বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ নেতাকে কুবি ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

কুমিল্লা
স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

কুমিল্লায় গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের স্মরণে আয়োজিত 'জুলাই সমাবেশ'-এ অপমানিত হওয়ার অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা ও মহানগরের তিন নেতাকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় নেতারা।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়কদের অভিযোগ, গতকাল সন্ধ্যায় কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলকে মঞ্চে উঠতে বাধা দেওয়া হয়। এ নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা মহানগর ও জেলা নেতাদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতাদের তর্কাতর্কি হয়।

অবাঞ্ছিত ঘোষিত তিনজন হলেন, কুমিল্লা জেলার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মো. সাকিব হোসাইন, মহানগর আহ্বায়ক আবু রায়হান ও সদস্য সচিব মো. রাশিদুল হাসান।

সংবাদ সম্মেলনে কুবির সমন্বয়ক মো. আবরার ফাহিম বলেন, আমরা যখন মঞ্চে উঠতে যাই, তখন গায়ে হাত তুলে আমাদের নামিয়ে দেওয়া হয়। প্রশাসনের সঙ্গে যোগসাজশ করে তারা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ভাঙিয়ে রাজনীতি করছে।

আরেক সমন্বয়ক মো. শোয়াইব হোসেন আলামিন বলেন, কয়েকজন নেতা মামলা বাণিজ্য ও চাঁদাবাজিতে জড়িত। আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে যাব।

সমন্বয়ক মো. এমরান হোসেন বলেন, জুলাই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য ছিল ফ্যাসিস্টবিরোধী সংগ্রাম। কিন্তু এখন কিছু দোসর টাকা দিয়ে আন্দোলনের ভিতর ঢুকে পড়েছে। আমরা এসব মানি না।

অভিযোগ অস্বীকার করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমিল্লা মহানগরের আহ্বায়ক আবু রায়হান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, এক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের মঞ্চে উঠার সুযোগ দিলে কুমিল্লার অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও বিশৃঙ্খলা করত। আমরা অভিযোগকারীদেরকে বক্তব্য রাখার সুযোগ দিয়েছি। অনুষ্ঠানে শৃঙ্খলার স্বার্থে অনেক কিছুই মেনে নিতে হয়।

কুবির সমন্বয়ক মো. আবরার ফাহিম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়করা যখন মঞ্চে উঠতে যাই, তখন গায়ে হাত তুলে আমাদেরকে নামিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিবাদ করলে তারা আমাদেরকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি দাবি করে তিনি আরও বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে এখানে আন্দোলন হলেও এখন তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাউকে কথা বলার সুযোগ দিচ্ছে না।

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

5h ago