কাওয়ালি নিয়ে বাহাস কেন?
আশির দশকের প্রথমদিকে আমাদের বাসায় খুব ছোট একটা ক্যাসেট প্লেয়ার ছিল। আমরা বাংলা আধুনিক, পুরনো দিনের হিন্দি সিনেমার গান আর রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনতাম। সেটার ওপর আধিপত্য ছিল আমাদের, মানে ভাই-বোনদের। কয়েক বছর পর বাসায় একটা ঢাউস সাইজের টু-ইন-ওয়ান কেনা হলো এবং লক্ষ্য করলাম ওইটার ওপর আব্বা একধরণের প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা চালাচ্ছেন।
যন্ত্রটা আব্বার বসার জায়গার পাশে রাখা হলো বলে আরও বিপদে পড়া গেলো। এতদিন আমরাই ক্যাসেট কিনে আনতাম। নতুন যন্ত্র আসার পর দেখলাম প্রায় প্রতিদিনই আব্বা নিজ উদ্যোগে বিভিন্ন ক্যাসেট কিনে আনছেন। তবে এর অধিকাংশ ক্যাসেটই কাওয়ালি, মাইজভান্ডারি বা ভক্তিমূলক গানের। সে এক নতুন উৎপাত শুরু হলো বাসায়। সকাল হলেই সেই কাওয়ালির আওয়াজে আমাদের ঘুম ভাঙতো, এরপর আব্বা যতক্ষণ বাসায় থাকতো কাওয়ালি বাজকেই থাকতো। অনেকদিন এই অত্যাচার আমাদের সহ্য করতে হয়েছে।
আমরা কাওয়ালির সঙ্গে খুব একটা পরিচিত ছিলাম না। মাঝে মাঝে দেখতাম মোহাম্মদপুরের বিহারীপট্টিতে মাইকে কাওয়ালি বাজানো হচ্ছে। ঈদে তারা ভিসিআরে জমজমাট কাওয়ালির অনুষ্ঠান দেখতেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকেই মনে হতো, কাওয়ালি শোনে বিহারীরা, আমাদের বাসায় কেন বাজানো হচ্ছে? এই বিষয়ে বিরক্তি প্রকাশ করায় আব্বা বলেছিলেন, তোরা তো ভক্তিগীতি শুনিস। এটাও একধরণের ভক্তিগীতি। আল্লাহ, রসুলুল্লাহ (সা.) বা পীর আউলিয়ার প্রশংসা করে এই গান রচনা করা হয়।
সেই ৪০ বছর আগেই আব্বা বলেছিলেন, 'যার যে গান শোনার ইচ্ছা, সে তাই শুনতে পারে। আমরা কাউকে গান শোনার ব্যাপারে জোর করতে পারি না, করা উচিৎও নয়। পাকিস্তানি শোষকরা উর্দু ভাষা আমাদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করেছিল বলে, এই ভাষার প্রতি আমাদের একধরণের নেতিবাচকতা সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু তাই বলে উর্দু তো খারাপ ভাষা নয়। উর্দু সাহিত্য, গান, কবিতা, শের-শায়েরি খুব উন্নত বা সমৃদ্ধ। কাজেই কাওয়ালি শুনলেই যে আমরা বিহারী হয়ে গেলাম এটা কোনো কথা নয়।'
তখন জেনেছিলাম কাওয়ালি মূলত ফারসি ও উর্দু ভাষায় রচিত হলেও বাংলাতেও আছে। আমাদের বাসায় বাংলাতেও কাওয়ালি বাজতো। মুসলমান সুফি ও সাধকদের আধ্যাত্মিক জীবন কাহিনীই এই গানের মূল বিষয় হলেও, সনাতন ধর্মাবলম্বীরাও তাদের কিছু উৎসবে কাওয়ালির আয়োজন করে থাকেন। এই কথার প্রয়োগ দেখলাম বড় হয়ে—টিভি, ভারতীয় সিনেমা এবং সারেগামাপা জি বাংলার গানের আসরে। শুধু পাকিস্তানে নয়, ভারতেও জাঁকজমকের সঙ্গে কাওয়ালি হয়।
আব্বার কাছেই শুনেছিলাম, কবি নজরুলের হামদ-নাত ও অন্যান্য গানেও কাওয়ালির প্রভাব আছে। নজরুলের মতো ভক্তিমূলক ও ইসলামি গান আর কি কেউ লিখতে পেরেছেন, না পারবেন? তখন অবশ্য বিষয়টিতে মনোযোগ দেইনি বা দেওয়ার প্রয়োজন হয়নি। ভেবেছিলাম আব্বা ভালবাসে শুনছে, শুনুক। আমরা আমাদেরটা শুনবো।
