্ধার করা। কিন্তু কাজটি সহজ নয়। 

নতুন কমিশনার মো. আলমগীর দীর্ঘদিন নির্বাচন কমিশনের সচিব ছিলেন। তিনি এই প্রতিষ্ঠানের ভেতর-বাহির সবই জানেন। কীভাবে এই প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হয়, তার নাড়িনক্ষত্র তার জানা। সুতরাং তিনি যখন বলছেন যে অতীতের ভুলের পুনরাবৃত্তি হবে না—তখন এটি স্পষ্ট যে, অতীতে ভুল হয়েছে। সুতরাং নতুন কমিশন যদি সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে কাজ করে, তাহলেও ইসির ভাবমূর্তি ফিরিয়ে আনার কাজটা সহজ হবে।

মূল চ্যালেঞ্জ অন্য জায়গায়। তা হলো, আগামী জাতীয় নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক এবং গ্রহণযোগ্য করা। খুব শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনও গ্রহণযোগ্য হয় না, যদি দেশের প্রধান রাজনৈতিক দগুলোর সবাই ভোটে অংশ না নেয়। সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই ভালো নির্বাচন।

নতুন সিইসির প্রত্যাশা সব দল নির্বাচনে অংশ নেবে। সাধারণ মানুষেরও প্রত্যাশা তাই। কিন্তু ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিনপি এখনো বলছে যে, তারা আওয়ামী লীগের অধীনে নির্বাচনে যাবে না। তারা চায় নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার। যদিও বিদ্যমান সংবিধানের আলোকে সেটির কোনো সুযোগ নেই। যদি সুযোগ না থাকে এবং সরকার যদি সুযোগ তৈরি না করে, তাহলে বিএনপিকে নির্বাচনে আনাটা ইসির পক্ষে কি সম্ভব হবে? আর যদি বিএনপির মতো একটি দল শেষমেশ নির্বাচনে অংশ না নেয়, তাহলে সেই নির্বাচন যত অবাধ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণই হোক না কেন, দেশে বিদেশে সেটি কি গ্রহণযোগ্য হবে?

এখানে নির্বাচন কমিশন কী করতে পারে? তারা বিএনপিসহ অন্য সব দলের মধ্যে যদি এই আস্থার জন্ম দিতে পারে যে, যে সরকারের অধীনেই নির্বাচন হোক না কেন, নির্বাচনকে অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে ইসি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে এবং যদি সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয় তাহলে নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করা হবে—তাহলে রাজনৈতিক দলগুলো হয়তো ভরসা পাবে।

নির্বাচন কমিশনের সামেন আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনে একশো ভাগ নিরপেক্ষ থেকে মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়িয়ে থাকা। সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন স্বাধীন হলেও বাস্তবতা বড় কঠিন। ফলে সেই কঠিন কাজটি করার জন্য যারা নিয়োগপ্রাপ্ত হলেন, তাদের জন্য এটি একটি বড় পরীক্ষাও বটে।

সদ্য বিদায়ী কমিশনের পাঁচ জনের মধ্যে একজন (মাহবুব তালুকদার) বরাবরই স্রোতের বিপরীতে হেঁটেছেন। তিনি বারবার নোট অব ডিসেন্ট দিয়েছেন; অনিয়ম অব্যবস্থাপনা নিয়ে বারবার কথা বলেছেন। ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু শেষদিন পর্যন্ত পদেও বহাল ছিলেন। প্রতিবাদ করে তিনি পদত্যাগ করতে পারতেন। কিন্তু তা করেননি। বরং বারবার তিনি নিজেকে স্রোতের বিপরীতের মানুষ প্রমাণ করতে চেয়েছেন। কিন্তু আদতে নির্বাচনকে এবং ইসিকে প্রশ্নবিদ্ধ হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। উপরন্তু শেষ মুহূর্তেও সিইসির সঙ্গে তার বাহাস ও মতদ্বৈততা প্রকাশ্য হয়েছে—যাতে করে এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি মানুষের কাছে রসিকতার বস্তুতে পরিণত হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ট্রল হয়েছে—যা একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের জন্য মোটেও সম্মানের নয়। সুতরাং নবগঠিত কমিশনকে এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিতে হবে এবং সতর্ক থাকতে হবে, যাতে তাদের কোনো কাজ বা কথাবার্তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রসিকতার জন্ম না দেয়।

লেখক: কারেন্ট অ্যাফেয়ার্স এডিটর, নেক্সাস টেলিভিশন।

(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নেবে না।)

Comments

The Daily Star  | English

Violence against women, children: Over 35,000 cases unresolved for over 5 years

More than nine years have passed since a case was filed over the rape of a nine-year-old schoolgirl in Dhaka’s Khilkhet area. The tribunal dealing with the case has framed charges against the lone accused and held 96 hearings but is yet to complete the trial.

12h ago