হাইকোর্টের রুলের বিবাদীপক্ষে অন্তর্ভুক্ত হতে এস আলম গ্রুপের আবেদন

বিদেশে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ তদন্তে হাইকোর্টের স্বতঃপ্রণোদিত রুলের বিবাদী হিসেবে পক্ষভুক্ত হতে আদালতে আবেদন করেছে এস আলম গ্রুপ।

দ্বিতীয় একটি আবেদনে, রুল বিচারাধীন অবস্থায় এস আলম গ্রুপ–সম্পর্কিত স্বতঃপ্রণোদিত রুল নিয়ে ভবিষ্যতে ডেইলি স্টার কর্তৃপক্ষ, সৈয়দ সায়েদুল হক ও অন্য গণমাধ্যম, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম যাতে সাক্ষাৎকার, মন্তব্য ও মতামত না দেয়, সে জন্য নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

হাইকোর্টে করা আবেদনে সাইফুল আলম ও ফারজানা পারভীন তাদের আইনজীবীদের মাধ্যমে যুক্তিতর্ক, পিটিশন ও আপিল উপস্থাপনের জন্য রুলের বিবাদী হিসেবে পক্ষভুক্ত হওয়ার আবেদন করেন।

দ্বিতীয় আবেদনটি অ্যাটর্নি জেনারেলের অফিসে দাখিল করা হয়েছে। রুলের বিবাদী হিসেবে পক্ষভুক্ত হলে পরে হাইকোর্টে এই আবেদন জমা দেওয়া হবে।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ ডেইলি স্টারকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, এস আলম গ্রুপ সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেনের মাধ্যমে হাইকোর্টে আবেদনগুলো জমা দিয়েছে।

নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত লিজুর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রোববার আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।

দ্য ডেইলি স্টারে 'এস আলমের আলাদিনের চেরাগ' শিরোনামে ৪ আগস্ট একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, এস আলম গ্রুপের মালিক মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার স্ত্রী ফারজানা পারভীন সিঙ্গাপুরে কমপক্ষে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। ডেইলি স্টারের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এস আলম গ্রুপ কখনোই বিদেশে বিনিয়োগ বা তহবিল স্থানান্তরের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নেয়নি।

আইনজীবী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন প্রতিবেদনটি নজরে আনার পর শুনানি নিয়ে ৬ আগস্ট হাইকোর্টের একই বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত রুলসহ অভিযোগ অনুসন্ধান করতে নির্দেশ দেন। প্রতিবেদনে উত্থাপিত অভিযোগ তদন্ত করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এবং পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে এ ব্যাপারে সহায়তা করতে বলা হয়।

বিদেশে অর্থ স্থানান্তরে এস আলম গ্রুপকে কোনো অনুমতি দেওয়া হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর এবং বিএফআইইউ-এর প্রধানকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

অন্যদিকে দুদকের চেয়ারম্যান, অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজি), ইমিগ্রেশনের বিশেষ পুলিশ সুপার, ঢাকার পুলিশ সুপার ও কমিশনারকে রুলের বিবাদী করা হয়।

হাইকোর্ট এই আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে গত ১৩ আগস্ট ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেনের মৌখিক আবেদন খারিজ করেন আদালত।

 

Comments

The Daily Star  | English

Depositors leave troubled banks for stronger rivals

Depositors, in times of financial uncertainty, usually move their money away from troubled banks to institutions with stronger balance sheets. That is exactly what unfolded in 2024, when 11 banks collectively lost Tk 23,700 crore in deposits.

10h ago