তবে স্বীকার করতে হচ্ছে যে কাওয়ালির মধ্যে একটা জজবা আছে, আছে মাদকতা। এর সুর, তাল ও ছন্দের মধ্যে এমন একটা টান আছে যে বুঝি আর নাই বুঝি, ছন্দে মাথা দুলে ওঠে ঠিকই। যেমন রুনা লায়লার কণ্ঠে শোনা বিখ্যাত গান 'দমাদম মাস্ত কালান্দার' শোনার পর কারও কি ক্ষমতা আছে চুপ করে বসে থাকার। এটাও কিন্তু কাওয়ালি।
এরপর যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হলাম সেখানে আমাদের প্রফেসার ড. তৌহিদুল আনোয়ার স্যারকে পেলাম। স্যার চট্টগ্রামের মানুষ এবং মাইজভান্ডারি সুফিবাদ লাইনের মানুষ। তবে স্যার ছিলেন শচীনদেব বর্মণের কঠিন ভক্ত ও অনুসারী। প্রায়ই গুনগুন করে শচীনদেব বর্মণের গান গাইতেন। তবে ক্লাসে তার কথায় যতোটা থাকতো রিসার্চ মেথডোলজি ও পরিসংখ্যানের বিষয়, এর পাশাপাশি থাকতো সুফিবাদ, মাইজভান্ডারি, গজল ও কাওয়ালির কথা। কীভাবে এগুলো সম্পৃক্ত, সেই কথাও স্যার বলেছিলেন। বলেছিলেন কাওয়ালি ও মাইজভান্ডারি এই ২ ধারাতেই সুফিধারার মরমি ভাবদর্শন রয়েছে।
সেদিনও আমার কাছে কাওয়ালি, গজল ও সুফিবাদ নিয়ে স্যারের উৎসাহ তার ব্যক্তিগত পছন্দই মনে হয়েছিল। তবে কথায়, গল্পে অনেক কিছুই জানতে পেরেছিলাম স্যারের কাছ থেকে। যেমন সঙ্গীতের যে ধরণের রাগ আধ্যাত্মিক ও প্রেমভাব প্রকাশ করে, সেই রাগগুলোই কাওয়ালিতে থাকে। কাওয়ালি মূলত মুসলমানদের মধ্যেই বেশি প্রচলিত হলেও অন্যরাও শুনেন। খুব প্রচলিত এই ভক্তিমূলক গানই সুফিদের গান। সুফিসাধকরা তাই এই গান শুনেন। স্যারও সেজন্য কাওয়ালি শুনতে ভালবাসেন। আমরা অবশ্য স্যারের সঙ্গীত বিষয়ক এইসব আলাপ শুনতাম, কিন্তু সব যে বুঝতাম তা নয়। স্যার আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন বহুবছর আগে। এখন বেঁচে থাকলে তার বিশ্ববিদ্যালয়ে সাম্প্রতিক কাওয়ালি উৎসব আয়োজন ও সেটি পণ্ড হওয়া নিয়ে কিছু কথা নিশ্চয়ই বলতেন।
কাওয়ালি শুনতে দেখতাম আমাদের পুরাণ ঢাকার বন্ধু খালিদকে। ওরা আগামসি লেনে থাকতো, নারিন্দায় দাদা ও নানারবাড়ি। ওদের পরিবারের মধ্যে একধরণের নবাবী জৌলুস বা বনেদিয়ানা ছিল। বাসায় খাবার-দাবার, সাজগোজ ও সব রীতি-রেওয়াজ ছিল অন্যরকম। সেইসময় খালিদকে দেখতাম ঘুড়ি উৎসবে, কাওয়ালি শুনতে, শবে বরাতে মা ফাতিমার বয়ান শুনতে যেতে।
খালিদ বলেছিল, এই উৎসবগুলো ওদের পরিবারে খুব কমন। ওরা শবে বরাতে নতুন জামাকাপড়ও কিনতো। পুরাণ ঢাকার আদি বাসিন্দাদের বিভিন্ন উৎসব ও বিয়েতে রাতভর কাওয়ালিকে ঘিরে জলসার আয়োজন করা হতো। এখনতো দেখা যাচ্ছে পুরাণ ঢাকাবাসী ছাড়াও অন্যান্যরা সাকরাইন উৎসবে যোগ দিচ্ছে, শবে বরাতে কাসিদা শুনতে যাচ্ছে, জলসার আয়োজন করছে, ঘরে ঘরে কাচ্চি বিরিয়ানি বা মোরগ পোলাও খাচ্ছে। এর অর্থ পুরানো ঢাকার বনেদিয়ানার বা ঘরানার অনেক কিছুই নানাদিকে ছড়িয়ে পড়েছে এবং আরও পড়বে।
হঠাৎ করে কাওয়ালি নিয়ে ব্যক্তিগত পরিসরের এত কথা বলার কারণ হচ্ছে, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে একটি কাওয়ালি অনুষ্ঠানের আয়োজন এবং দুর্বৃত্তদের হামলায় অনুষ্ঠানটি পণ্ড হওয়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও নাগরিকদের মধ্যে যে তুমুল বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে তার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাকে যোগ করা।
