গাজীপুর সিটি নির্বাচন

১০ কেন্দ্র ঘুরে ৯টিতে পাওয়া যায়নি টেবিল ঘড়ির এজেন্ট

১০ কেন্দ্র ঘুরে ৯টিতে পাওয়া যায়নি টেবিল ঘড়ির এজেন্ট
ছবি: রাশেদ সুমন/স্টার

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। নির্বাচনে ভোগড়া, শহীদপুর ও ছয়দানা এলাকার ১০টি কেন্দ্র ঘুরে ৯টি কেন্দ্রে নৌকার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী টেবিল ঘড়ি ও কোনোটিতেই হাতি প্রতীকের কোনো পোলিং এজেন্ট দেখা যায়নি।

নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে মেয়র পদের প্রার্থী অ্যাডভোকেট আজমত উল্লা খান। স্বতন্ত্র মেয়র পদে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মা জায়েদা খাতুন। আর হাতি প্রতীকে সরকার শাহনূর ইসলাম।

সকাল ১০টা থেকে ছোট দেওড়া অগ্রণী উচ্চ বিদ্যালয়; উম্মুল কুরা হিফজ মাদ্রাসা; ভোগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ১; ভোগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ২, শহীদ বৃত্তি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র ১ ও ২; পশ্চিম চান্দনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়; অনন্ত মডেল কিন্ডারগার্টেন স্কুল কেন্দ্র; শরীফপুর জিয়াশ খান উচ্চ বিদ্যালয় ও শরীফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র ঘুরে দেখা হয়। এসব কেন্দ্রগুলো নৌকা প্রতীকের পোলিং এজেন্ট থাকলেও শুধু শরীফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মফিজুল ইসলাম নামে টেবিল ঘড়ির এজেন্ট পাওয়া গেছে।

এ ছাড়া ৭টি কেন্দ্রে হাতপাখা ও ৬টি কেন্দ্রে লাঙলের পোলিং এজেন্ট পাওয়া গেছে।

উম্মুল কুরা হিফজ মাদ্রাসা কেন্দ্রে নৌকা প্রার্থী ছাড়া অন্য কোন প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট দেখা যায়নি। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রিজাইডিং অফিসার মো. আব্দুল লতিফ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এজেন্ট আসবে কি না সেটা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদের নয়।'

এ কেন্দ্রে মোট ভোটারের সংখ্যা ৩ হাজার ৬৬১ জন। সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ভোট পড়তে দেখা গেছে ৩১২টি। 

উম্মুল কুরা হিফজ মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে টেবিল ঘড়ি মার্কার পোলিং এজেন্ট ভোটকেন্দ্রে ঢোকার কিছুক্ষণ পরে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রতীকের পোলিং এজেন্টদের বিরুদ্ধে। 

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীর দুজন পোলিং এজেন্ট দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, জায়েদা খাতুনের একজন এজেন্ট সকাল ৮টার দিকে কেন্দ্রে প্রবেশ করে। এর প্রায় ১০ মিনিট পরে তাকে বের করে দেয় নৌকা প্রতীকের এজেন্টরা। 

সকাল ১০টা ৩৬ মিনিটের দিকে ভোগড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় নৌকা ও হাতপাখা প্রতীকের মেয়র প্রার্থীদের পোলিং এজেন্ট আছে, তবে অন্য কোনো মেয়র প্রার্থীর এজেন্ট নেই।

শহীদ বৃত্তি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আব্দুল কাদের দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'টেবিল ঘড়ির কোনো এজেন্ট কার্ড নিতে আসেনি, শুধু মেয়র প্রার্থীর মধ্যে নৌকার এজেন্ট ছাড়া কেউ কার্ড নেয়নি।'
 

Comments

The Daily Star  | English
bangladesh bank buys dollar

BB buys $313m more from 22 banks

Bangladesh Bank purchased another $313 million from 22 commercial banks in an auction yesterday, reacting to the sharp drop in the US dollar rate.

5h ago