নৃগোষ্ঠীর মানুষের ক্ষতি কি আদতেই ‘সামান্য ক্ষতি’?

অনেক দূর থেকে পাহাড়ে আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যাচ্ছে। অন্ধকার ভেদ করে আগুনের লাল আলো দেখে কেউ যেন ভাববেন না যে, সেখানে পাহাড়ের মানুষদের কোনো উৎসব হচ্ছে। সেখানে বনভূমি পোড়ানো হচ্ছে। দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। আগুনের লেলিহান শিখা পুড়িয়ে দিচ্ছে গাছ-গাছালি, জুমের জমি এবং ওই এলাকার প্রাণীকুলের আবাস।
পাঁচ তারকা হোটেল নির্মাণ ও পর্যটনের নামে প্রাচীন জুম ভূমি কেড়ে না নেওয়ার দাবি জানিয়েছে পাহাড়িরা। ছবি: সংগৃহীত

অনেক দূর থেকে পাহাড়ে আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যাচ্ছে। অন্ধকার ভেদ করে আগুনের লাল আলো দেখে কেউ যেন ভাববেন না যে, সেখানে পাহাড়ের মানুষদের কোনো উৎসব হচ্ছে। সেখানে বনভূমি পোড়ানো হচ্ছে। দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। আগুনের লেলিহান শিখা পুড়িয়ে দিচ্ছে গাছ-গাছালি, জুমের জমি এবং ওই এলাকার প্রাণীকুলের আবাস।

অনেকের কাছেই এই অগ্নিকাণ্ডের ব্যাপারটি আসলে খুব বড় কোনো ঘটনা নয়। ৪০টি ম্রো ও ত্রিপুরা পরিবার প্রাকৃতিক বনাঞ্চল নবায়ন করে নিজেদের জীবন চালানোর জন্য জুম চাষ করছিল, সেটা দখল করে নিয়েছে লামার একটি রাবার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড। শুধু দখলই নয়, লামা সরই ইউনিয়নের ম্রো ও ত্রিপুরাদের জুমের জমিতে আগুনও লাগিয়েছে।

প্রাকৃতিক বনাঞ্চল উজাড় করে এবং পুড়িয়ে রাবার ও হর্টিকালচার বাগান করার জন্য এ আয়োজন। এতে একদিকে যেমন পরিবেশের ক্ষতি, অন্যদিকে পথে বসেছে প্রায় ৪০টি ম্রো ও ত্রিপুরা পরিবার। এই জমির ওপর ভিত্তি করে পাড়া টিকে আছে। প্রাকৃতিক বনাঞ্চল ছাড়া জুমচাষ হয় না। এজন্য জুমচাষিরা এক জায়গায় জুমচাষ করার পর ওই জায়গাটি কয়েক বছর পতিত রেখে প্রাকৃতিক বনাঞ্চল নবায়ন করেন। 

মনে হতে পারে প্রাকৃতিক বনাঞ্চল পুড়িয়ে দেওয়া, এতে আর এমন কী ক্ষতি হলো? ৪০টি পরিবারের মানুষের আহার-বাসস্থান থাকলো না, শিশুদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে গেল এবং এই মানুষগুলো ঠিকানাহীন হয়ে গেলেন। সাংবাদিক বিপ্লব রহমানের একটি লেখায় দেখেছি, ২০০৬ সালেও উচ্ছেদে হতদরিদ্র ম্রো জনগোষ্ঠী ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছোট ছোট ঝুপড়ি ঘরে বাস করছে চিম্বুকের প্রধান সড়কের পাশে। তাদেরই একাংশ 'ক্রামাদি পাড়া' নামে নতুন একটি বসতি গড়ে তুলেছে। কিন্তু জুমচাষের জমি কমে আসায় জীবন হয়েছে আরও কঠিন। কেউ পেশা বদল করে পরিণত হয়েছেন দিনমজুরে।

পাহাড়ে বসবাসকারী মানুষ এবং পাহাড়ে যারা নিয়মিত যাতায়াত করেন সকলেই অনুভব করছেন, পাহাড়ের বনাঞ্চল খালি হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। খবরে দেখলাম, বান্দরবানের টংকাবতী এলাকার বনাঞ্চলের গাছ ও ঝিরি-ঝরনার পাথর পাচার হয়ে যাচ্ছে। নির্বিচারে গাছ ও পাথর পাচার হলে ওই এলাকার পরিবেশগত বিপর্যয় যেমন ঘটবে, তেমনি প্রাকৃতিক পানির উৎসও শুকিয়ে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।