ওই অনুষ্ঠানে হামলার জন্য ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে দায়ী করেছেন আয়োজকরা। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, আয়োজকরা নিজেরাই উপদলে বিভক্ত হয়ে এ হামলা করেছেন।
যারা এই হামলা চালিয়েছেন, তারা কেন এটা করেছে তা নিয়ে নানান মত রয়েছে। তবে এটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে মানুষের সাংস্কৃতিক চর্চার যে গণতান্ত্রিক অধিকার তা কেড়ে নেওয়ার জন্য এটা একটা অসুস্থ উদ্যোগ। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে কাওয়ালি আয়োজন নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে নানান মত ও যুক্তি থাকতেই পারে। কিন্তু তাই বলে হামলা করে এই আয়োজন থামিয়ে দেওয়া কেন? স্বাধীনতার ৫০ বছর পর যেখানে নানাধরনের সাংস্কৃতিক উৎসব-আয়োজন পাখা মেলার কথা, সেখানে আমরা তা সংকুচিত করার কথা ভাবছি।
টিএসসিতে কাওয়ালি আয়োজন যদি বিতর্কিত হয়, তাহলে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক বাউল গানের আসর, পালাগানের আসর, যাত্রাপালাসহ নানান সাংস্কৃতিক আয়োজনে হামলা কেন হলো? হামলার পক্ষে যারা সাফাই গাইছেন তারা অদ্ভুত একটা যুক্তি দিচ্ছেন যে কাওয়ালির আয়োজন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অসাম্প্রদায়িক আবহকে ধর্মীয়করণ কিংবা ইসলামিকরণের চেষ্টা করা হচ্ছে।
২০১৬ সালে পাকিস্তানের করাচিতে বিশ্বখ্যাত কাওয়াল আমজাদ সাবরিকে হত্যা করা হয়েছে। দায় স্বীকার করেছিল পাকিস্তানি তালেবান। অবশ্য টিএসসিতে হামলার অভিযোগ ধর্মভিত্তিক কোনো দলের বিরুদ্ধে নয়, কেউ দায়ও স্বীকার করেনি। তবে এই ঘটনা এবং আগের কিছু ঘটনায় এটা ভালোভাবেই বোঝা যাচ্ছে যে আমাদের সাংস্কৃতিক পরিসর ক্রমে ছোট হয়ে আসছে। বাঙালি জাতীয়তাবাদ নষ্ট হলো, ধর্মনিরপেক্ষতা দুর্বল হলো, ইসলামি জাতীয়তাবাদ মুখ থুবড়ে পড়ছে—এইসব বলে যারা সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের ওপর হামলা চালায় তারা প্রকৃতপক্ষে ফ্যাসিস্ট।
কাওয়ালি নিয়ে বিভিন্ন মতের মানুষের মধ্যে অযাচিত বাহাস সৃষ্টি হওয়া দেখে আমার কেবলই পুরনো কিছু কথা মনে হচ্ছিল। সেই কথাগুলোকে আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য পত্রিকায় প্রকাশিত কাওয়ালি বিষয়ক লেখালেখিগুলো দেখলাম। জানতে পারলাম, কাওয়ালি শব্দটি আরবি 'কওল' থেকে এসেছে। বহুকাল আগে সুফি-সাধকরা আধ্যাত্মিক প্রেমে মশগুল হয়ে বিশেষ কোনো নামের জিকির করতেন। অর্থাৎ, একই শব্দ বা বাক্য বারবার বলতেন। সুরের মাধ্যমে এই পুনরাবৃত্তি ঘটাকেই কাওয়ালি বলা হতো।
অষ্টম শতাব্দীতে পারস্যের বিভিন্ন সুফি আস্তানায় এ ধরনের গানের আসর বসতো। দার্শনিক কথার সমন্বয়ে রচিত হওয়া এসব গানের আয়োজন তৎকালীন সুফিবাদ চর্চার অন্যতম মাধ্যম ছিল। এসব জেনে তারপর বুঝলাম আমাদের তৌহিদ স্যার সুফিবাদের অনুসরণকারী হিসেবে কেন কাওয়ালির কথা বলতেন।
