‘ধর্ষণ ঠেকাতে হাঁটু চেপে রাখা’ তত্ত্বের মতো?
যিনি যৌনকর্মী, তাকেও কি ধর্ষণ করার অধিকার কারো আছে? আইন বলে, নেই। যারা যৌনকর্মীদের অধিকার নিয়ে কাজ করেন, তারা জানেন যৌনকর্মীরও অধিকার আছে, তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো কিছু না করার।
একজন যৌনকর্মীও যদি অভিযোগ করেন যে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে, তাহলে পুলিশকে সেটাও তদন্ত করতে হবে। ধর্ষণ মামলায় অনেক তদন্ত কর্মকর্তা সঠিকভাবে অভিযোগের তদন্ত করেন না বা দুর্বলভাবে তদন্ত করেন। এর ফলে অপরাধীকে আদালতে অভিযুক্ত করা খুবই কঠিন হয়ে যায়, তারা পার পেয়ে যায়। (সূত্র: এডভোকেট সালমা আলী, সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতি)
বনানীর রেইনট্রি হোটেলের ঘটনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কানাডার আরেকটি ঘটনার কথা এখানে উল্লেখ না করলেই নয়। বন্ধুদের সঙ্গে পার্টিতে গেলে আরেক বন্ধু ধর্ষণ করে ১৯ বছরের এক তরুণীকে। সে যখন বিচার চাইতে আদালতের শরণাপন্ন হয়, তখন খোদ বিচারক রবিন ক্যাম্প বলেছিলেন, 'এই মেয়ে, তুমি তোমার ২ হাঁটু একসঙ্গে চেপে রাখতে পারলে না?' বলেন আরও কিছু কথা। বিচারক এই কথাগুলো বলেছিলেন ওই মেয়েকে, যাকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। বিচার কার্য পরিচালনার সময় প্রিসাইডিং জাজ হিসেবে দায়িত্বপালন করার সময় তিনি এই কথাগুলো বলেছিলেন। রায়ে রবিন ক্যাম্প অভিযুক্তকে খালাস দেন।
ঘটনাটি ২০১৪ সালে কানাডার আলবার্টার প্রভিন্সিয়াল আদালতের। পরে অবশ্য আপিলে তার এই রায় বাতিল হয়ে যায় এবং নতুন করে বিচারের নির্দেশ দেন। নতুন বিচারেও অভিযুক্ত খালাস পায় এবং আদালত অভিযোগকারীকে 'ইনকনসিস্টেন্ট এবং নট ক্রেডিবল' বলে মন্তব্য করেন।
'আদালত স্বাধীন এবং নিরপেক্ষভাবে মর্যাদার সঙ্গে কাজ করে বলে সাধারণ মানুষের মনে যে বিশ্বাস রয়েছে' সেই বিশ্বাসকে মর্যাদা দিতে রবিন ক্যাম্পের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশেও '৭২ ঘণ্টার পর ধর্ষণ মামলা নেওয়া যাবে না' এমন পর্যবেক্ষণ দেওয়া ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম কামরুন্নাহারের বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। এর আগেই আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছিলেন, তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে আইন মন্ত্রণালয় প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দেবে।
সচেতন নাগরিকবৃন্দ '৭২ ঘণ্টা পর কোনো নির্যাতিত মানুষ তার ওপর সংগঠিত যৌন নির্যাতনের জন্য মামলা করতে পারবে না'—আদালতের এই পর্যবেক্ষণের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করেছেন। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ২০১৪ সালে 'Landmark Judgements on Violence against Women of Bangladesh, India and Pakistan' শীর্ষক একটি বই প্রকাশ করেছিল। সেখানে বিচারপতি গোলাম রাব্বানী মন্তব্য করেছিলেন যে, 'বিচারের সময় একজন রেপ ভিকটিমের মুখের কথাকে গুরুত্ব দিতে হবে। সেইসাথে গুরুত্ব দিতে হবে পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য প্রমাণাদিকে। ধর্ষণ এমন একটি অপরাধ যা শুধু ভিকটিমকে নয়, পুরো সমাজকে আঘাত করে।'