দক্ষিণ হাঙ্গর খাল ও খালে এসে পড়া ৮টি ছড়ার পাথরও তুলে নেওয়া হচ্ছে অবাধে। একইসঙ্গে নির্বিচার গাছ কেটে হাতি দিয়ে টেনে চিম্বুক পাহাড়ের ঢাল ও পাদদেশের বনাঞ্চল উজাড় করে ফেলা হচ্ছে। এতে পানির উৎসগুলো মারাত্মক দূষিত হয়ে পড়ছে এবং শুকিয়ে যাচ্ছে। খালের পাড়ে জমে আছে পাথরের স্তূপ।

দক্ষিণ হাঙ্গর খাল, দেবতাঝিরি, পুমপুরঝিরি, পানঝিরিসহ ৮টি খাল-ঝিরি থেকে পাথর উত্তোলনের ফলে পানির গতিবেগ বাধাগ্রস্ত হবে। পানির এ উৎসগুলোর ওপর নির্ভর করে প্রায় দেড় হাজার মানুষের বসতি গড়ে উঠেছে। পাহাড়ের মানুষ খুব পানির কষ্টে থাকেন। ৪-৫ কিলোমিটার হেঁটে গিয়ে পানি আনতে হয়।

এরকম এক অবস্থায় যদি ঝিরির পাথর পাচার করা হয়, তাহলে এই মানুষগুলোকে পানি না পেয়েই মারা যেতে হবে। দুর্গম অরণ্যে যারা বাস করেন, তাদের দুঃখ আমাদের মূলধারার মানুষকে কখনো স্পর্শ করে না। মনে হয় এ আর এমন কী ক্ষতি, কিছু ঝিরি বন্ধ হয়ে যাবে, আর কিছু বৃক্ষ নিধন হবে। আমাদের তো এতে কোনো ক্ষতি হবে না। খুব সামান্য ক্ষতি হবে এখানকার দরিদ্র মানুষগুলোর।

পাহাড় ও সমতলের আদিবাসীদের নিয়ে কাজ করতে গিয়ে আমরা দেখেছি বঞ্চিত হতে হতে এই মানুষগুলোর পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। কাজের প্রয়োজনেই সাংবাদিক বিপ্লব রহমানের লেখা 'পাহাড়ে বিপন্ন জনপদ' বইটি পড়ে অনেক তথ্য, ইতিহাস জানা গেল একজন প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে। বুঝলাম পাহাড়ে ঘটে যাওয়া এই 'সামান্য ক্ষতি'র প্রেক্ষাপট অনেক পুরনো। পাহাড়ের এই ক্ষয়ক্ষতি, প্রাণনাশ, হত্যা, ষড়যন্ত্র, জায়গা দখল ও বৃক্ষ উজাড় নতুন কোনো ঘটনা নয়। এর চেয়েও বড় মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার বিবরণ, দিনক্ষণ, নেপথ্য কাহিনী এখানে লেখা আছে।

এই বইটি পড়ে চোখের সামনে ভেসে উঠলো কিছু ঘটনার কথা, যা আমরা প্রায় ভুলেই যেতে বসেছিলাম। ১৯৯২ সালের লোগাং গণহত্যা থেকে শুরু করে নানিয়াচর, বাঘাইছড়ি, রাঙামাটির সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনা, কল্পনা চাকমাকে অপহরণ ঘটনা, সীতাকুণ্ড পাহাড়ের শ্রমদাস ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের কথা, পাহাড়ের মুক্তিযুদ্ধের অপ্রকাশিত কথা ও পার্বত্য শান্তিচুক্তির কথা উঠে এসেছে। এ ছাড়া, আছে কিছু সরকারি দলিল ও নির্দেশনা সংগ্রহের কথা, যেগুলো পাহাড়ে বৈষম্যের রাজনীতিকে আরও স্পষ্ট করেছে।

