শান্তি প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্ত ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহার: জার্মানি

জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ (বাঁয়ে) ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (ডানে)। ছবি: এএফপি
জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ (বাঁয়ে) ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (ডানে)। ছবি: এএফপি

'উপযুক্ত সময় এলে' রাশিয়ার প্রেসেডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলার পরিকল্পনা করছেন বলে জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ।

আজ শুক্রবার বার্তাসংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে ইউরোপের এই ২ শক্তিধর রাষ্ট্রের কূটনীতিক সম্পর্ক প্রায় বিচ্ছিন্ন উপক্রম হয়েছে।

শোলজ আজ স্থানীয় এক পত্রিকাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, '(তার সঙ্গে) আমার শেষ ফোনকল হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে।'

'তবে উপযুক্ত সময় এলে আমি আবারও পুতিনের সঙ্গে কথা বলার পরিকল্পনা করছি', যোগ করেন তিনি।

সর্বশেষ ডিসেম্বরে এই ২ নেতা ফোনে কথা বলেন।

১ ঘণ্টার কলে শোলজ পুতিনকে অনুরোধ করেন, ইউক্রেন থেকে মস্কোর সেনা প্রত্যাহারের। পুতিন পশ্চিমের বিরুদ্ধে 'ধ্বংসাত্মক নীতি' অবলম্বনের অভিযোগ আনেন।

এরপর থেকে মস্কো ও বার্লিনের মধ্যে সম্পর্কের অবনতি হতে থাকে। বিশেষত, শোলজের সরকার জানুয়ারিতে ইউক্রেনে অত্যাধুনিক জার্মান ট্যাংক পাঠানোর অনুমতি দেওয়ার পর এই অবনতির সূচনা হয়।

সাক্ষাৎকারে শোলজ আরও বলেন, এখনো তার লক্ষ্য হচ্ছে 'ইউক্রেনকে সক্রিয়ভাবে সহায়তা দেওয়া', কিন্তু 'একইসঙ্গে ন্যাটো ও রাশিয়ার মধ্যে সরাসরি সংঘাত প্রতিহত করা।'

'কখনোই আমরা একক সিদ্ধান্ত নেব না। বরং আমাদের বন্ধু ও মিত্রদের সঙ্গে সমন্বয় রক্ষা করব', যোগ করেন তিনি।

আলোচনার মাধ্যমে এই সংঘাত নিরসনের সম্ভাবনা বিষয়ে শোলজ বলেন, পুতিনকে বুঝতে হবে যে 'যুদ্ধবিরতি' বা চুক্তি সইয়ের মাধ্যমে এই সংঘাতের নিরসন হবে না।

উদাহরণ হিসেবে শোলজ জানান, বর্তমান ফ্রন্টলাইনকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের 'নতুন সীমান্ত' হিসেবে নির্ধারণ করলে এই সংঘাতের সমাধান হবে না।

তিনি আরও বলেন, 'পরিবর্তে, এটি হতে হবে ন্যায্য শান্তি। এবং এর পূর্বশর্ত হলো রুশ সেনা প্রত্যাহার।'

ইউরোপে গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে জার্মানিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। দেশটির অর্থনীতি সুলভ রুশ গ্যাসের ওপর অনেকাংশে নির্ভরশীল।

ফলে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে শান্তিকামী ভূমিকায় থাকা জার্মানি প্রথা ভেঙে কিয়েভকে মস্কোর বিরুদ্ধে লড়তে অসংখ্য অস্ত্র ও সামরিক উপকরণ পাঠায়।

 

Comments

The Daily Star  | English

US tariff talks: First day ends without major decision

A high-level meeting between Bangladesh and the Office of the United States Trade Representative (USTR) ended in Washington, DC, yesterday without a major decision, despite the looming expiry of a 90-day negotiation window on July 9.

7h ago