আমরা দেখেছি কোনো নারীকে যখন ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতন করা হয়, এমনকি ধর্ষণের পর তার মৃত্যুও হয়, তখনও সেই মৃত্যুর খবরের নীচে অসংখ্য মানুষের নোংরা, অসভ্য, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য জমা হতে থাকে। তারা সবাই মনের দিক থেকে ধর্ষক। তা না হলে এমন ভয়াবহ ঘটনা প্রসঙ্গে এত অযৌক্তিক ও অশ্লীল মন্তব্য করে কীভাবে? বিভিন্ন ধরণের অবদমন তাদের মনে বিষ তৈরি করে, সেই বিষ তারা এভাবেই উগরে দেন।
একশ্রেণীর মানুষ আছেন যারা ধর্ষণের ঘটনা খতিয়ে দেখতে ভালবাসেন। তারা বুঝতে চান, সেই ঘটনা কি আদৌ ধর্ষণ? নাকি সম্মতিক্রমে করা যৌনতা? এরচেয়ে বড় আলোচ্য বিষয়, মেয়ের চরিত্র ও পোশাক কেমন ছিল? ধর্ষণ ও হত্যার কোনো কারণ থাকতে পারে না। যদি থাকে, তাহলে ২ মাসের নবজাতক থেকে ৬০ বছরের মা, হিজাব বা বোরকা পরিহিত নারী, প্রতিবন্ধী নারী এবং ছেলেদের কেন ধর্ষণ করা হচ্ছে? এর কী ব্যাখ্যা আছে?
ধর্ষণ করাটা যেমন একজন মানুষের কদর্য অবদমন থেকে আসে, তেমনি যারা ভিকটিম ব্লেমিংয়ের মাধ্যমে যাকে ধর্ষণ করা হয়েছে তাকে অপরাধী বানাতে ব্যস্ত তারাও কিন্তু সেই একই অপরাধে অপরাধী। ধর্ষণের দায় উল্টো নারী ও শিশুর ওপর দেওয়ার ফলে প্রকৃত অপরাধীরা আরও উৎসাহিত হচ্ছে।
বনানীর রেইনট্রি হোটেলে আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলেসহ তার সঙ্গীরা ধর্ষণের অভিযোগ থেকে খালাস পেয়েছে। এর পেছনে নানান কারণ থাকতে পারে। তবে পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানতে পেরেছি যে বিজ্ঞ বিচারক মনে করেন, ওই ২ তরুণী সেক্সুয়াল পারফরম্যান্সে অভ্যস্ত ছিলেন। এটা কোনো আলোচিত মামলা না, আর সব সাধারণ মামলার মতোই এটা। যেহেতু তারা রেগুলার সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্স করতেন, সুতরাং এখানে কোনো ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি।
মেডিকেল রিপোর্টে ফোর্সফুল সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্সের আলামত পাওয়া যায়নি। তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের (ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টার) পরিদর্শক চার্জশিট দাখিল করে আদালতের পাবলিক টাইম (৯৪ কার্যদিবস) নষ্ট করেছেন। এ সময় অনেক গুরুত্বপূর্ণ ধর্ষণ মামলার বিচার ব্যাহত হয়েছে এবং সর্বোপরি ৭২ ঘণ্টা পর মেডিকেল টেস্ট করা হলে ধর্ষণের আলামত পাওয়া যায় না। তাই ৭২ ঘণ্টা পর যাতে কোনো মামলা না নেওয়া হয় সেই মর্মে আদেশ দেওয়া হয়।
অ্যাডভোকেট সালমা আলী এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'আমাদের উচ্চ আদালতের এই সংশ্লিষ্ট একটি রায় আছে। নারী ও শিশু নির্যাতন সংক্রান্ত একটি মামলায় হাইকোর্ট এক রায়ে বলেছেন, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়া পারিপার্শ্বিক বিবেচনায় ধর্ষণ মামলায় আসামিকে সাজা দেওয়া যাবে। ধর্ষণের প্রমাণ হিসেবে মেডিকেল রিপোর্ট না থাকলেও ধর্ষণের অভিযোগ মিথ্যা ছিল, তা বলা যাবে না।' সামাজিক ও পারিপার্শ্বিক কারণে উচ্চ আদালতের এই রায় যুগান্তকারী।