চিম্বুক পাহাড়ের স্থানীয় যুবক চিনপাত ম্রো সেই ২০০৬ সালে উচ্ছেদ অভিযানের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছিলেন, 'আমি তখন ঢাকায় নটরডেম কলেজের ছাত্র। ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে ফিরছি। মনে বাড়ি ফেরার আনন্দ। কিন্তু বিকেলের দিকে গ্রামে ফিরে দেখি সব ফাঁকা। কোথাও জনমানুষ নেই। অনেক চেষ্টার পর রাতের বেলা গহিন জঙ্গলে আমার পরিবার ও আত্মীয়স্বজনকে খুঁজে পাই। ভয়াবহ শীতের রাতে ৩৩টি পরিবার জঙ্গলের ভেতর কলাপাতা দিয়ে অস্থায়ী ছাউনি করে কোনোরকমে টিকে থাকার চেষ্টা করছে। উচ্ছেদের পর অজানা আতঙ্কে সবাই ভীতসন্ত্রস্ত। জুমচাষের জমি কমে যাওয়ায় ঘরে ঘরে অভাব লেগেই আছে। নতুন উচ্ছেদ আতঙ্ক এখনো তাড়া করে ফেরে।'

দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হলো- এরপর ১৬টি বছর কেটে গেছে, অথচ চিনপাতের এই 'নতুন উচ্ছেদ আতঙ্ক' এখনো তাড়া করে ফেরে পাহাড়ে থাকা মানুষদের। এই ভূমি, এই মাটির প্রত্যেকটা ইঞ্চি তাদের বাপ-দাদার সম্পত্তি। কিন্তু এই মানুষগুলোর অনুমতি ছাড়াই পাহাড়ে উন্নয়নের কথা বলে পর্যটন কেন্দ্র হচ্ছে, জুমের জমিতে আগুন লাগানো হচ্ছে শিল্প কারখানা করবে বলে, ঝিরির পাথর সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে, খালগুলোতে মাটি ফেলে ভরাট করা হচ্ছে।

নৃগোষ্ঠীর মানুষের সব ক্ষতিই আমাদের কাছে সামান্য ক্ষতির মতো। এই যে রাবার চাষ করার, বিনোদন কেন্দ্র বা হোটেল বানানোর জন্য নৃগোষ্ঠীর মানুষকে যখন ভিটে-মাটি ছাড়া করা হয়, তখন সেটা হয় এক ধরনের অপরাধ। কারণ এর জন্য তাদের কোনোরকম টাকা-পয়সা দেওয়া হয় না, এমনকি পুনর্বাসনও করা হয় না। এ ধরনের ভূমি দখল পার্বত্য শান্তিচুক্তি ও পার্বত্য অঞ্চলের বিদ্যমান আইন কানুনেরও লঙ্ঘন ঘটায়।

১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু সরকার আইএলও কনভেনশন নম্বর ১০৭ রেকটিফাই করেন। এতে বলা হয়েছে, নৃগোষ্ঠীর কাগজ বা দলিল থাকুক বা না থাকুক, যে জমি ঐতিহ্যগতভাবে তারা ব্যবহার করে, সে জমি তাদের। কিন্তু এর আলোকে জাতীয় পর্যায়ে আইন বা নীতিমালা হয়নি এখনো। আন্তর্জাতিক সনদের বাস্তবায়ন না হওয়ায় এবং এসবের আলোকে আইন না থাকায় নৃগোষ্ঠীর সদস্যরা তাদের ভূমি রক্ষা করতে পারছেন না।

যে মানুষগুলো শত শত বছর ধরে বেঁচেই আছে শুধু অরণ্যকে ঘিরে, যাদের বসবাস, জন্ম, মৃত্যু, সংস্কৃতি, আনন্দ, বেদনা সব এই প্রকৃতিকে ঘিরে, সেই মানুষগুলোকেই আধুনিকতার নামে, বিনোদন কেন্দ্রের নামে আমরা উচ্ছেদ করে চলেছি।

মধুপুরের গারোদের যদি জিজ্ঞাসা করা হয় তাদের নিজেদের জায়গায় যে জাতীয় উদ্যান করা হয়েছে, এতে তারা খুশি কী না? মধুপুর বনের প্রাকৃতিক গাছ-গাছালি কোথায়? জীববৈচিত্র কোথায়? মধুপুর বনের পরিবেশ ও মানুষ দুই-ই আজ বিপন্ন, সেটাও আমাদের কাছে সামান্য ক্ষতি।

সিলেটে খাসিয়াদের জায়গা নিয়ে নেওয়া হয়েছিল ইকোপার্ক করার জন্য। পটুয়াখালী-বরগুনা অঞ্চলে রাখাইনদের অস্তিত্ব পুরোপুরি বিলীন হওয়ার পথে। যে পাহাড় ও বনকে নৃগোষ্ঠীর মানুষ নিজেদের ঐতিহ্য বলে মনে করেন, ক্রমশ রাষ্ট্র তা কেড়ে নিচ্ছে নানা কায়দায়। তাদের সঙ্গে কোনো কথা না বলে, যাকে ইচ্ছে তাকেই জমির অধিকার দিয়ে দিচ্ছে।