হযরত খাজা মইনুদ্দিন চিশতী (র.) নিজেও এই ধর্মীয় গানের প্রতি অনুরক্ত ছিলেন। এরপর নিজামুদ্দিন আউলিয়ার (র.) দরবারেও কাওয়ালির আসর বসতো। নিজামুদ্দিন আউলিয়ার (র.) প্রিয় শিষ্য হযরত আমির খসরু (র.) কাওয়ালি গানকে রীতিসিদ্ধ করেন। অর্থাৎ, কাওয়ালিকে একটি নিয়মের মধ্যে এনে প্রচার করেন তিনি। এজন্য তাকে কাওয়ালির জনক বলা হয়। সুফিবাদ চর্চার পাশাপাশি তিনি একাধারে কবি, গায়ক এবং একজন যোদ্ধাও ছিলেন।
কোনো গানের উদ্দেশ্য যদি হয় ভালবাসার মধ্য দিয়ে স্রষ্টাকে পাওয়া বা খুশি করা, তাহলে সেই গান নিয়ে আমাদের কথা বলার কী আছে। সংস্কৃতির মধ্যে নানান মত, নানান পথ থাকতেই পারে। একসময় নজরুলকে বলা হতো ধর্ম বিরোধী, এখনো রবীন্দ্রনাথকে অনেকে মনে করেন ভারতের হিন্দু কবি, মুর্শিদী গানকে শুধুমাত্র ধর্মীয় সঙ্গীত ভাবা হয়, ফোক গানকে ভাবা হয় গ্রামের মানুষের বা দরিদ্র মানুষের গান। তাতে শিল্পীর বা শিল্পের কি-বা আসে-যায়। চমৎকার বাংলা গান বাদ দিয়ে আমরা কি নিজেদের জীবনকে দ্বিতীয় শ্রেণীর হিন্দি নাচ-গানে, স্টাইলে ভরপুর করে তুলছি না? বরং এখানে, এই আগ্রাসনকে ঠেকানোর উদ্যোগ নিয়ে আমাদের বাহাস করার বা কথা বলার সময় এসেছে।
এই আমরাই কিন্তু ২০১৫ বা ২০১৬ সালে আন্তর্জাতিক লোকসংগীত উৎসবে গিয়ে পাকিস্তানি ২ শিল্পী আবিদা পারভীন ও সাঁই জহুরের গান শুনে এসেছি। আবিদা পারভীন বাবার সঙ্গে বিভিন্ন মাজারে কাওয়ালি গাইতেন। সত্তর দশকের শুরুর দিকে তিনি বিভিন্ন দরগাহ এবং ওরসে সুফি গান পরিবেশন করতেন। বর্তমানে সুফি শিল্পীদের কাছে আবিদা পারভীন একজন আদর্শ। সাঁই জহুরও সুফি গায়কদের মধ্যে অন্যতম। এই শিল্পীও লোকগানে নিজেকে তুলে ধরেছেন ভিন্নভাবে। কই তখন তো আমরা কোনো ভাঙচুর করিনি। এর কারণ হতে পারে ২টি—আমরা এগুলো জানতাম না অথবা এখানে কোনো পলিটিক্যাল এজেন্ডা ছিল না।
বাংলাদেশের সংস্কৃতিতে আছে কীর্তন, ঠুমরি, খেয়াল, জারি, সারি, বনবিবির কেচ্ছা, ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, মুর্শিদী, মারফতি, লালন, ময়মনসিংহ গীতিকা, হাছন রাজা সবকিছু। কোনো সংস্কৃতির সঙ্গেই বাঙালির বিরোধিতা থাকার কথা নয়। হিন্দু এবং মুসলমানের নানান সাংস্কৃতিক উপাদান বাংলার মাটিতেই রয়েছে। কাজেই কাওয়ালির উপস্থিতি মানেই যে বাঙালিত্ব চলে গেল বা জাত গেল, তা নয়।
শিল্পকলা, চলচ্চিত্র, সাহিত্য, গান বা নাচকে বাংলাদেশের একান্ত বা বাঙালির আত্মপরিচয়ের অংশ হতে হবে, ব্যাপারটি এমনও নয়। ধর্ম, সংগীত, সাংস্কৃতিক উৎসব কোনো কিছু নিয়েই দ্বন্দ্ব দেখতে চাই না আধুনিক বাংলাদেশে। বিশ্বের সব দেশের সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা, ভাষা চর্চা চলবে। একে চলতে না দিলেই আমরা আলো থেকে দূরে সরে যেতে থাকবো। কারণ মানুষ এখন 'বৈশ্বিক গ্রাম' বা 'গ্লোবাল ভিলেজ' কনসেপ্টকেও ছাড়িয়ে এখন মহাকাশকে ধারণ করতে চাইছে।
শাহানা হুদা রঞ্জনা: সিনিয়র কোঅর্ডিনেটর, মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন
(দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির আইনগত, মতামত বা বিশ্লেষণের দায়ভার সম্পূর্ণরূপে লেখকের, দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষের নয়। লেখকের নিজস্ব মতামতের কোনো প্রকার দায়ভার দ্য ডেইলি স্টার নেবে না।)
Comments