কাজেই ৭২ ঘণ্টা পর মেডিকেল টেস্ট করা হলে ধর্ষণের আলামত পাওয়া না গেলেও কিন্তু মামলা চলতে পারে। তাই ৭২ ঘণ্টা পর যাতে কোনো মামলা না নেওয়া হয় সেই মর্মে যে আদেশ দেওয়া হয়েছে, তা ভিকটিমকে আরও অসহায় করে তুলতে পারে।
আমাদের দেশে সামাজিক অবস্থায় একজন ভিকটিম বা ভিকটিমের পরিবার খুব ট্যাবুর মধ্যে থাকে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির ঘটনার পর। তারা ভাবতে বাধ্য হন মামলা করবেন কি না, সবার সামনে যাবেন কি না, বিচারের মুখোমুখি হবেন কি না, মামলার ব্যয়ভার বহন করতে পারবেন কি না, আসামি পক্ষ শক্তিশালী কি না ইত্যাদি। এইসব ভাবনা চিন্তাতেই পার হয়ে যায় বেশ কিছুদিন। এটাই আমাদের বাস্তবতা।
যে নারী-কিশোরী বা শিশুকে ধর্ষণ করা হয়, প্রথমেই তারা মানসিক ও শারীরিকভাবে ট্রমায় চলে যান। ধর্ষণের পর বেশিরভাগ ভিকটিম পরিবার এবং তার আত্মীয়স্বজন ও পারিপার্শ্বিকের কারণে ঘটনাটি ধামাচাপা পড়ে যায়। ঘটনা গোপন করার জন্য বা অপরাধীরা শক্তিশালী হলে পরিবেশ ও পরিস্থিতির কারণে বেশিরভাগ ভিকটিমকে দীর্ঘ সময় আটকেও রাখা হয়। তাই ধর্ষণের পর নারী-কিশোর বা শিশু সময়মতো মামলা বা অভিযোগ দায়ের করতে পারেন না। আবার অনেক ক্ষেত্রে মামলাটাও থানা নিতে চায় না। অনেক ধর্ষণ মামলা বছরের পর বছর আদালতে চলতে থাকে।
গত জানুয়ারিতে এমজেএফ ফলোআপকৃত ২৫টি ধর্ষণ মামলার বর্তমান অবস্থা তুলে ধরা এবং ধর্ষণ মামলা পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতা ও দীর্ঘসূত্রিতার কারণ খুঁজে বের করার জন্য একটি জরিপ রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। দেশে ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত দায়েরকৃত ২৫টি ধর্ষণ মামলার মধ্যে গ্রেপ্তারের ২৪ ঘণ্টা পর হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যেই অভিযুক্ত ২৫ জন আসামি জামিন পেয়েছেন। অধিকাংশ আসামি জামিনে মুক্ত হয়ে মামলাকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছেন।
দেখা গেছে বেশির ভাগ সাক্ষী হাজির না হওয়াতে এইসব মামলার তারিখ পিছিয়ে গেছে। অভিভাবকরা হতাশ হয়ে আর কোর্টে যেতে চাইছেন না। দরিদ্র অভিভাবকরা আর্থিক অসুবিধার জন্য মামলা চালাতে নারাজ। কেন ধর্ষণ মামলার বিচারের দেরি হচ্ছে এই কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে দেখা গেছে, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে, মামলা বিচারের জন্য নথি প্রাপ্তির তারিখ হতে ১৮০ দিনের মধ্যে কাজ শেষ করা এবং মামলার শুনানি শুরু হলে, তা শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতি কর্মদিবসে একটানা পরিচালনার নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও তা যথাযথভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে না।