আমরা যারা নিজেদের মূল স্রোতধারার মানুষ বলে ভাবি, তারা পাহাড়ে বেড়ানো, পাহাড়ি রান্না খাওয়া, পাহাড়িদের বাড়িতে থাকা, নৃগোষ্ঠীদের সাংস্কৃতিক উৎসব উপভোগ করতে খুব পছন্দ করি। রাশ মেলা, বিজু, নবান্ন, ওয়ান্নাগালা কোনো উৎসবই বাদ দেই না। কিন্তু আমরা কি অস্বীকার করতে পারি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর প্রতি আমাদের চলমান উপেক্ষাকে?

চুক্তির পরও পাহাড়ে হাজার হাজার একর জমি দখল হয়ে গেছে রিজার্ভ ফরেস্ট, পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন, ব্যবসায়ী, প্রভাবশালী আমলা ও রাজনৈতিক ব্যক্তিকে হর্টিকালচার ও রাবার চাষের নামে ইজারা দেওয়ার নামে। হাজার হাজার একর জবরদখল করা হচ্ছে।

অন্যদিকে, এইসব নৃগোষ্ঠীর মানুষ, যারা শরণার্থী হয়েছেন, তাদের জায়গা-জমি প্রত্যর্পণ ও পুনর্বাসন হয়নি। তারা আরও অসহায়ভাবে দেখছেন যে, বিপদে তাদের পাশে দাঁড়ানোর বিশেষ কেউ নেই।

আমরা পাহাড়ে যাই, আনন্দ করি কিন্তু ফিরে এসে ভুলে যাই ওখানকার মানুষগুলোর দুঃখ-দুর্দশার কথা, তাদের না পাওয়ার কথা, তাদের প্রতি অবহেলা ও অসম্মানের কথা। আমরা কি কখনো জানতে চেয়েছি প্রতিদিন পাহাড়ে কত মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছেন? কতজন হানাহানিতে মারা যাচ্ছেন, পাহাড় কেটে সাবাড় করছে কারা, বনভূমি উজাড় করছে কারা, কত নারীকে যৌন হয়রানি করা হচ্ছে? না আমরা খোঁজ রাখি না, রাখতে চাইও না। কারণ এ সবই আমাদের কাছে, রাষ্ট্রের কাছে 'সামান্য ক্ষতি'।

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'সামান্য ক্ষতি' কবিতাটি যারা পড়েছেন, তারা বুঝতে পারবেন কেন নৃগোষ্ঠীর মানুষের সব ধরনের না পাওয়াকে, কবিতায় উল্লেখিত রাণীর মতো আমরা 'সামান্য ক্ষতি' বলেই মনে করছি।

কাশীর মহিষী করুণা মাঘ মাসের শীতে গোসল করার পর আগুনের উত্তাপ নেওয়ার জন্য তার সখীদের বলেছিল, গরীব প্রজাদের ঘরে-বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিতে। রানী ঠিকই উষ্ণতা পেয়েছিল, কিন্তু গরীব প্রজাদের ঘর-বাড়ি পুড়ে যায়। রানী কিন্তু বুঝতেই পারেনি, দরিদ্র প্রজাদের কী ক্ষতি সে করে ফেলেছে। কবিতায় রাণী বলে,

'ওলো তোরা আয়! ওই দেখা যায়

কুটির কাহার অদূরে,

ওই ঘরে তোরা লাগাবি অনল,

তপ্ত করিব করপদতল' —

এত বলি রানী রঙ্গ বিভল

হাসিয়া উঠিল মধুরে।'

রাজার দরবারে এসে গৃহহীন প্রজারা নালিশ জানানোর পর রাজা বুঝতে পারলেন রাণী কী অপরাধ করেছে। তিনি রাণীর কক্ষে প্রবেশ করে বললেন,

'মহিষী, একি ব্যবহার!

গৃহ জ্বালাইলে অভাগা প্রজার

বলো কোন রাজধরমে!'

রুষিয়া কহিল রাজার মহিষী,

'গৃহ কহ তারে কী বোধে!

গেছে গুটিকত জীর্ণ কুটির,

কতটুকু ক্ষতি হয়েছে প্রাণীর?

কত ধন যায় রাজমহিষীর

এক প্রহরের প্রমোদে!'

শাহানা হুদা রঞ্জনা: সিনিয়র কোঅর্ডিনেটর, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন

(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নেবে না।)

Comments