উপনির্বাচনে ২৫ শতাংশের বেশি ভোটার ভোট দিয়েছেন: ওবায়দুল কাদের

বাংলাদেশ জাতীয় নির্বাচন ২০২৪
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি: সংগৃহীত

সদ্য অনুষ্ঠিত ৬টি আসনের উপনির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি নিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মিথ্যাচার করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, 'বুধবার অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের উপ-নির্বাচনগুলোয় ভোটারদের উপস্থিতি নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মিথ্যা তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা করছেন। তিনি বিএনপির এক হিসাব তুলে ধরে বলেছেন, উপনির্বাচনগুলোয় ভোটার উপস্থিতি ৫ শতাংশের বেশি হয়নি। যা সম্পূর্ণভাবে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।'

ওবায়দুল কাদের আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে দেওয়া এক বিবৃতিতে এই মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুল ইসলামের মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে দেওয়া উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে এই বিবৃতি প্রদান করা হয়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'মির্জা ফখরুল ইসলাম হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের লক্ষ্যে এ ধরনের নির্লজ্জ মিথ্যাচার করেছেন। প্রচণ্ড শীত ও প্রতিকূল আবহাওয়া উপেক্ষা করে ভোটাররা ভোট দিতে এসেছিলেন। সবগুলো উপনির্বাচনে ২৫ শতাংশের বেশি ভোটার ভোট প্রদান করেছেন। এমনকি ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে ভোটার উপস্থিতি ছিল ৪৫ শতাংশের মতো।'

তিনি বলেন, 'উপনির্বাচনে যেহেতু সরকার পরিবর্তনের কোনো বিষয় থাকে না সেহেতু জাতীয় নির্বাচনের তুলনায় এটা নিয়ে ভোটারদের মধ্যে আগ্রহ কম থাকে। স্পষ্টভাবে বলা যায়, জাতীয় নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি আরও বৃদ্ধি পাবে এবং মানুষ ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে ভোট প্রদান করবে।'

সেতুমন্ত্রী বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সবসময় দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করে। তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন। অন্যদিকে দুর্নীতি বিএনপির মজ্জাগত বিষয়। দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে তারেক রহমানের নেতৃত্বে হাওয়া ভবন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। তাদের দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার অঙ্গীকার ছিল উন্নয়ন ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে সরকার।'

তিনি বলেন, 'রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যেখানে সারাবিশ্বে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে, সেটা বিবেচনায় না নিয়ে মির্জা ফখরুল অর্বাচীনের ন্যায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির দায় সরকারের ওপর চাপানোর অপচেষ্টা করছেন। দেশবাসী ভালো করেই জানে, যাদের রাজনৈতিক উত্থান গণবিরোধী পন্থার সিঁড়ি বেয়ে তারা সবসময় ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ফায়দা নেওয়ার অপচেষ্টা করবে।'

ওবায়দুল কাদের বলেন, 'হত্যা-ক্যু-ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে যারা গণতন্ত্রের কফিনে পেরেক ঠুকেছে তাদের মুখে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের কথা শোভা পায় না। বিএনপি যখনই ক্ষমতায় এসেছে তখনই দেশের গণতন্ত্র মুখ থুবড়ে পড়েছে।'

তিনি বলেন, 'মানবাধিকার হরণ, সংখ্যালঘু হত্যা, বিরোধী মত দমন বিএনপির রাজনৈতিক চরিত্র; মিথ্যাচার তাদের একমাত্র হাতিয়ার। আন্দোলনে জনগণের সাড়া না পেয়ে বিএনপি নেতারা ষড়যন্ত্রের নীলনকশা সাজাচ্ছে। দেশের জনগণ সেটা বুঝতে পেরেই তাদের আন্দোলনে সাড়া দেয়নি।'

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি মানবিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের নিরন্তর সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন এবং দুর্নীতি ও জবাবদিহিহীনতার চৌহদ্দি ডিঙিয়ে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর।'

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ  উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বর্তমান সময়কে ধারণ করেই ভবিষ্যতের দিক-নির্দেশনা দেন। তার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। একইসঙ্গে এই দেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত করতে জাতির সামনে তিনি রূপরেখা তুলে ধরেছেন। ন্যায্যতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিমূলক সরকার ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় তিনি স্মার্ট বাংলাদেশের ঘোষণা দিয়েছেন।'

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh continues to perform poorly in budget transparency

Bangladesh has continued to showcase a weak performance in the open budget rankings among its South Asian peers, reflecting a lack of transparency and accountability in the formulation and implementation of fiscal measures.

15h ago