তদন্তে দীর্ঘসূত্রতার কারণে আইন দ্বারা নির্ধারিত সময়সীমা তথা ৯০ দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করা হচ্ছে না। এ ছাড়া পাবলিক প্রসিকিউটর ভিকটিম ও সাক্ষীকে মামলার তারিখে আদালতে হাজির করানোর ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেন না। প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, থানা পুলিশ এবং বিচার প্রক্রিয়ায় যাকে ধর্ষণ করা হয়েছে তাকে নানাভাবে দোষারোপ করা হয়।
বনানীর আলোচ্য রায়ে আরও যা বলা হয়েছে, তাতে করে জানতে ইচ্ছা করছে নিয়মিত সেক্সুয়াল ইন্টারকোর্সে কি ধর্ষণের ঘটনা ঘটতে পারে না? তাহলে কেন বৈবাহিক ধর্ষণকে অনুমোদনকারী 'বৈষম্যমূলক আইন সংশোধন' করার দাবি জানিয়েছেন 'ধর্ষণ আইন সংস্কার জোট'? তারা মনে করেন দেশে বহু নারী ও কন্যাকে বিয়ের পর ধর্ষণ ও যৌন হয়রানি করা হচ্ছে। অথচ একটি লিঙ্গ বৈষম্যমূলক আইনের কারণে অধিকাংশ নারীই কোনো প্রতিকার পান না। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, শতকরা ২৭ দশমিক ৩ শতাংশ নারীই বলেছেন, তারা তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে স্বামীর জোরজবরদস্তির কারণেই যৌন মিলনে বাধ্য হন।
এই আলোচিত মামলায় আসামিরা 'নিরপরাধ' প্রমাণিত হয়েছেন। পাশাপাশি ভুক্তভোগীরা অপরাধী প্রমাণিত হয়েছেন কারণ, তারা এমন একটি পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন যাতে ধর্ষণ সংঘটিত হয়। মাননীয় বিচারক ধারণা করেন যে, 'পার্টিতে আসা, নাচা, সাঁতার কাটা' মানেই যৌন মিলনের জন্য সম্মতি দেওয়া। (সূত্র: মাহফুজ আনাম, সম্পাদক, দ্য ডেইলি স্টার)
আমরা দেখেছি ধর্ষকের পক্ষে প্রচলিত ধারণা বা কুযুক্তি বা মিথগুলো হচ্ছে, নারীরা সবসময় ধর্ষণ নিয়ে মিথ্যাচার করেন। কারণ তারা সেক্স করে অপরাধ বোধে ভোগেন বা তারা আলোচিত হতে চান। আরেকটি হচ্ছে কেউ যদি চিৎকার না করেন বা আক্রমণকারীকে আঘাত না করেন বা তার সঙ্গে ধস্তাধস্তি না করেন, তবে এটা ধর্ষণ হবে না। কিন্তু যৌনক্রিয়ার ক্ষেত্রে সব সময় অবশ্যই সঙ্গীর সম্মতি লাগবে। যে কোনো ধরণের সম্পর্কে থাকা অবস্থাতেও ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতন অপরাধ।
এইসব কারণেই রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণ মামলায় সব আসামিকে খালাস দেওয়ার রায়টা সবার কাছেই খুব বিস্ময়কর ও দুঃখজনক বলে মনে হয়েছে। নারী সমাজসহ সচেতন মানুষ এই রায় মেনে নিতে পারছেন না বলে 'শেকল ভাঙার পদযাত্রা' করছেন। তারা ভিকটিম ব্লেমিংয়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন।
বিচারকের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার চাইতেও জরুরি হচ্ছে পুলিশ, বিচারক, আইনজীবী, চিকিৎসক, কোর্ট স্টাফ ও ধর্ষণ মামলার বিচার সংশ্লিষ্ট সব স্টেকহোল্ডারদের জেন্ডার সমতা, হাইকোর্টের নির্দেশনা, সংস্কারকৃত আইন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রটোকল সম্পর্কে নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় ভিকটিম আরও দুর্বলবোধ করবেন, মামলা লড়তে সাহস হারাবেন এবং অনিরাপদ বোধ করবেন।
শাহানা হুদা রঞ্জনা, সিনিয়র কোঅর্ডিনেটর, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন
(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নেবে না।)
Comments